চোখে যা দেখি, কানে যা শুনি, তা নিয়ে কথা বলবোই !
ব্রিটেনের রানীর সিংহাসন আরোহণের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিখ্যাত বিগ বেন ঘড়ির টাওয়ারের নাম পাল্টে এলিজাবেথ টাওয়ার রাখা হচ্ছে। ভুবনবিখ্যাত বিগ বেনের খ্যাতির সঙ্গে শুধু প্যারিসের আইফেল টাওয়ার আর নিউইয়র্কের স্ট্যাচু অব লিবার্টিরই তুলনা চলে। চলতি মাসের শুরুর দিকে চার দিন ধরে ৮৬ বছর বয়সী রানী এলিজাবেথের সিংহাসন আরোহণের হীরকজয়ন্তী উদযাপন করে ব্রিটেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার
বিগ বেনের নাম পাল্টে এলিজাবেথ টাওয়ার রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। অফিসিয়ালি যুক্তরাজ্যের হাউস অব পার্লামেন্টের অংশ বিগ বেনের নাম দ্য ক্লক টাওয়ার।
কিন্তু এটি বিগ বেন নামেই সুপরিচিত।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন দ্য ক্লক টাওয়ারের নাম পরিবর্তন করে এলিজাবেথ টাওয়ার রাখার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, একজন ব্যতিক্রম রানীর জন্য এ এক ব্যতিক্রম শ্রদ্ধা।
তবে এ ব্যাপারে জনসাধারণের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। রোমানিয়ার পর্যটক মারা কিওরটেসকু বলেন, বিগ বেন অনেক পুরনো কিংবদন্তির মতো।
কোন বিবেচনায় এর নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে? বিশ্বের মানুষ বুঝবে না এলিজাবেথ টাওয়ার কী। ব্যাংক কর্মকর্তা রিচার্ড লাবোনতে বলেন, এটি বাজে পরিকল্পনা নয়। এই টাওয়ারের জন্য বেন একটি অদ্ভুত নাম। যা-ই হোক, রানীর নামে নামকরণ যথার্থ, তিনি এর যোগ্য।
৯৬ মিটার উঁচু এই টাওয়ারটি নিও গথিক শৈলীতে নির্মিত।
এর চারদিকে চারটি ঘড়ি রয়েছে। ১৮৫৯ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। টাওয়ারটির শীর্ষে উঠতে সিঁড়ির ৩৯৩টি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। লন্ডনের কেন্দ্রে টেমস নদীর তীরে এটি অবস্থিত।
বিগ বেনের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবটি করেন কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতা তবিয়াস এলউড।
তার এই প্রস্তাব পার্লামেন্টারি কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করে। তবে অ্যা ইউগভের এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় অর্ধেক নাগরিক বিগ বেনের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছে। মাত্র ৩০ ভাগ নাগরিক এটি সমর্থন করেছে। খবর : রয়টার্স, বিডিনিউজ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।