আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই রকম উচিত শিক্ষা মাঝে মাঝে বউকে দিতে হয়.....আপনারা কি বলেন...?

জানতে ভালোবাসি,...তাই প্রশ্ন করি... ....না হলে বেলাইন হয়ে যেতে পারে.....যা দিন কাল পরছে। আপনারা কি বলেন....? আমাদের দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেক নারীরা স্বাধীনতার নামে বেপোরোয়া চলাফেরা করে। যা আমাদের সমাজ,রাষ্ট্র তথা পরিবারে সরাসরি এর নেগেটিভ প্রভাব পড়ে। যেমন বলা যায় ইভটিজিং, পরকিয়া, এমনকি অশ্লীলতায় হত্যার মতো ঘটনাও ঘটে থাকে। যার মূলে আছে আমাদের পারিবারিক সুশিক্ষা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের শিক্ষার অভাব ও প্রপার গাইড লাইন।

এসব শিক্ষার অভাবে একটি পরিবার সমাজে যেমন লজ্জিত হয় তেমনি ধাবিত হয় ধ্বংসের দিকে। যার পরিনামে শেষ হয়ে যেতে পারে একটি সুখী পরিবার। আলহামদুলিল্লাহ্, ব্যক্তিগত ভাবে আমি আমার পরিবার ও স্ত্রীকে নিম্নোক্ত শিক্ষা গুলি দিয়ে থাকি। পৃথিবীতে অনেক শিক্ষা আছে কিন্তু আমি মনে করি এই শিক্ষা গুলিই উচিত শিক্ষা যা একটি মানূষকে তথা পরিবারকে সঠিক পথে ও সুখী রাখতে পারে আর একটি পরিবার সুখী মানেই একটি সুখী রাষ্ট্র। উচিত শিক্ষা-১ সকল সময়ে বা কাজে আল্লাহ ও রাসুলকে স্মরণ করতে বলা।

উচিত শিক্ষা-২ সঠিক সময়ে নামাজ আদায়ে তাগাদা দেওয়া। উচিত শিক্ষা-৩ বিপদে-আপদে,দূঃখ-কষ্টে ধৈর্য্য ধারণ করতে বলা। উচিত শিক্ষা-৪ ধৈর্য্য ধারণ করে একমাত্র মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে বলা। উচিত শিক্ষা-৫ পরিবারে সদস্যেদের প্রতি বিনয় প্রদর্শন ও রাগ প্রদর্শনে বিরত থাকা। উচিত শিক্ষা-৬ সন্তানের ধর্মীয় শিক্ষা দান, ধৈর্য্য ধারণ করা এবং রাগ প্রদর্শন না করা।

উচিত শিক্ষা-৭ সর্বদা শালিনতার সহিত ঘরে-বাহিরে চলাফেরা করতে বলা। উচিত শিক্ষা-৮ ধর্মীয় দৃষ্টি ভংগিতে পরিবার পরিচালনা করতে বলা। উচিত শিক্ষা-৯ পরিবার ও স্ত্রীকে অধিক চাওয়া পাওয়ার সীমাবদ্ধতাকে বুঝিয়ে বলা। উচিত শিক্ষা-১০ পরিবারের ছোটদের স্নেহ ও বড়দের সর্বাবস্থায় শ্রদ্ধা করতে বলা। উচিত শিক্ষা-১১ কুরআন ও হাদিসের মাধ্যমে সমস্যাকে উদাহরণ বা ব্যাখ্যায় দেখা।

উচিত শিক্ষা-১২ স্বামী প্রতি স্ত্রীর ও স্ত্রীর প্রতি স্বামী ধর্মীয় বা শরিয়তের হক বুঝিয়ে বলা। উচিত শিক্ষা-১৩ স্ত্রীকে সালাম প্রদর্শন ও গ্রহন করতে বলা। উচিত শিক্ষা-১৪ পরিবারের সদস্য তথা কারো প্রতিই নিন্দা ও সন্দেহ প্রদর্শন না করা। উচিত শিক্ষা-১৫ অতি কথা ও মিথ্যা কথা থেকে বিরত থাকতে বলা। উচিত শিক্ষা-১৬ হাসি মুখে সকলের সহিত আন্তরিকতা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক করতে বলা।

ইত্যাদি...ইত্যাদি আরো অনেক শিক্ষা আছে যা তাৎক্ষনিক ভাবে ঘটনাক্রমে হতে পারে এমনকি হয়ও। যার সমাধান ধৈর্য্য ধারণ করলেই সম্ভব। আমার বিশ্বাস এই কয়টি বিষয়ের উচিত শিক্ষা যদি আমাদের পরিবারের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চর্চা হয় তাহলে পরিবারের অনেক সমস্যা সমাধান যেমন সহজ তেমনি তেমনি অল্পতেই সুখী হওয়া যায়। পূনশ্চঃ উরোক্ত বিষয় গুলি আমার পরিবার চর্চার একটি নমুনা যা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আল্লাহ পাক চায়তো এর থেকে অনেক ভাই ও বোনেরা উপকৃত হতে পারেন এবং আমিও আরো অনেক ভাল বিষয়ের জ্ঞান আপনাদের থেকে জানতে পারবো।

যে ভাই ও বোনেরা এখনো বিয়ে করেননি তারা যেন নামাজি ছেলে বা মেয়েকে বিয়ে করুন, দেখবেন পারিবারিক জীবনে অনেক সুন্দর ও সূখী হবেন। ধন্যবাদ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।