আমরা হেরে যাইনি। এশিয়া কাপ না জিতলেও তোমরা আমাদের হৃদয় জয় করেছ। আমরা গর্বিত সরকার সমর্থক ছাত্রলীগ এবং জামায়াতে ইসলামী সমর্থক ইসলামী ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষের পর সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের চারটি ভবনের শতাধিক কক্ষে আগুন দেওয়া হয়েছে। রোববার রাতে নগরীর বালুচর এলাকায় এই সংঘর্ষে দু’পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। সংঘর্ষের পরপরই ছাত্রাবাসে আগুন দেওয়া হয়।
সিলেটের বৃহত্তম ওই কলেজের ছাত্রবাসের পাঁচটি ভবনে দুই শতাধিক কক্ষ রয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ বীরেশ চন্দ্র সরকার সাংবাদিকদের বলেছেন, আগুনে চারটি ভবনের ৪২টি কক্ষ সম্পূর্ণ পুড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭০টির মতো কক্ষ।
ওই সব কক্ষে ছাত্রদের বই-খাতা, কম্পিউটার, আসবাবপত্র সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্রলীগের জুয়েল আহমদ, এসআর রুমেল, ছাত্রশিবিরের এমসি কলেজ শাখার সভাপতি মনোয়ার হোসেন ও কর্মী জাহাঙ্গীর আলম।
তাদের সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে শাহপরাণ থানার ওসি এনামুল মনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, সন্ধ্যায় শিবির নিয়ন্ত্রিত ছাত্রাবাস ছাত্রলীগকর্মীরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে গেলে সংঘাতের সূত্রপাত হয়।
ছাত্রলীগকর্মীরা প্রথমে শিবিরকর্মীদের ধাওয়ার মুখে পিছু হটে। তখন ছাত্রলীগকর্মী জুয়েল আহত হন। এরপর সাড়ে ৭টার দিকে সংঘবদ্ধ হয়ে ছাত্রলীগকর্মীরা ছাত্রাবাসে হামলা চালায় বলে স্থানীয়রা জানায়।
ওসি এনামুল মনোয়ার বলেন, ছাত্রাবাসের চারটি ভবনের শতাধিক কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দমকল বাহিনীর কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সঙ্গে সঙ্গেই কাজ শুরু করে বলে জানান সিলেট ফায়ার স্টেশনের সহকারী পরিচালক পরিমল কুণ্ডু।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নেভানো হয়। কলেজ ক্যাম্পাসে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।
শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ
সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের শতাধিক কক্ষ আগুনে পোড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
রোবারার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কলেজ ছাত্রাবাসে ‘দুর্বৃত্তায়নে’ উদ্বেগ প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী রাতেই সিলেটের মেয়র, মহানগর পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি ও জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেন।
“তিনি তাদের জরুরিভিত্তিতে আগুন নেভানোসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আগুনে পোড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।