"হরি আছেন পূর্বে, আল্লা আছেন পশ্চিমে, তুমি তোমার হৃদয় খুঁজে দেখ- করিম ও রাম উভয়েই আছেন হৃদয়ে; এ জগতের সমস্ত মানব-মানবীই তাঁর অংশ। " (সন্ত কবীরের গান; তর্জমা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) আপডেটঃ (জুলাই ০৪, রাত ৯টা ০৯)
আগামীকাল বিকেল চার-টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত স্মাইল ওয়েলফেয়ার ফাউণ্ডেশনের বন্ধুরা গুলশান-১ এর তিন রাস্তার মোড়ে দাঁড়াবে তানভীরের ট্রিটমেন্টের সাহায্যকল্পে অর্থ সংগ্রহের জন্য। আশা করি কেউ যদি সেখানে থাকেন, সাহায্য করবেন।
যাঁরা দূর থেকে সাহায্য করতেন চান তাঁরা নিম্নলিখিত নম্বরে রবি "BKash" সার্ভিসের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারবেন।
01845002172
বা নিম্নলিখিত ব্যাংক একাউন্টেও টাকা পাঠাতে পারবেনঃ
নামঃ রাহেলা বেগম
মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাব নং- ৩৮২৯৩
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, খুলনা শাখা।
সবাই-কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাদের আন্তরিক সাহায্যের জন্য। স্থানীয়ভাবে যিনি তানভীরের প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট করেছেন, সেই ডাক্তার বলেছেন ছেলেটার অপারেশন যদি তিন-চার মাসের মধ্যে না করানো যায় তবে হয়তো তাঁকে আর বাঁচানো যাবে না। তাই আপনাদের সাহায্য খুব দরকার। টাকা উঠছে, কিন্তু ট্রিটমেন্টের প্রয়োজনের তুলনায় (চার লাখ) তা খুব কম।
আশা করি সবাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন।
ধন্যবাদ।
আপডেটঃ (৩০ জুন, দুপুর ২টা ৩৭)
সবাই-কে অসংখ্য ধন্যবাদ দিচ্ছি আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকেই আমাদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করছেন, কেউ কেউ টাকা পাঠিয়েছেন ব্যাংক একাউন্টে, কেউ ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে ব্যাপার-টা জানিয়েছেন পরিচিত মানুষদের, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
একটা সমস্যা ফেস করছেন অনেকে, ব্যাংক একাউন্টে ১০০০ টাকার কম টাকা পাঠানো যায় না, এর চেয়ে কম টাকা পাঠাতে চাইলে কি করে সেটা করবেন সেটা নিয়ে অনেকে দ্বিধার মাঝে আছেন; ফোন করে আমাদের বলেছেন এ-কথা। আপনাদের সুবিধার জন্য একটা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আপনারা এখন থেকে নিম্নলিখিত নম্বরে রবি "BKash" সার্ভিসের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারবেন।
01845002172
আগামী ১লা জুলাই সকাল ৯টা থেকে ঢাকা কমার্স কলেজের সামনে তানভীরের জন্য আবার দাঁড়াবে স্মাইল ওয়েলফেয়ার ফাউণ্ডেশনের বন্ধুরা। সবাইকে আহবান জানাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার।
আপডেটঃ (২৯ জুন, রাত ১২টা ৫৫)
আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর টিএসসি এলাকা এবং ছবির হাট এলাকা থেকে মোট ২১,০০০ টাকা সংগ্রহিত হয়েছে। যারা অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন তাঁদের অসংখ্য ধন্যবাদ।
যারা ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে এ-বিষয়টা নজরে এনেছেন অন্যদের তাঁদের প্রতিও প্রকাশ করছি অশেষ কৃতজ্ঞতা।
যারা টাকা পাঠিয়েছেন বা পাঠাবেন বলে মনস্থির করেছেন তাদেরও ধন্যবাদ জানাই।
আগামী ১লা জুলাই সকাল ৯টা থেকে ঢাকা কমার্স কলেজের সামনে তানভীরের জন্য আবার দাঁড়াবে স্মাইল ওয়েলফেয়ার ফাউণ্ডেশনের বন্ধুরা। সবাইকে আহবান জানাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার।
মূল ব্লগঃ
তানভীর।
বয়স চার বছর। এই বয়সের একটি ছেলের হার্টে ছিদ্র ধরা পড়েছে, তাকে বাঁচাতে হলে একটা মেজর অপারেশন করতে হবে, ভাবা যায়? কিন্তু কখনো কখনো আমাদের ভাবতে কষ্ট হয় এমন ঘটনাও ঘটে থাকে এই পৃথিবীতে। ঠিক যেমনটা ঘটেছে, তানভীরের ক্ষেত্রে।
তানভীর যদি "বড়োলোকের ঘরে" জন্মাতো তাহলে চার লাখ টাকা দিয়ে ওর ট্রিটমেন্ট করানো কোনো ব্যাপারই ছিলো না!!! আমাদের দেশে এমন পরিবারও আছে যে পরিবারের সদস্যরা বসুন্ধরার কোনো "অভিজাত" বিপণিবিতান থেকে ৬ মিনিটে ৬০০০০ টাকা দিয়ে একটা আইফোন কিনে ফেলেন; তাঁদের কাছে ৪০০০০০ টাকা কোনো ব্যাপারই না !!!
