জীবন একটাই তাই যা করার ভেবে চিন্তে করতে চাই........ বিকেলের মেঘলা আকাশ। গরম নেই। ব্যস্ত শহর থেকে সাময়িক মু্ক্তি মিলল ওদের। রিকশায় চেপে বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষে ছুটে চলা। কর্দমাক্ত রাস্তা আর ঘিঞ্জি গলি পেরিয়ে একসময় রিকশা এসে পড়ে বাকল্যান্ড বাধে।
ছুটে চলা তবুও শেষ হয়না। তারপর একসময় খোলামোড়া ঘাটের দেখা মিলল। এবার রিকশা বিদায় দিয়ে ওপারে যাবার পালা। খেয়া নৌকায় চেপে বসে দুজন। তারপর বর্ষার কিছুট স্বচ্ছ পানি আর প্রসস্ত নদী পেরিয়ে যেতে যেতে কতবারযে শিহরিত হয়েছিল মেয়েটি তার ইয়াত্তা নেই।
উত্তরের মেয়ে বলে কথা, এমন নদীর দেথা মিললেও নৌকায় চড়া হয়নি। তারপর আবার মাঝে মাঝে ঢেউয়ের দোলা আর দাড়ের ছোটো ছোটো আঘাতে শিহরিত হয়ে ওঠা তাই। ভয়ে বুকের ভিতর তার চমক থেলে যাওয়া। তাই বারবার ছেলেটিকে কাছে আরে কাছে এসে বসার আহবান। তারপর হাতে হাত রেখে বসে থাকা।
অবশেষে নদী পার হওয়া। এযেন এক অবিস্মরনীয় মুহুর্ত।
খোলামোড়া ঢাকার বাইরের একটি জনপদ। ঢাকার বাইরে এ যেন এক অনিন্দ্য সুন্দর পল্লী। মেইন বাজার থেকে পাশের যে রাস্তাটি চলে গিয়েছে গ্রামের দিকে দিকেই ছুটে চললো ওরা।
অচেনা অজানা সে জনপদ। আর অজানা ওদের রোমাঞ্চ......তারপর আবার ফিরে আসা ঢাকার দিকে....
তবে এবার আর রিকশা নয়,,, এবার তাদের বাহন লঞ্চ। সন্ধ্যায় লঞ্চের পেছনের ছাদে চড়ে ঢাকা ফেরা। মাগরিবের নামাজের পরে লঞ্চ ছাড়লো, তবে যাত্রী নেই বললেই চলে। ডেকের উপর জনা চারেক আর পেছনের ছাদে ওরা দুজন,,, এ ছিল এক আনন্দঘন সন্ধ্যা।
দুজন দৃজনের চোখে চোখ রেখে কথা কথা,, কত গান। তারপর থেকেই বিষন্ন ছেলেটি,, কেমন এক অজনা উদ্যম আর ভয়ে এখন অস্থির ছেলেটি,,, ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।