আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাগর-রুনি মার্ডার কেইস - ব্লগার্স চার্যশিট

Digital Bangladesh Warriors - fb.com/openbd ১. হত্যাকারীঃ এটিএন বাংলার চেয়ারম্যানের ছোটভাই। প্রথম দিনেই সে ধরা পড়ে পুলিশের হাতে। হাসিনার নির্দেশে তাকে পরের দিন ছেড়ে দিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ২. খুন হওয়ার কারনঃ বিমান মন্ত্রী ফারুক খানের সামিট গ্রুপের অপকর্ম নিয়ে মেহেরুন রুনি একটি রিপোর্ট তৈরী করেছিল যেটি সে এটিএন বাংলায় প্রকাশ করতে চেয়েছিল। ৩. যেটি এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের নির্দেশে প্রচার করা হয়নি।

যা রুনি পরবর্তীতে সাগরকে দেয় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারের উদ্দোগ্য নেয়। ৪. এদিকে মাহফুজুর রহমান উল্টো বিষয়টি শেখ হাসিনা ও ফারুক খানের কাছে বলে দেয়। ৫. এই রিপোর্টের কথা শুনে শেখ হাসিনা ও ফারুক খান ভিষন ক্ষিপ্ত হয় এবং ফারুক খানকে দায়িত্ব দেয়া হয় তথ্যগুলো ওদের কাছ থেকে আনতে। ৬. ফারুক খান এটিএন বাংলার মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাইকে তথ্য উদ্ধারের কন্ট্রাক দেয়, যেকোন মূল্যে। পরের ঘটনা আপনারা সবাই জানেন।

সাগর রুমীকে যখন জবাই করে হত্যা করা হচ্ছিল তখন যন্ত্রনায় মরতে মরতে তাঁরা আরও অনেক বেশি কষ্ট পাচ্ছিল তাঁদের আদরের মেঘকে এমন একটা সমাজ ও দেশে বসবাস করতে হবে ভেবে। কত বিভৎসযে হতে পারে বাংলাদেশের মানুষ তা হরর সিনেমাতেও কল্পনা করা যায় না। জীবনে শপাঁচেক হরর সিনেমা দেখেছি। আমি বলছি, বাংলাদেশের হরর ছবি সুটিং করে বানানোর প্রয়োজন নেই। প্রতিমাসের রিয়েল ঘটনা শট করলেই এক একটি বিশ্ব সেরা হরর মুভি হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য আমার মনে হয় পুরো হত্যাকান্ডটি মেঘের চোখের সামনে ঘটেছে। র‌্যাব রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে যে কাউকে এক ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তো দেখেছি পরের একমাস তিনি হাসপাতালে পরে আছে। আর ড. মাহফুজুর রহমান কে র‌্যাব সেদিন চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়া জিজ্ঞাসাবাদ করার পর দেখি, র‌্যাবের সোহাইল আর মাহফুজ গলাগলি ধইরা বাইরাইতাছে। সোহাইল টেলিভিশন ক্যামেরায় জাতিকে থ্রেট করে বলে, দেখলেন তো আমারা ঘন্টাধিককাল কথা বললাম, ড. মাহফুজ আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য দিয়েছে, কিছু ভিডিও ক্লিপও দিবে। এখন আপনারা আর কোন কথা বলবেন না, কোন তথ্য শেয়ার না, তথ্য শেয়ার করা হারাম।

পরদিন এটিএন বাংলার অফিসে গিয়ে সেই ভিডিও নিয়ে আসে। ড. মাহফুজুর রহমান র‌্যাব এর কাছে কি ভিডিও হস্তান্তর করেছে তা জাতি দেখতে চায় - এতে তদন্ত কাজে ব্যঘাতের প্রশ্নই ওঠে না, ঐ গুলো সব ভূয়া যুক্তি - আমরা অপেন তদন্তে বিশ্বাসী, কাজ সহজ হইয়া যায়, আর বিষয়গুলো জনগণের তাদের বাদ দিয়া আর কোন কিছু না। ড. মাহফুজুর রহমান বলে সাগর রুনির বাসায় প্রায়ই মদের আড্ডা সবতো ! ভাই এইডা কি কইলেন ?মদের আড্ডা বলতে কি বুজাইলেন ? কেডা খায়না বলেন ? এক ম্যাডায়ের বাড়িতেও তো বাথ রুমে ফ্রিজ ভরা মদ বের করছেন। কোন প্রফেশনের বা সাধারনের মদের আড্ডা বসে না ?মিঞা ধুয়া উড়ান, আপনারে দেইখ্খা তো মনে অয় বাংলা মদের ভাটিতে আপনার জন্ম। জজ বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ডাক্তার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বলেন, মন্ত্রী বলেন, এমপি বলেন, মসজিদের ঈমাম বলেন, জামাত বলেন, পুলিশ বলেন, আর্মি বলেন কোথায় হয় না মদের আড্ডা ? এই গুলো অপেন সিক্রেট, হার্মলেস।

দেশে প্রতিদিন পঁঞ্চাল লাখ ফেন্সিডিলের বোতলই খোলা হয়, বাবা, হিরোইন, গাঁজা তো ডাল ভাত। এইগুলি কারও প্রাইভেট ব্যাপার হতে পারে, সমাজের না, সমাজ নিজেই এর জন্য দায়ী। এইগুলি সব বাদ দিয়া আপনার দেশ চালাবেন, তাইলে তো আরও ভালো, গরীব সাধারন দেশ চালাইবো কারন প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেত্রী, এরশাদ, অলি, বিচৌ ... কয়েক কোটি বাদ। আপনি বলেন, আপনি কি দিয়া কি বুজাইতে চাইলেন ? "সাগর রুনির বাসায় প্রায়ই মদের আড্ডা সবতো" এই জন্যই তো সুনামগঞ্জের লাল মিঞা গান বানছে, হুনছ .... দুই সাগর - রুনি পরকালে লক্ষ আছে ইহকালে ... মার আমাদের কত মারবা। তথ্যসূত্রঃ ব্লগার্স তদন্ত পাতা  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।