আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

•|••|• অনুভবে ভালবাসা •|••|•

ইসস্ কি যে গরম !! তার উপর শেরওয়ানী পড়ে আছি। কেন যে বলতে গেলাম একটা মেয়েকে ভালবাসি আর তাকেই বিয়ে করব ? বলছিলাম তো কি হইসে তাই বলে এখনি বিয়ে করাই দিতে হবে !! সবে মাত্র hons complete করলাম। যেমন আমার বাপ তেমন হইসে শ্বশুরটা !! একটা ভাল ছেলে পাইছে আর সাথে সাথে বিয়ে । কইদিন পর বিয়েটা দিলে কি হতো, পোলা তো এখনও বেকার !! শালার কারেন্ট যাবারও আর টাইম পায় না। উফফ অসহ্য গরম।

করিম ভাই জেনারেটরটা অন করো তারাতারি। বিয়ে বাড়ি কারো কোন হুশ জ্ঞান নাই... আমার বিয়ে আর আমি চিল্লাচ্ছি। আরে তারাতারি অন করো জেনারেটর । এই যে দেবর মশাই ঘরে ঢুকছ না কেন ? তোমার বউ তো ঘরের ভিতরে, যাও জেনারেটর অন না করা পর্যন্ত বউকে বাতাস কর গিয়ে। -ভাবি যে কি বল না আমি করব বাতাস ??!! কেন বাতাস করলে কি হবে ? প্রেম করার আগে মনে ছিল না ? তখন তো বাতাস ,ফু-ঠূ কত কিছুই দিছ... -আরে ভাবি সেটা না... কথা হচ্ছে এর আগে তো আর বিয়ে করিনি।

বাসর ঘরে ঢুকে কি বলব ,কি করব কিছুই জানি না তো... প্রথমবার না। প্রথমবার মানে কি ? আরও বিয়ে করার ইচ্ছা আছে নাকি ?? ফাজিল একটা ... -ভাবি কিছু বুদ্ধি দাও... তুমি তোমার ফ্রেন্ডদের বল... ওরা ভাল বুদ্ধি দিতে পারবে। -আরে পাগল নাকি ওরা এখনো কেউ তো বিয়েই করে নাই... সবার আগে তো আমি ফেঁসে গেলাম। ওরা কই আমারে সাহস দিবে তা না হারামিগুলা বিয়েতে আসছে খালি খাইতে আর টাংকি মারতে!! ভাবি প্লিজ ... আচ্ছা শোন রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করবা সবার আগে আর একটু ভাব মেরে বউয়ের সাথে কথা বলবা । প্রেম আর বিয়ে কিন্তু এক না মনে থাকে যেন? তোমার বউ খাটের উপর ঘোমটা দিয়ে বসে থাকবে।

যদি সে তোমার পা ধরে সালাম করে তো ভাল আর না হলে বলবা পা ধরে সালাম করতে । বেশি কথা বললে একটা ঝারি মারবা... কোন লাই দিবা না । -ভাবি ও তো আমার girl friend ছিল আর এখন বউ। যদি আমারে উলটা ঝারি মারে ?? তুমি ওরে ঝারি মারার কোন chance দিবা না। বাসর ঘরেই তো বিড়াল মারতে হয়... বুঝচ্ছ !! -ভাবি পারব না... আমি ওকে অনেক ভালবাসি সেটা তো আমি জানি তাই ফাইজলামি করছিলাম এতক্ষণ।

এই যে নাও লাল গোলাপ...রুমে ঢুকে ওরে এইটা দিবা আর জিজ্ঞাসা করবা সে কেমন আছে ... মুখে যেন হাসি থাকে। -আচ্ছা তা থাকবে... তারপর প্রেম করার সময় যেমন রোম্যানটিক মুডে কথা বলতা ঠিক সেভাবে কথা বলবা। কোন উলটা পাল্টা কিছু বলবা না। বলবা ওকে অনেক সুন্দর লাগতেছে... পুরা পরীর মত। দেখবা ও অনেক খুশি হবে।