তানভীরের দুর্ভাগ্য, সে জন্মেছে এক দরিদ্র দিনমজুরের ঘরে। তার পিতা মোঃ নান্না মিয়া খুলনার রেলওয়ে লোকো কলোনী নিবাসী।
বাংলাদেশের যে-কোনো নিম্নবিত্ত শ্রমজীবি মানুষের মতোই তিনিও গতর খাটিয়ে অর্থ উপার্জন করেন, বিলাসিতা দূরে থাক নুন আনতে পান্তা ফুরায় বাংলার এসব সংসারে।
তাই "ছেলের হার্ট অপারেশন করে ঠিক করতে চার লাখ টাকা লাগবে", এই তথ্যটি তানভীরের বাবা মোঃ নান্না মিয়ার কাছে অনেকটা বিনামেঘে বজ্রপাতের মতো। স্বাভাবিকভাবে তাঁর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে এবং তিনি চোখে মুখে অন্ধকার দেখছেন।
তো, আমরা কি করতে পারি এমতাবস্থায়? হাই তুলে বিষয়টা ভুলে যেতে পারি, গায়ে না লাগাতে পারি। আমাদের চামড়া তো গণ্ডারের চেয়েও পুরু।
আমরা কি সুন্দর ভুলে গেছি ভাতের অভাবে আত্মহত্যা করা বরগুনার জাকিরতবক গ্রামের দশ বছরের বালিকা ফেরদৌসি আকতার সোনাবরুর কথা, যার দরিদ্র মা আকলিমা খাতুনের গলা দিয়ে আজও ভাত নামে না মেয়ের মৃত্যুর কথা মনে করে। আমরা কি সুন্দর ভুলে গেছি বিলকিস নামের সেই গার্মেন্টস কর্মী কিশোরীটির কথা যে গণধর্ষণের হাত থেকে 'সম্মান' বাঁচাতে দিকবিদিক জ্ঞানশূণ্য হয়ে দৌড়াতে গিয়ে গাড়ির নিচে চাপা পড়ে মারা গিয়েছিল।
আমাদের আছে তো একটি সরল সূত্রঃ
উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্তের (অর্থাৎ যাঁরা আমাদের শ্রেণীর, বা আমাদের চেয়ে অর্থনৈতিকভাবে উঁচু শ্রেণীর) তাদের যে-কোনো বিপদে সারা জাতি এক হয়ে কান্নাকাটি করতে হবে, আর যাঁদের শ্রমে-ঘামে আমরা 'সুখে' থাকছি সেইসব নিম্নবিত্ত শ্রমজীবি মানুষদের যতো বড়ো বিপদই হোক হাই তুলে হাত নেড়ে মাছি তাড়ানোর মত এড়িয়ে যেতে হবে।
কিন্তু এভাবে আর কত? আমাদের কি শিক্ষা হবে না কখনো? “সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই” এই কথাটাকে কি আমরা বুলি হিসেবে কপচানোর জন্য রেখে দেবো???
আসুন তানভীরের পাশে দাঁড়াই।
আপনি-আমি , আমাদের মত সাধারণ মানুষেরা মিলে কি পারি না তানভীরকে বাঁচিয়ে তোলার একটা চেষ্টা চালাতে?
১ আগামীকাল (২৮ জুন, ২০১২) সকাল দশটা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-তে "স্মাইল ওয়েলফেয়ার ফাউণ্ডেশন" নামের একটি Non Profit Organization (এটি কোনো বিদেশী সাহায্যে চলা "এনজিও" নয়, একটি সামাজিক উদ্যোগে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান, কয়েকজন সমমনা বন্ধু মিলে গড়ে তুলেছে।
) তানভীরের ট্রিটমেন্টের জন্য জনগণের কাছ থেকে টাকা ওঠাতে দাঁড়াচ্ছে। আপনি, বন্ধু পাঠক, যদি সে-মুহূর্তে সেখানে থাকেন তাহলে আপনার সাধ্যমতো সাহায্য করতে পারেন।
২ আপনি যদি বাংলাদেশের অন্য কোন এলাকায় থাকেন বা ঢাকায় থাকলেও কাল সারাদিন টিএসসি এলাকায় থাকার কোনো চান্স নাই আপনার; কিন্তু তানভীরের ট্রিটমেন্টে দূর থেকে সাহায্য করতে চান তাহলে এই ঠিকানায় টাকা পাঠাতে পারেনঃ
নামঃ রাহেলা বেগম
মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাব নং- ৩৮২৯৩
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, খুলনা শাখা।
৩ এই ব্লগটির তথ্যগুলো আপনি আপনার ফেসবুক একাউন্টে (ধরে নিচ্ছি যারা সামু ব্লগে সক্রিয় তাদের প্রায় সকলের ফেসবুক একাউন্ট আছে) লিখে মানুষকে জানাতে পারেন ছেলেটির অসুস্থতার কথা, বা এই ব্লগটি শেয়ার দিতে পারেন। হয়তো আপনার এই ছোট কাজটি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে অর্থ-সাহায্যে ইচ্ছুক কোনো ব্যক্তির।
সেটাই বা কম কি?
তানভীরের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে "স্মাইল ওয়েলফেয়ার ফাউণ্ডেশনের" বন্ধুদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ
মোঃ মাহফুজুর রহমান
Cell-01680050766
মোঃ তাহমিদুল আবেদিন অনিক
Cell-01673711452
সালাউদ্দিন শেখ (সৈকত)
Cell-01681622453
সাজিদ মাহমুদ মিঠু
Cell-01921742504
হাফিজ খন্দকার
Cell-01681622452
তানভীরের সাহায্যকল্পে ফেসবুকে একটি ইভেন্ট খোলা হয়েছেঃ
Click This Link
বন্ধুরা আসুন, আমরা আমাদের সাধ্যমত তানভীরকে বাঁচাতে এগিয়ে আসি।
চার লাখ টাকার মূল্য কি চার বছরের শিশু তানভীরের জীবনের চেয়েও বেশি ???
মানবতার কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।