আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এখন বিদায় বেলা, খাও একটু বাশের ঠেলা!

জিআরই-টা শেষ করে তুই দিলি আমায় লাথি?? শোন সবাই, বলছি জোরে- “সাঈদ দীপুর সাথী”!! রোবেল ভাইয়া লীগের নেতা, কথায় তাহার টক ঐ দেখা যায় হাসান ভাইয়ের পিছে একটা বক! রংপুরেতে বাড়ী আমার, নোয়াখালীতে সেটিং র‌্যাগেতে আসবনা, আজ এক ভাইয়ের সাথে ডেটিং!!!! আমার বন্ধু রাশেদ, চলে গেল আমায় ছেড়ে-- সাথে নিয়ে গেল আমার গেমস সিডি সব কেড়ে! :’( দাউদ শাকিল আমার মাম, সাইফ আমার ড্যাড আমার কাব্য পড়ে আবীর হলো বড়ই স্যাড! জিপিএ ফোর পেয়ে আমি করলাম কোন পাপ? তারেক স্যারকে বেছে নেয়াই হল “বরে শাপ”! থাকি ফেনী, লালন শুনি, মনে “সিফাত” ভরা!! চিটাং শহরে পা রেখেই খেয়েছিলাম ধরা! জয়নগরে ফেমাস আমি, মুরাদ প্রাণের সাথী আমার সামনে তুচ্ছ অনেক গণ্ডার আর হাতি! নেওয়াজ তুমি বড়ই শরীফ, হও না কভু হতাশ- সানি লিওন দেখে তোমার বুক ফাটল “পটাশ”!! চক মালঞ্চে লাঞ্চে বসে, হাশেম নানা শুটকি চুষে রূপার পকেট ফাকা! দিলো না তো হাশেম নানা, একাই খেল সবটা খানা! ১১৮ টাকা! পকেট তাহার সাগরসম, বন্ধু কায়েস-জিয়া টিউশনি-তেই জীবনটা শেষ, করবে কখন বিয়া! নিয়মিত মাল ঠেলে সে, মদের নেশায় ফিট- অসৎ মামার সঙ্গদোষে জীবন হল “শিট”! ক্যান্ডি পো-পো, পোজটা দেখ, রেলের কালো ক্যাট নকল করে টয়লেটে-তে, বিশ টাকা তার রেট! দুষ্টু ছেলে, চাবি দিয়ে খোলে কতই তালা(!!) মাইয়্যা দেখে চোখ ঘোরে তার, পোলা বড়ই ভালা। এককালে সে জিম করিত, জানালা দিয়ে হাত নাড়িত মনে ছিল ফাগুন এখন তিনি এড়িয়ে চলেন, হাই-হ্যালোতে কথা বলেন আর জ্বলে না আগুন! দুধের ব্যবসা করে রাজু, নাই কোন তার গাভী! বালতি হাতে যাচ্ছে কোথায়? ডাক দিয়েছে ভাবী!! এমাইটি-তে এক পা তাহার, আরেক পা ক্যালটেকে খালু আছেন আম্রিকাতে, আর কে তারে ঠেকে? রিপন মামার বন্ধু তিনি, সিডনী প্রিয় সিটি; জটিল জিনিস সাপ্লাই দেন, এইচ-ডি কোয়ালিটি! হামিদ ভাইয়ের ছেলে সে; কাধে কেন ঝুলি??! আব্বা এত হ্যান্ডসাম, আর ছেলে হল কুলি? ক্লাস লেকচার তোলে না সে; নেয় জুয়েলের খাতা! খুশি হয়ে সবাইকে দেয়- খাটি চায়ের পাতা! আম্মা বলে- “সন্ধ্যা ছ’টা, খোকা পড়তে বস” শোয়েব তখন হাতে রাঙ্গায় লাল মেহেদীর রস! এই মেহেদীর নকশা-গুলো মেনেছে কোন রীতি? পরের দিনেই ভারসিটি-তে অপারেশন সি.টি. !! ইন্টারনেট স্পেশালিস্ট, গেমস-ও ভালো খেলে হঠাত দেখে মনে হবে চৌদ্দগ্রামের ছেলে। র‌্যাম্পে হাটেন, এড-ও করেন, মেঘে সাতার শিখেন, বন্ধুরা সব আদর করে ডাকে তাকে- “চিকেন”!! আজিজ ভাই-এর ছোট্ট ভাই, ভাবীর স্নেহের সীমা নাই মেয়ে দেখে পায় শরম! ব্যাগের ভিতর পাচমিশালী, পানি খাইয়ে জান বাচালি তোর বউটা হবে গরম! মুখটা চলে বোমের মত, জিনিস তাহার মোমের মত কাজে সে খুব পটু প্রাণ-ভোমরা সিইউ-তে, পাগল সে হয় বৈশাখেতে কয় না কথা কটু! আড্ডা দিয়ে ঘোরাঘুরি, রাধতে পারে ডাল-খিচুড়ি আইএল্টস করে ফ্ল্যাট!! ফেসবুকেতে কম বসে, একুরিউয়ামে গাপ্পি পুষে আর সে করে চ্যাট! জুয়েল যাবে জিএসই-তে, করতে দেখা ভাবীর সাথে নিলো কিছু টাকা মজার ব্যাপার শোন এবার, খেলো শুধু ফুচকা দুবার তাতেই পকেট ফাকা! অত্যাধিক ভদ্র তিনি, ক্রিকেট খেলেন ভালো গালি-গালাজ শুনলে তাহার মুখটা যে হয় কালো ১৮+ জোক্স পড়লে লজ্জায় হন লাল ৫ তাহার প্রিয় সঙ্খ্যা, শরীরটা গোলগাল! ফিমেল ক্যাম্পাসটা যে কেন বহদ্দারহাটে নিলো? ভাবছে সোহেল বাসা নিবে বহদ্দারহাট ১ কিলো! সিলেটে তার প্রিয়ার বাসা, নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট ভালোবাসা পাহাড়ে তার জন্মভূমি, এই পাহাড়েই মরবে আশা! এই সে বের হয়, আবার ঢোকে! সাইফ মরে দুঃখে-শোকে! ইউরিস ক্লাসে দেয় লেকচার, স্যারদের “প্রেস্টিজ-পাঙ্কচার”!! দুনিয়ার যে প্রান্তেই থাকি মোরা সবে ইঞ্জিনিয়ার না হলেও মানুষ হতে হবে! থাকবো না তো এই জগতে আমরা চিরকাল পরকালের কথা ভেবেই ঠিক করি বোল-চাল!

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।