আজ একটা গল্প শুনাব। ঠিক যেন শেষ বিকাল এর মত
একটা মজার ঘটনা বলি ২ জন ছাত্র ছাত্রীর কথোপকথন-
ছাত্র-ঃ কি খবর তোমার এই সেমিস্টারের CGPA কেমন?
ছাত্রী-ঃ খুব খারাপ।
ছাত্র-ঃ তাও কত?
ছাত্র-ঃ ৩.৯।
ছাত্রী-ঃ এত খারাপ করলা কেন।
এই কথোপকথন এর শেষে মেয়েটার মুখ দেখার মত ছিল।
কিন্তু ছেলেটার রেজাল্ট ছিল এর চেয়ে ও ভালো ৩. ৭৫ ।
বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হিসাবে আমার এক ধরনের আশা ছিল বুয়েট বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিটে পড়াশুনা করা। কিন্তু নিজের গাফলতি এবং অদূরদর্শিতার পরিণামে শেষ পর্যন্ত সেখানে পরাশুনা করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। এক সময় মনে করতাম জীবনটা বুঝি এখানেই শেষ কি করব আর। কিন্তু তারপরেও অনেকটা সাহস নিয়ে নতুন করে জীবনের হাল ধরেছি এ সব কথা পুরনো ।
কিন্তু তারপরেও মনের মধ্যে একটা সম্মান ছিল এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতি কেননা এখানে ভর্তি হওয়া বন্ধু বান্ধবদের কাছ থেকে বিবরণ শুনে একটা বিষয় মাথায় ছিল আমি না পারি আমার চেয়ে অনেক ভাল ভাল ছাত্র এখানে পরাশুনা করার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে যাক অনেক বেঁচে গেছি। বুয়েট বেশ কিছুদিন ধরেই খবরের শীর্ষে আছে। কিন্তু ভালো কোন ব্যাপারে এই শীর্ষস্থান ধরে রাখেনি তারা। তারা এখন শীর্ষে বিশেষ বিশেষ ঘটনা জন্ম দিয়ে এবং সর্বশেষ ঘটনা হল পদত্যাগ,বন্ধ আর ছাত্রদের সংগ্রাম।
খুব সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে তারা। নিজেদের দাবি নিয়ে নিজেরে যত না নাচছে তার চেয়ে বেশি জন্ম দিচ্ছে বিনোদনের। রাগ করবেন না বা নেগেটিভ চিন্তা করবেন না। কিন্তু আমি আমরা জনগন আসলেই আপনাদের উপর আপনাদের কাজ কারবার দেখে অবাক। এমনটা ত হওয়ার কথা ছিল না।
আপনারা যারা এখানে পরাশুনা করছেন তারা ভালো করেই জানেন আপনারা দেশের শীর্ষস্থানীয় ছাত্র। কিন্তু আপনারা এবং আপনাদের শিক্ষকদের আচরন সত্যি আমাদের চিন্তা করতে বাধ্য করে বুয়েটে না পরে জীবনটা বরবাদ হয়নি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।