কিছূ মনে পরছেনা
দলীয় শক্তি বা পরিসংখ্যান, কোনো কিছুতেই এগিয়ে রাখার জো নেই জিম্বাবুয়েকে। বলা ভালো, যোজন যোজন এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ফাইনালে মাঠের লড়াইয়ে সেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিয়েই ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
শিরোপা নিশ্চিত করার ম্যাচে জিম্বাবুয়ে জিতেছে ৯ উইকেটে। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টস জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ডু প্লেসিসের ৬৬ রানের ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৪৬ রান। জবাবে মাত্র একটি উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে।
জয়ের ব্যবধানটাই বলে দেয়, ব্যাটে-বলে এদিন দুর্দান্ত লড়েছে জিম্বাবুয়ে। ম্যাচের প্রথম বলেই রিচার্ড লেভির উইকেট হারিয়ে বসে প্রথমে ব্যাট করা দক্ষিণ আফ্রিকা। ঠিক পরের ওভারেই সাজঘরে ফেরেন আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা।
ভাগ্য ভালো, জিম্বাবুয়ের বোলারদের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ডু প্লেসিস। না হলে ইনিংস শেষে যা সংগ্রহ দাঁড়াত, তা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য লজ্জাজনকই হতো!
জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ১৪৭ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জয় তুলে নেওয়াটা যে বেশ কঠিন হবে, এটাই অনুমিত ছিল। কিন্তু সব ধারণা, হিসাব ‘মিথ্যে’ করে দিয়েছেন মাসাকাদজা-টেইলররা। দলীয় ৩২ রানে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে জিম্বাবুয়ের।
ব্যক্তিগত ২৩ রানে সাজঘরে ফেরেন ভুসি সিবান্দা। কিন্তু এরপর শত চেষ্টা করেও জিম্বাবুয়ের কোনো উইকেটের দেখা পাননি দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। ১৭ বল বাকি থাকতেই দলের দুরন্ত এক জয় নিশ্চিত করে হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ৫৮ ও ব্রেন্ডন টেইলর ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
এ প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে আরও একবার হারানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে জিম্বাবুয়ের। উদ্বোধনী ম্যাচেই দলটি হারায় বাংলাদেশকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আজকের ফাইনাল ম্যাচে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটারদের এই দুরন্ত পারফরম্যান্স তাই অস্বাভাবিক নয় মোটেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৪৬/৬ (২০ ওভার)
প্লেসিস ৬৪, মরকেল ৩৪*
জার্ভিস ২২/২
জিম্বাবুয়ে: ১৫০/১ (১৭.১ ওভার)
টেইলর ৫৯, মাসাকাদজা ৫৮
মরিস ২৪/১
তথ্যসূত্র প্রথম আলো
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।