আমাদের একটা মানুষের সমাজ লাগবে স্টিকি পোষ্টটা দেখে আমার মনে অনেক গুলো প্রশ্ন জাগল, মেয়েদের কারাতে শিক্ষা দেয়া হবে। খুব ভাল কথা।
ঘরে বাইরে সর্বত্র নারীর উপর সহিংসতা মুলত আমাদের পুরূষতান্ত্রিক সমাজের অনিবার্য ফলাফল । আমাদের পুরুষেরা রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক ক্ষমতা কাঠামোর মধ্যে বসবাস করেন। ক্ষমতায় ভারসাম্যহীন সমাজে ক্ষমতাহীনের নানা ধরনের নিপীড়নের মধ্যে বসবাসের সম্ভাবনা অত্যন্ত উচ্চ।
আমাদের সমাজ কাঠামোর গভীরে আছে ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা যার ফলাফল নারীর উপরে পুরুষের আধিপত্য একইভাবে সহিংস আচরন। সমাজবিজ্ঞানী মিশেল ফুকো বলতেন মানুষের যেকোন সম্পর্কই শেষত ক্ষমতার সম্পর্ক। পুরুষে পুরুষে এমনকি নারীতে নারীতে সম্পর্কে যেমন ক্ষমতা বিন্যাস খুজে পাওয়া যাবে তেমনি নারী পুরুষের সামাজিক সম্পর্কে তো পাওয়া যাবে অতি আবশ্যিক ভাবেই।
সুতরাং, কারাতে,কুস্তি মল্লযুদ্ধ যা ই সমাজের ক্ষমতাহীনকে শেখানো হোক না কেন সামাজিক ক্ষমতাবিন্যাস তাকে ক্ষমতাহীন করেই রাখবে। কারাতে তাকে রাষ্ট্রীয়,সামাজিক, অর্থনৈতিক ক্ষমতা এনে দিতে পারবে না।
এটা চাইলে নারীদের নিজের অধিকারের দাবিতে রাজনৈতিক ভাবে সংঘঠিত হতে হবে।
আমার লেখার মুলকথা ছিল কই কোন কারাতে না জানা পুরুষ তো টিজিং এর শিকার হন না, কারন পুরুষ ক্ষমতাবান তাকে টিজ করলে পাটকেলটি খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে যেটা নারীর ক্ষেত্রে ঘটে না।
নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাই যখন নিজের অধিকারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনৈতিক ভাবে সুসংগঠিত সংগ্রাম শুরু করতে পারবেন, পুরূষতান্ত্রিক সমাজের ক্ষমতা কাঠামো পাল্টে দিতে পারবেন সেদিন ইভ টিজিং (প্রচলিত অর্থে যাকে সরাসরি সহিংসতা বলা উচিত তা) হতে শুরু করেন সকল ধরনের সহিংসতার অবসান ঘটবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।