ও কিন্তু অনেক লজ্জা পাবে... আস্তে আস্তে লজ্জা ভঙ্গাবা...তারা হুরা করবা না কিন্তু। -তারপর কি করব ?? গাধা একটা ...! প্রেম করতে পার তারপর কি করবা তাও জানো না...!! জেনারেটর অন করছে যাও রুমে যাও... ................................................................................................... [আল্লাহ রহম করো... এই বলে রুমে ঢুকলাম । ] আরে বউ কই...ভাবি না বলল বউ খাটের উপরে থাকবে। ভাবি–ইইই আমার বউ তো ভাগছে... ঘরে নাই...!! -এই গাধা আমি এখানে, ভাগছি মানে ?? মানুষজন শুনলে কি বলবে। দরজা বন্ধ করে এইখানে আসো।

[বারান্দার দরজার দিকে তাকাই দেখি আমার বউ সেইখানে দরজা ধরে দাঁড়িয়ে আছে। কপালে লাল টিপ, টানাটানা করে চোখে কাজল দেয়া, ঠোঁটে হালকা গোলাপি লিপস্টিক, হাতে একগাদা চুড়ি... যা লাগছে না ওকে, উফফ আমি তো মরেই যাব। আসলেই পুরা পরী। ] তুমি বারান্দায় কি কর ? -এমনি প্রচণ্ড গরম তার মদ্ধে কারেন্ট ছিল না তাই বারান্দায় আসছি...। এইখানে কি সুন্দর বাতাস আর জোছনার আলো।

এই তুমি আমাকে এর আগে বল নাই কেন যে তোমার বারান্দা থেকে এতো সুন্দর জোছনা দেখা যায় ?? !! [ with ঝারি] ঝারি মারো কেন ? মনে ছিল না তাই বলি নাই । বাবুই এটা তোমার জন্য... -এতো সুন্দর লাল গোলাপ কই পাইছো ? ভা...ভা...ভাবি তোমাকে দিতে বলছে... -ভাবি দিতে বলছে মানে কি ? তোমার কি একটুও শখ –আহ্লাদ নাই?? নিজের বউকে একটা গোলাপ দিবা সেটাও আবার আরেকজনকে শিখাই দিতে হয় ?? [again ঝারি] [ আরে বউ দেখি ঝারি মারে!! বাসর রাতে বিড়াল কি তাহলে ওই মারবে । বাবুই পাখি তুমি অনেকক্ষণ ধরে জ্বালাচ্ছ আর ঝারি মারতেছ । ARiyan be cool and romantic ,ওর হাতটা ধরে...] তুমি না আমার জান পাখি, বাবুই পাখি...ঝারি মার কেন ? সুন্দর করে বললেই তো হয়... এর আগে তো আর বিয়ে করি নাই experience কম তাই না... -কি-ইইই ?? Sorry !! জান আর হবে না। বাবুই এদিকে আসো তোমাকে একটা জিনিস দেখাব... -কি ? Wait…চোখ বন্ধ কর ।

আমি না বলা পর্যন্ত খুলবা না...ঠিক আছে... [room এর light off করে জানালার পর্দা সরিয়ে দিলাম । জোছনার আলোয় পুরো room টা ভরে গেল ] এখন খোল... -wow !! আমাদের বিছানার উপর কি সুন্দর জোছনার আলো... thanx ARiyan ... ummmaahhh [জড়িয়ে ধরে] ইয়া আল্লাহ আমি তোমাকে পাপ্পি দিলাম কেন ? আমার KitKat কই, তুমি না আমাকে ফোনে বলছিলা আজকে রাতে আমাকে KitKat দিবা ?? এই আমার KitKat কই ?? [again ঝারি] [এইবার আর ঝারি আর সহ্য করলাম না। ওর দুই কাঁধে জোরে চাপ দিয়ে ধরে...] অনেক ঝারি মারছ...আর একবার মেরে দেখ...? বলছি তো KitKat দিব... -তুমি আমাকে খামচাচ্ছ কেন ? আমার খামচালে খুব লাগে... চাইলে আমাকে sweet করে জড়িয়ে ধরতে পারো। বাবুই তুমি কি জানো আমি তোমাকে এতো ভালবাসি কেন ? [হঠাৎ তুমি আমার কাঁধে মাথা রাখলে... সুন্দর একটা গন্ধ আসছিল তোমার চুল থেকে...] -কেন ? কিছু মানুষের চেহারাতে এক প্রকার মায়া কাজ করে। একবার তাকালে চোখ ফেরানো দায়।

