মুক্তমত প্রকাশের প্লাটফর্ম ব্লগ। তাই ব্লগে বসতে ভা্ল লাগে....।
এক সময় ফেনীর দণ্ড-মণ্ডের কর্তা ছিলেন তিনি। ফেনীতে জয়নাল হাজারীই ছিলেন শেষ কথা। আওয়ামী লীগের ভেতরে ও বাইরে ছিলো তার সমান প্রভাব।
২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁরাশি অভিযানের মুখে কোন মতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে বাঁচেন এক কালের এই গডফাদার।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবার দেশে ফেরেন। কিন্তু হারানো আসন আর ফিরে পাননি। অবস্থা এতোটাই বেগতিক হয়েছে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ ছাড়তে হয়েছে তাকে।
বর্তমানে তিনি জেলা কমিটির সদস্য পর্যন্ত নন।
অধিকাংশ সময় কাটান ঢাকাতে। হাজারিকা প্রতিদিন নামে একটি দৈনিক কাগজের সম্পাদক হিসেবেই সময় কাটছে জয়নাল হাজারীর।
কার্যত অন্তরালে চলে যাওয়া জয়নাল হাজারীকে গতকাল আবার দেখা গেল একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে।
তিনি বলেন, আমি আবার ফেনীতে ফিরতে চাই। ফেনীতে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকানি শুরু হয়েছে তার মুলোৎপাটন কওে দিতে চাই।
যদি আমাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমতি দেন তাহলে যখন দিবেন তখন সেই অবস্থায়ই আমি ফেনীতে যাবো। আওয়ামী লীগের হাল ধরবো। ফেনী আবার আগের অবস্থা ফিরে আসবে। আওয়ামী লীগের পতাকা আবার পতপত করে উড়বে।
এক প্রশ্নের জবাবে জয়নাল হাজারী বলেন, হেফাজতে ইসলামের জন্যই আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় যাবে।
কারণ সরকার হেফাজতে ইসলামকে সমাবেশ করতে দিয়ে তাদের স্বরূপ উন্মোচন করার সুযোগ করে দিয়েছে। এজন্য আজ দেশের সকল মহিলারা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছে। এটা আওয়ামী লীগের জন্য অবশ্যই শুভলক্ষণ।
খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করার যে একটি গুজব শোনা গেছে সেই বিষয়টি নিয়ে জয়নাল হাজারী বলেন, আমি মনে করি না সরকার খালেদা জিয়াকে প্রেপ্তার করে আর কোনও ভুল করবে। কারণ খালেদাকে গ্রেপ্তার করলে তার জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।