আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঃঃঃ ক্ষুধার্ত মিল্কিওয়ের কৃষ্ণগহ্বর! ঃঃঃ

ঃঃঃঃ চল বহুদূরে...নির্জনে আড়ালে লুকোই...ঃঃঃ আমাদের ছায়াপথ মিল্কিওয়ের কেন্দ্রে রয়েছে বিশাল এক ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর। এই কৃষ্ণগহ্বরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে মহাকাশে ঘুরে বেড়ানো বিশাল গ্যাসীয় মেঘ। কৃষ্ণগহ্বরের কাছে আসার পর থেকে এই বিশাল মেঘ হারিয়ে যেতে শুরু করেছে। জার্মানির জ্যোতির্বিদদের বরাতে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল জানিয়েছে, পৃথিবী থেকে ২৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরে, ঠিক আমাদের এই মিল্কিওয়ে ছায়াপথের কেন্দ্রে রয়েছে একটি বিশাল ব্ল্যাকহোল, যা থেকে কোনো আলো বের হতে পারে না। বিজ্ঞানীরা এই বিশাল কৃষ্ণগহ্বরটির নাম দিয়েছেন স্যাজিটেরিয়াস (স্যাজিটেরিয়াস এ-স্টার)।

এ ব্ল্যাকহোলটির ভর আমাদের সূর্যের চেয়ে ৪০ লাখ গুন বেশি। উল্লেখ্য, আলো এক বছরে যে দূরত্ব অতিক্রম করে, তাকে বলা হয় এক আলোকবর্ষ দূরত্ব। জার্মানির ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল ফিজিকসের গবেষক স্টিফান গিলেসেন ২০ বছর ধরে আমাদের ছায়াপথের কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করছেন। স্টিফান জানিয়েছেন, ২০১৩ সালের মধ্যেই বিশাল মেঘের আস্তরণ গলাধঃকরণ করে ফেলবে ক্ষুধার্ত এই কৃষ্ণগহ্বর। স্টিফান ২০ বছরে দুটি নক্ষত্রকে এই কৃষ্ণগহ্বরের নিকটবর্তী হতে দেখেছেন।

কিন্তু এই নক্ষত্রগুলোকে টানতে পারেনি কৃষ্ণগহ্বর। কিন্তু গ্যাসীয় মেঘের আস্তরণের বেলায় ভিন্ন কিছু ঘটতে চলেছে বলে মনে করেন স্টিফান। স্টিফান জানিয়েছেন, কৃষ্ণগহ্বরের ২৫ বিলিয়ন মাইল দূর দিয়ে এই মেঘ অতিক্রম করছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ৫০ লাখ মাইল। কিন্তু গত সাত বছর আগে এর গতি ছিল দ্বিগুণেরও বেশি।

কোনো বস্তু যখন ব্ল্যাকহোলে পতিত হয়, তখন সে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পান গবেষকেরা। গবেষকেরা আশা করছেন, গ্যাসীয় মেঘের কুণ্ডলী যতটা ব্ল্যাকহোলের মুখে এগিয়ে যাবে, ততই মেঘে তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে এক্সরে রশ্মির বিকিরণ বাড়বে। আর এই বিকিরণ পৃথিবী থেকে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। .........সংগ্রহ  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।