কেউ কেউ তাদের চোখের গভীরতায় নিজেকে হারিয়ে খুঁজে ফিরে, কেউবা রেশমী চুলের গন্ধে মাতাল হয়। এই মায়ার জাল ছিন্ন করা খুব কঠিন। যারা পারে তারা বেঁচে যায়, আর যারা পারে না তাদের জীবন আঁটকে থাকে। তেমনি তুমিও ...আমিও পারছি না তোমার মায়ার জাল ছিন্ন করতে। আটকে গেছি তোমার মায়ায়... বাবুই !!?? বাবুই আমার কাঁধেই ঘুমিয়ে পড়েছে...আসলেই ও অনেক tired ।

ওর চোখে মুখে সব ক্লান্তির ছাপ । আমি আস্তে করে ওকে বালিশে শুইয়ে দিলাম । কেন যেন মনে হচ্ছে সবটুকু চাঁদের আলো আর তারার আলো মিশিয়ে বানানো আজকের এই অদ্ভুত জ্যোৎস্না, সেই জ্যোৎস্নায় সিক্ত তোমাকে দেখব আমি সারারাত ধরে....... তোমার আমার শরীর জুড়ে জোছনার মাখা-মাখি আমার একপাশে তুমি আর তোমার অন্য পাশে আমি... দুজন-দুজনার খুব কাছাকাছি । ও চাঁদ তুই যাসনে মেঘের আড়ালে আমি প্রিয়া কাছাকাছি অনুভবে দুজনার ভালোবাসা বাসাবাসি....। যদি যাস মেঘের আড়ালে রাতকে করে নিস্তব্ধ কালো মায়ায় দুঃখ পেয়ে প্রিয়া হারাবে ঐ দূর অসীম ছায়ায় ... ও চাঁদ তুই যাসনে মেঘের আড়ালে আমি প্রিয়া কাছাকাছি অনুভবে দুজনার ভালোবাসা বাসাবাসি....(© Anas Hassan ) আসলেই মাঝে মাঝে কোন একজনকে ভীষণ প্রয়োজন হয় ।

নিজের সবটুকু ভালবাসা উজাড় করে দেবার জন্য। ওর সাথে যে আমার কি থেকে কি হয়ে গেল কিছুই টের পেলাম না... এইত সে দিনের কথা ফেসবুকে পরিচয় ,ভাললাগা –ভালবাসা, অতঃপর বিয়ে । মনে পরলে অনেক অবাক হই। সারাদিন ভার্সিটিতে ক্লাস করে এসে ফেসবুক এ পেজ চালাতাম । পেজ চালান যে কি পেইন যেসব অ্যাডমিনরা পেজ চালায় শুধু মনে হয় তারাই জানে !! নিজের খেয়ে বনের মহিষ তাড়ানো আর পেজ চালান একই কথা ।

কিন্তু ফেসবুক নামক ভার্চুয়াল পৃথিবীর জন্যই বাবুই আজ আমার পাশে। রিয়ান আমার খুব কাছের একটা বন্ধু... বন্ধু বললে ভুল হবে ও আমার ভাই। ফেসবুক এ পেজ চালানোর ইচ্ছা মাথায় আসার পর রিয়ান আর আমি মিলে বিজ্ঞান বিষয়ক একটা পেজ বানালাম। একটু অন্যরকম পেজ । নামটাও অন্যরকম দিলাম “চতুর্থ মাত্রা”।

