আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রুশ জাহাজই তুর্কী জেট বিমান ভূপাতিত করেছে, সিরিয়া নয়!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ ২০১০ সালের তিউনিশিয়ায় বিপ্লবের সুত্র ধরে মিশর, লিবিয়া হয়ে আরব বসন্তের ধাক্কা সিরিয়াতেও পড়েছে। গত বছর ২০১১ হতে এখানে সশস্ত্র তথা গৃহযুদ্ধ চলছে। বিদ্রোহীদের ন্যাটো তথা পশ্চিমারা তুরস্কের মাধ্যমে সাহায্য করছে। এখানে বলে রাখা ভাল বাশার ও তার শিয়া অনুসারীরা মাত্র ১০% তথা বাকী ৯০%ই সুন্নী। বাশার ও তার রেজিম স্বৈরাচার, অন্যায় ও নির্মম ভাবে দেশটি শাসন করে আসছে।

পশ্চিমারা চায় সিরিয়া যেন ইরানের প্রভাব মূক্ত হয়। কিন্তু বাধ সেধেছে মস্কো! কারণ বিষয়টি ভৌগলিক সহ নানা কারণে সিরিয়ায় তার ও ইরানের প্রভাব ধরে রাখতে মস্কো বদ্ধপরিকর। সেই কারণেই বেশ কয়েক মাস আগেই বেশ কয়েকটি রুশ যুদ্ধ জাহাজ প্রেরণ করে সিরিয়ায়। রুশদের জানে যে সিরিয়ার বাশার একা ন্যাটোর বিরুদ্ধে পারবে না। এই কারণেই বিদ্রোহীরা সিরিয়ার বেশ কিছু শহড় ও এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিলেও ধরে রাখতে পারেনি।

এই যখন অবস্থা তখন তুর্কীর বিমান বাহিনীর একটি জেট সিরিয়ায় আকাশ সীমায় প্রবেশ করলে সেটাকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। সিরিয়ার সামরিক বাহিনী বিষয়টি যেমন স্বীকার করে তেমনি তুর্কীরাও মানে যে তাদের বিমান সিরিয়ার আকাশ সীমা লংঘন করে। কিন্তু তুরস্ক সহজে বিষয়টি ছাড়বে না। তারা বলছে যে সিরিয় কতৃপক্ষ কোন হুশিয়ারী বা যোগাযোগ ছাড়াই বিমানটি ভূপাতিত করে অন্যায় করেছে। এই নিয়ে দুই দেশ যার যার সীমান্তে ভারী অস্ত্র, ট্যাংক, কামান ও প্রচুর সৈন্যর সমাবেশ ঘটিয়েছে।

তুরস্ক বলছে এই গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরও তারা সিরিয়ার হেলিকাপ্টার প্রায় ৫ বার তাদের আকাশ সীমা লংঘন করলেও তারা কোন গুলি ছুড়েনি। এখন শোনা যাচ্ছে যে উক্ত তুর্কী জেটকে সিরিয়া নয় বরং সেই দেশের সুমুদ্র সীমায় থাকা রুশ জাহাজই নাকি ভূপাতিত করে; Click This Link তুরস্কের বিরোধী দলীয় নেতা মাসুম টুয়ের্কার বলেন যে রুশ জাহাজের একটি যা এডমিরাল চাবানেনকোর জাহাজ খুবই উন্নত এবং প্রযুক্তি সুবিধার অধিকারী যে আকাশে সামান্যতম হেরফের হলে সেটা ধরতে পারে। তাই সেই-ই নাকি তুর্কী জেটকে ভূপাতিত করতে নির্দেশ দেয়। বাম গণতান্ত্রিক দল (DSP) এর এই নেতা মাসুম দাবী করেন যে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিদেশী গোয়েন্দাদের কাছে এই বিষয়ে তথ্য আছে। এখন বিষয়টি খুবই গুরুতর।

আমেরিকা ও রুশদের দ্বন্দের জন্য সিরিয়া ও তুর্কী উভয়েই ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। বিষয়টি রাজায় রাজায় যুদ্ধ করে আর উলুখাগড়ারা ভোগান্তির শিকার হয়!  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।