বর্তমানকালে বাংলাদেশ বিমান একধরনের ক্রান্তিকালে অবস্থান করছে । যে হারে লস গুনছে এ রকম লোকসান চলতে থাকলে কদিন পর এইম ইন লাইফ রচনায় কেউই পাইলট হওয়ার কথা লিখবে না বরোং পাইলট বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের অন্য কিছু হওয়ার কথা পড়তে হবে।
বিমান লাভজনক হবেই ,হতেই হবে আমাদের দেশের একটি বিভাগ এই ভাবে বিলিন হতে পারে না এত প্রতিভাবান পুরুষ থাকতে । আমাদের এখানে আছে বিশেষজ্ঞ আমলা- মন্ত্রী । এক্ষেত্রে যদি উন্নয়ন চাই তাহলে নিচে দেয়া কিছু গবেষণামুলক পদক্ষেপ গ্রহন করা যেতে পারে ।
১। আবুল হসেন সাহেবকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে ।
২। ছয় নাম্বার কিংবা বলাকা বাসের মত লোকাল কয়রে দেয়া যেতে পারে ভাড়া কমিয়ে দিয়ে ।
৩।
অকেজো বিমানগুলোকে রেস্টুরেন্ট বা ডিজিটাল সিনেমা হল হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হতে হবে ।
৪। ডেটিং প্লেসের খুব অভাভ আমাদের দেশে । সুন্দর নদীর ধারে কিংবা পার্কার নিকটে একটা বিমান রেখে দিলে প্রেমিক-প্রেমিকারা নিশ্চিন্তে সময় কাটাতে পারবে।
৫। ঢাকার মানুষের থাকার জায়গা নেই । টাকার বিনিময়ে যদি এসব অকেজ বিমান ভাড়া দেয়া যায় তাহলে আমার মনে হয় সবচেয়ে বেশী ইনকাম করা যাবে ।
৬। লোকসান কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো দেশের বিশেষ কিছু মন্ত্রী-সচিবকে নিয়োগ দেওয়া।
এই মন্ত্রী-সচিবদের কাজ হবে বিদেশি যাত্রীদের কাছ থেকে কায়দা করে ১০ শতাংশ কমিশন আদায় করা ।
আমার এই পদ্ধতিগুলুর চেয়ে বাংলাবাজারের সৃজনশীল গাইড বই বা ফার্মগেটের কোচিং সেন্টারও বেশী সাফল্য এনে দিতে পারবে বলে মনে হয় না। আমাদের আশা, কর্তৃপক্ষ বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু তাদের ওই এক সমস্যা তারা ১০ শতাংশ ঘুষ চায়, কমিশন চায়, বাড়ি-গাড়ি চায় কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিতে চায় না। তবে ভাগ্যের কথা হল আমাদের আশা করতে কাউকে কমিশন দিতে হয় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।