দিনে দিনে পেজটা বড় করতে লাগলাম । হঠাৎ একদিন আমার আর রিয়ানের মাথায় বুদ্ধি আসলো “কল্পকাহিনী” নামে আরও একটা পেজ বানাব যেটা হবে বিজ্ঞান কল্পকাহিনী নিয়ে । কল্পকাহিনীতে আমি নিয়মিত গল্প পোস্ট করতাম... আর চেক করতাম মানুষজনের কাছ থেকে কোন গল্পে কেমন সাড়া পাচ্ছি। 22 october “অ্যালগরিদমে ভালবাসা” গল্পে “রোদেলা রাত্রি” নামে একটা মেয়ে কমেন্ট করছে- “মামা গল্পটা চরম হইছে...এমন একটা সুন্দর গল্প দেবার জন্য অ্যাডমিনকে thanx”। সত্যি বলতে আমি যখন মেয়েটার প্রোফাইল পিকচারটা দেখলাম... কি জানি একটা হয়ে গেল ।

কপালে লাল টিপ, কাজল টানা চোখের সাথে সোনালি eye shadow । অদ্ভুত সুন্দর... কেন জানি চোখ ফিরাতে পারছিলাম না। জানি id fake হবার চান্স অনেক বেশি তাও ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠালাম । 25 october রাতে তুমি ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করলে... আমি তোমার ওয়াল চেক করে তোমার activities দেখছিলাম । তোমার প্রথম স্ট্যাটাস ছিল-“ ভালবাসা ভালবাসে শুধুই তাকে ভালবেসে ভালবাসায় বেঁধে যে রাখে”।

আমিও বেহায়ার মত সেখানে coment করে বসলাম-“তাই নাকি ??” 26 october রাতে তোমাকে অনলাইন এ দেখে নক করলাম...কিছুক্ষন কথা হল। এভাবে আমাদের মাঝে কথা চলছিল। প্রায় কথা হত আমাদের চ্যাটিং এ । তুমি রাত ১০টায় আসতে ফেবুতে... তোমার বাবা তোমাকে বকা দিত PC এর সামনে বসলে, তাই যখন আঙ্কেল ঘুমিয়ে পরত তখন তুমি আসতে। আমরা অনেক্ষন কথা বলতাম প্রায় রাত ২-৩ টা পর্যন্ত ।

অনেক দিন ধরে কথা বলছিলাম আমরা। একসময় তুমি আমাকে বললে তোমার এই id টা fake । তাই কোন রিয়েল ছবি নেই তোমার ...সব পুতুলের ছবি। পেজ এ কমেন্ট করা আর frnd বাড়ানোর জন্য এই fake id । তুমি পেজগুলোতে যখন কমেন্ট করতে তখন অনেক frnd reqst আসতো।

তাই ঝামেলা এড়ানোর জন্য এই fake id টা খুলছ । একটু কষ্ট লেগেছিল আমার কথাগুলো শুনে। কোন একটা মানুষের সাথে অনেকদিন কথা বললে বা মিশলে তার জন্য একটা আলাদা স্থান তৈরি হয় মানুষের মনে। হয় সেটা মায়া ,ভালবাসা বা অন্য কোন চাহিদার। আমি যখন-ই ফেবুতে আসতাম আর তোমার খোঁজ করতাম যদিও জানতাম তুমি fake ।

তুমি আমাকে প্রায় বলতে তুমি তো জান আমি fake তাও কেন আমার সাথে এতো কথা বল ?? আমার কেন যেন একটা অগাধ বিশ্বাস ছিল যে তুমি fake না। আমি আরও বেশি অবাক হই যখন তুমি তোমার real id থেকে আমাকে রিকুয়েস্ট পাঠাও। তখন আরও বিশ্বাস প্রবল হয়। আমি তোমাকে বাবুই নামে ডাকতাম । তুমি আমাকে প্রায় বলতে তুমি দেখতে অনেক বাচ্চা বাচ্চা , Cute বাচ্চা ... দাঁড়ি রাখ তাহলে আর একটু বয়স্ক বয়স্ক লাগবে ।

