অনেক কিছুই বলতে চাই কিন্তু কিছুই বলতে পারছি না। আজ কেউ নেই,
প্রাণের জোয়ারে ভাসা, জীবনের স্পন্দনে কেঁপে কেঁপে ওঠা এই ঘরে
কেউ নেই আজ।
ঘুরে বেড়ায় বিষাক্ত ধোঁয়ার মেঘেরা,
প্রিয় নিকোটিনের গভীর মমতায়,
নেশায় ছেয়ে যায়, মাতাল হয়ে ওঠে এ ঘর।
ভালই তো, অনেক শান্তি এখন।
কেউ কেড়ে নেয় না নিজের একান্ত সময়গুলো,
আগে যেগুলো পাওয়াই সমস্যা হয়ে উঠত,
সারাদিন শুধু ঝড়ের স্রোতের মত একগাদা জীবনের ছায়া
ছুটন্ত ধূমকেতুর মত উন্মাদনা।
কেউ কিছু দেয় নি, শুধু কেড়েই নিয়েছে,
সময় আর হয়তো জীবনের অনেকাংশ।
আর প্রিয়তমা, সে তো হৃদয়টাই ছিঁড়ে নিয়ে গেছে।
আর কখনও তার মায়াবী দুটি চোখ তাকিয়ে থাকবে না।
আর কখনও তার হাসিতে আলোড়িত হবে না এ ঘর,
আর কখনও হাতে হাত রেখে কথা হবে না।
কিন্তু সে কি চায় নি?
হয়তো আমিই চাই নি,
কারন আমি পাওয়ার চেয়ে না পাওয়াকেই বেশি ভালবাসি।
প্রতি মুহূর্তে কিছু পাওয়ার হাতছানিকে এড়িয়ে চলা,
প্রতি মুহূর্তে অকারন বিষন্নতা, হতাশাকে বুকে চেপে ধরা,
এ সবই অভ্যাস হয়ে গেছে।
তবু, নিজের অস্তিত্বকে এড়িয়ে চলা যায় না,
অস্তিত্ব প্রতি মুহূর্তে তার প্রয়োজন দাবি করে
জেগে ওঠে পিপাসা, জেগে ওঠে অদম্য ক্ষুধা,
জেগে ওঠে উদ্ধত আদিম আকাঙ্খা।
এ ঘরের মশাগুলোও কামড়ে কামড়ে জানান দেয়, আমি বেঁচে আছি।
আমার যন্ত্রনারা বেঁচে আছে।
বেঁচে আছে ভুলতে চাওয়া স্মৃতিগুলো,
আমার স্বপ্নগুলো মরতে গিয়েও ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে আছে।
সিগারেটের ধোঁয়ায়ও মশাগুলোকে তাড়ানো যাচ্ছে না,
হয়তো, তাদের জন্য এ ধোঁয়া অতটা বিষাক্ত নয় কয়েলের মত।
কিছু মশা দেহকে কামড়ে যাচ্ছে অবিরত,
আর দূরে অসংখ্য মশা ঘুর ঘুর করছে
রক্ত চুষে নেয়ার অপেক্ষায়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।