Everyone is entitled to my opinion.
৩ ট্রিলিয়ন ডলার যে আসলে কত টাকা সেটা বোধহয় আমাদের পক্ষে কল্পনা করাও সম্ভব না। সেই চেষ্টা নাই বা করি। তবে এতটুকু জানি যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো সহ এশিয়া এবং আফ্রিকার মুসলিম দেশগুলোর ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এই বিশাল মার্কেট কন্ট্রোল করে থাকে। এবং এই মার্কেট কিভাবে আরো বর্ধিত করা যায় তারা নিরন্তর সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে। এরকমই একটা প্রতিষ্ঠান হল M/s Anis Associates (Pvt) Limited যারা কিনা পাকিস্তানের সর্ব্বৃহত হালাল খাবার রপ্তানীকারকদের মধ্যে অন্যপাকিস্তান দিফেন্স ফোরামের সংবাদ অনুযায়ী এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী অফিসার নাসিব আহমেদ সাইফি বলেন (জানুয়ারী ১০, ২০১২) "Halal products are now seen as a potential engine of economic growth with an annual turn over of hundreds of billions of dollars globally". তিনি আরো বলেন, "Pakistan, being a Muslim and an agriculture country has the potential to assume leadership role in global halal food market by following proper strategies, policies and practices." পাঞ্জাব প্রদেশের প্রধান্মন্ত্রী শাহবাজ শরীফও সম্প্রতি (এপ্রিল ২১ ২০১২) একই ধরনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, "Pakistan can earn billions of dollars annually through the export of Halal meat whose demand is growing at the international level with every passing day.
নাসিব আহমেদ সাইফির 'proper strategy', 'policy' এবং 'practice' গুলো কি হইতে পারে? এটা অনুমান করা বোধহয় খুব একটা ভুল হবে না যে সেগুলোর মধ্যে অবশ্যই মুস্লিমদেরকে আরো ধর্মভীরু করে তুলতে হবে এবং হালাল-হারাম এর ব্যাপারে অতি-সচেতন হতে হবে। তাইত গত কয়েক বছরে টরন্টোর মত মেগা সিটিকে মসজিদের শহর বনে যেতে দেখে অবাক হই না, যাদের বেশিরভাগি বিদেশ থেকে অনুদান পায়। আজ থেকে অনেকগুলি বছর আগে প্রথম যখন বিদেশে পড়তে আসি তখন বন্ধু-বান্ধব এবং পরিচিত জনেরা হালাল হারাম নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাত না। তাদের মনোভাব ছিল পেলে ভাল, না পেলেও অসুবিধা নাই। এমনকি ছুটির দিনে অল্প-স্বল্প পানীয়তেও আপত্তি ছিল না।
এখানে বলে রাখা ভাল এই জিনিষটা আমার তখনো খুব একটা ভাল লাগেনি, এখনো লাগেনা। আমার সেইসব বন্ধু-বান্ধবদের কাউকে কাউকে যখন বর্তমানে হালাল সাবান খুজতে দেখি তখনও অবাক হইনা।
জনাব সাইফির মত এই মার্কেটের রথি মহারথিদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কিনা জানিনা তবে সম্প্রতি খবর বেরিয়েছে কোক এবং পেপসি প্রোডাক্টের জনপ্রিয় পানীয়গুলোতে আলকোহল পাওয়া গিয়েছে। ফ্রান্সের National Institute of Consumption সম্প্রতি (জুন ২৮, ২০১২) রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যে কোক-পেপসির পানীয়তে ০.০০১ পার্সেন্ট অ্যালকোহল পাওয়া গেছে। যদিও পরিমানে অতিশয় নগণ্য তবে তার তাৎপর্য অপরিসীম।
আর এতেই কোক এবং পেপসির কর্মকতারা ভয় পাচ্ছেন "While the amount of alcohol found is negligible, the revelation may anger thousands of Muslims, whose religion prohibits them from drinking alcohol." ইয়াহু নিউজ বলছে, "The news has sparked speculation from news outlets that the presence of alcohol could violate the moral codes of certain religions and organizations that prohibit the consumption of alcohol."
২০১১ সালে কোকের বাতসরিক বিক্রি ছিলো ৪৬.77 বিলিয়ন ডলার। পেপসির বিক্রি কোকের থেকে কিছুটা কম হলেও খুব একটা পিছিয়ে নেই। এই দুই কম্পানীর প্রায় ৯০ বিলিয়ন ডলারের বাত্সরিক মার্কেট শেয়ারে ভাগ বসাতে হলে কি করা দরকার? ওদের কাছ থেকে কাস্টমার ভাগিয়ে আনতে হলে কি দরকার। ইসলামে ১০০% হারাম অ্যালকোহলের থেকে সোজা উপায় আর কি আছে!! বেশ কিছুদিন ধরে কোক-পেপসি ইহুদী ইস্রায়েলের কোম্পানী এবং তাদের প্রোডাক্ট মুস্লিমদের বর্জন করা উচিত বলে যে প্রচারনা চালানো হচ্ছিল তাতে বোধহয় খুব একটা কাজ হয়নি। তাই সম্ভবত এখন কোক-পেপসিতে অ্যালকোহল পাওয়া গেছে।
ব্লগে ব্লগে, ইমেইলে ব্যাপারটা এখনো দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়েনি দেখে একটু অবাকই হয়েছি। তবে খুব শিঘ্রী যে হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই। শুরু হোক তবে............
এইটা ফাওঃ হালাল বিয়ার
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।