যা হচ্ছে ভালোই হচ্ছে...যা হবে ভালোই হবে... প্রথমেই যে প্রশ্ন আসে টা হলো- চোখে কলুপ কে এটেছে? আমরা নাকি হাসিনা?
নিরপেক্ষভাবে দেখলে আসলে কলুপ এটেছি আমরা। হাসিনার চশমার পাওয়ার ভালো। সব ঠিকঠাক দেখতে পায়। অন্ধকার তিনি দেখতে পাননা। বিড়ালের চোখ বলে কথা!
গতকাল সকাল ৮টায় কারেন্ট যায়।
আসে দুপু ১.৪৫এ। আবার ৪টায় যায়, আসে সন্ধ্যা ৭টায়। আবার রাত ১০টায়, আসে ১টায়। ২.৩০ এ আবার, আসে ৩টায়।
এবং এর পরও আমাদের পীর তুল্য নেত্রী সংসদের বিদ্যুত নিয়ে লম্বা লম্বা কথা বলে।
বিদ্যুত নিয়ে তার মতবাদের উপর ভিক্তি করে একটা নতুন ধর্মমত সৃষ্টি সম্ভব বলে আমার ধারণা। তার চেলা তৌফিক তো আরো একধাপ সামনে, নতুন মতবাদের প্রচারে নেমেছে এবং অস্বীকারকারীর প্রাপ্প শাস্তি সম্পর্কে হুশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছেন। এই লোক আবার মুক্তিযুদ্ধের উপাধি নিয়ে ঘুরছে...
টাকা কামানোর মেশিন হলো এই বিদ্যুত খাত। খালেদাও এই বিদ্যুতকেই বেছে নিয়েছিলো। সহচরিণী হাসিনাও একই পথে হাটছে।
একই ঘাটের মাঝি দুইজন। সুবিধার জন্য কিছু বাহ্যিক রেশারেশি আমরা দেখতে পাই। এটা তাদের জন্য সুবিধাজনক। আমাদের হাতেও এই দুইজন বাদে আর কোনো অপশন থাকে না। একবার হেন আবার তেন।
লাউ-কদু , কল্লা-মাথা।
ব্যপারটাকে আরো সহজ করে দেওয়া হয় না কেন? আমেরিকার মতো ব্যবস্থা করে দিলেই তো হয়। ওদের রিপাব্লিক আর ডেমোক্রেট, আমাদের থাকবে আওয়ামী-বিএনপি। অযথা কেন এই জোট-মহাজোটের নাটক?
ডিমের দাম ১০/-
প্রতি পিস ডিম ১০/- !!!!!!
এই দামের জন্য কি অজুহাত দিবে হাসিনা? তেলেরদাম বিশ্ব বাজারে বাড়ে, গরু ভারত থেকে আনার সাথে যোগাযোগ আছে, সবজি প্রকৃতির সাথে সংশ্লিষ্ট, চিনি তো সরাসরি আমদানি - সব কিছুর একটা না একটা অজুহাত আছে। নিজের দেশের পোল্ট্রি শেষ করে শেষ পর্যন্ত প্রভুদের সন্তুষ্ট করতে ডিমের দিকেও নজর দিতে হলো??
আহারে!!হাসিনার এতো এতো কাজ নাকি কারো চোখে পড়ে না।
চুক চুক চুক
চলেন , একটা হিসেব করে আসি। আমাদের হাসিনা কি কি করলো-
১. ২০১৩ এর আগেই আমাদের দুই দুইটা পদ্মা সেতু দিয়েছে
২. ঢাকাতে কোনো যানজট নাই, আমরা শখের বশে রাস্তায় ২-৩ ঘন্টা দেরী করি
৩. ঢাকার চারপাশেই না শুধু, পুরো শহরেই নৌপথ তৈরী, এখনও এই প্রক্রিয়া চলছে, রাস্তায় খাল খনন এখনও চলছে
৪. চাল এখন ফ্রী পাওয়া যায়, চাইবেন শুধু, আসমান থেকে বর্ষার মতো চাল ঝরবে
৫. আগামী মাসে মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম বুলেট ট্রেন চালু হচ্ছে, চার লেন আর লাগবে না
৬. ৫০০/- টাকা টিকেট কেটে আপনাকে থিম পার্কে যেতে হবে না, বাসে চড়লেই থিম পার্কের রাইডের স্বাদ পায়ে যাবেন । আগের কোনো সরকার পেরেছে এমন চরম সুলোভ বিনোদনের ব্যবস্থা করতে?
৭. সবার জন্য প্রাইভেট বিমানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, হেলিকপ্টার আপনার উঠোনে ল্যান্ড করবে। বিমানের সময় নিয়ে আর চিল্লাতে হবে না
৮. হাতির ঝিলে স্বর্গ নেমে আসছে সামনের বছরের মধ্যে
৯. সবার মুখের সাথে পাইপ লাগানো হচ্ছে, পানির জন্য ওয়াসার কাছে দৌড়াতে হবে না। থাই প্রতিষ্ঠান একাজের জন্য নিয়োগ পেয়েছে
১০. ভারতের কাছে কোনো প্রকার অর্থ খরচ ছাড়াই জনশক্তি রপ্তানি করা হচ্ছে
১১. দেশে আমেরিকার বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে আশংকাজনক হারে, মজিনা সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করছে
১২. হাসপাতালের মেঝে এখন ঝকঝকে তকতকে।
খবর ঃ ওবামাকে আনানো হচ্ছে স্বাস্থ নীতি তৈরির জন্য
(শুরু করা উচিত হয়নি। এতো এতো কাজ হাসিনা করেছে যে জয় করা সমুদ্রের জলকে কালি আর দেশের সব পাট দিয়ে বিশেষায়িত কাগজ বানালেও শেষ হবে না গুনগান)
১২. আর বিশেষভাবে যা করেছে তা হলো ৪৮(আমার প্রিয় সংখ্যা) ঘণ্টা দেশ আলোতে ডুবে থাকছে। কবিদের জন্য দুঃক্ষগাঁথা লিখেছে হাসিনা, কবিরা এখন আর জোনাকীর আলো দেখতে পায় না বলে দুঃক্ষ প্রকাশ করেছে।
আর কি চায় এদেশে মানুষ! আল্লাহ’র নাখোশ বান্দা সব! এতো কিছু দিলো হাসিনা তাও কারো কিছু চোখে পড়ে না!
পড়বে পড়বে, যেদিন ঢাকা-চট্টগ্রামের সবগুলা উড়ালসড়ক মাথার উপর পড়বে তখন বুঝবা সবাই আমাদের হাসিন কতো কি করেছে। সবে তো সিলেটের সেতু ধসলো, চট্টগ্রামের ফ্লাইওভার পড়লো।
এখনো আমরা বুঝিনি তো, তাই এখনো নেড়ার মাথায় বেল পড়া বাকি। যতো তাড়াতাড়ি স্বীকার করে নিবা তত জলদি বেলের হাত থেকে রক্ষে পাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।