বহু দূর যেতে হবে । শুদাংশু ও অমিয়াংশু দুই ভাই। বিষয় সম্পতি নিয়ে ঝামেলা করে রাগের মাথায় আলাদা হয়ে গিয়েছিল। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তারা এখন আবার একসাথে সেই আনন্দে উৎসব। আত্মীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশি সবাই এসেছে।
রান্নার ধুম, পাঁঠা বলি হবে, কসাই রমেশ দা ধার দিচ্ছে, পাঠা বলি দেয়ার বিষয় টা অন্য রকম মজা, এক কোপে পাঠার মাথা দেহ বিছিন্ন করতে হয় অথবা বলি যথার্থ হবে না। তাই বলি দেখতে অনেক লোক সমাগম হয় । তাদের বোন মাধবীর বিয়েতে পাঠা বলি হয়েছিল। মাধবীর বিয়েতে তিনটে পাঠা বলি দিতে হয়েছিল তাই উত্তেজনা ছিল অনেক। বলির কসাই রমেশ দুর্বল প্রকৃতির ।
রমেশ এর বড় ভাই খগেশ ছিল জাত কসাই কক্ষনোই ১ টির বেশি পাঠা কোথাও বলি দিতে হয়নি । শুদাংশু ও অমিয়াংশুর বিয়েতে খগেশ পাঠা বলি দিয়েছিল কোন ঝামেলা ছাড়া। মায়ের শ্রাদ্দের দিন পাঠা ছুটে পালিয়েছিল কিন্ত তবুও বার্থ করতে পারেনি খগেশকে। এক কোপ মাথা বিছিন্ন। তার পর আবার পাঠা বলি হল, বাবার শ্রাদ্দে।
বাবা মারা যাওয়ার পর যখন বিষয় সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাই আলাদা হল তখনও দুই ভাই বীরবিক্রমে পাঠা বলি দিয়ে মেহমান খাইয়ে নিজেদের ক্ষোভ মিটিয়ে নিজেরা ঘর দোর আলাদা করে নেয়।
আজকের পাঁঠা অনেক বড় অনেক শক্তিশালী রমেশ সবাইকে অভয় দিচ্ছে, কিন্তু সবাই রমেশ কে নিয়ে ভয় পাচ্ছে ,রমেশ পারবেতো ?? এই প্রশ্ন সবার মনে।
আমিতো গল্পের নামই ঠিক করি নাই, পাঁঠা বলি নিয়ে যখন এতো কথা বলছি তাহলে গল্পের নাম 'বলির পাঁঠা' হুম অনেক ভালো নাম হইছে যথার্থ নাম হইছে। ভেবে দেখেন যা কিছু-ই হচ্ছে না কেন, বিয়ে, মৃত্যু, আনন্দ, বেদনা, বিচ্ছেদ পাঁঠা কিন্তু বলি দিতে-ই হবে। বেচারা পাঁঠা কোন কিছুর আগে ও নাই পিছেও নাই তবুও বলির পাঁঠা।
আচ্ছা আবার শুরু থেকে শুরু করি, আমার নাম উলম্ভ, আমি একটি গল্প বলবো, গল্পের নাম বলির পাঁঠা। এখন মুড নাই, পাঠার জন্য মায়া লাগছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।