তোমার আর আমার মাঝে অনেক মিল খুঁজে পেলাম ... প্রথম থেকেই তোমাকে আমার অনেক ভাল লাগতো । তোমাকে আমি অনুভব করতে পারতাম। আর এই ভালোলাগাটাই একতরফা ভালবাসায় পরিণত হয় যখন তোমাকে নিয়ে আমার প্রথম ভালবাসার গল্প “রোদেলার ভালবাসা” ভালবাসার ডাকপিয়নে প্রকাশ করি। গল্পটা পড়ে তুমি অনেক হেসেছিলে আর বলেছিলে-- “তুমি এটা আমাকে নিয়ে লিখছ ?? আমার কেন জানি অনেক হাসি পাচ্ছে...” আমাদের সময় গুলো ছিল অস্বাভাবিক সুন্দর । অনুভবের এক অদ্ভুত সম্পর্কের ভীত গড়ে উঠেছিল দুজনের মাঝে ।

মাঝখানে আমি অনেক অসুস্থ হয়ে যাই জ্বর আর ঠাণ্ডায়। pc এর সামনে বসতে সমস্যা হচ্ছিল কয়েকদিন...তাই নিয়মিত হতে পারিনি ফেবুতে । সুস্থ হবার পর দেখি ফেবুতে তোমার msg ---“তোমাকে কয়েকদিন ধরে অনেক মিস করছি... কোথায় তুমি ? xm চলতেছে নাকি অসুস্থ ?? তুমি জান না আজ সেই সকাল থেকে আমি ফেবুতে কিন্তু তুমি নাই। just wait করে ছিলাম তুমি কখন আসবা...” আমি reply দিলাম –আমি তো পঁচা ছেলে কেন আমার জন্য wait কর ?? --- আমার ইচ্ছা হইছে তাই... তোমার কোন problem আছে ? -না । ---U know what ?? I miss u all the time… -I miss u too.. পরের দিন কোন কিছু না ভেবেই তোমাকে msg করলাম-“রোদেলা মনে হয় আমি তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি “ -তাই নাকি ? তা এসব কবে থেকে হল ? ফাইজলামি কেন করছ ? আমি এসব পছন্দ করি না ।

আবারও তোমাকে msg দিলাম- “আমি জানি না আমি কেন তোমাকে এতো ভালবেসে ফেলেছি ?? শুধু এটুকু জানি তোমার সাথে আমার কথা না বললে অনেক খারাপ লাগে। even আমরা একজন আরেকজনের সেল নাম্বার ও জানি না যে খোঁজ নেব। সত্যি বলতেছি I just want uuuuuu. I realy do…..plz রোদেলা না কোরো না... ” তুমি যে এমন একটা reply দিবা তা মোটেও আসা করি নাই— “বুঝলাম তুমি আমাকে ভালবেসে ফেলছ... তুমি আমাকে কেন ভালোবাসো ? আচ্ছা তুমি কি আমার প্রোফাইল পিকচার আর নামটা দেখে পছন্দ করে ফেলছ ? নাকি পরে আমার সাথে কথা বলে তোমার ভাল লাগছে , কোনটা ? ARiyan মজার বিষয় কি জান ? তুমি আমাকে আমার প্রোফাইল পিকচার এর মানুষটার মত কল্পনা করে নিছ। কিন্তু আমি অত সুন্দরী নই। আমি আমার মত সুন্দর, এবং আমি এটা বিশ্বাস করি যে আমার life partner হবে সে আমাকে এমনটা দেখেই ভালবাসবে।

কারণ সৃষ্টিকর্তা তাকে আমার জন্য সৃষ্টি করেছেন আর আমাকে তার জন্য। আমি আমার husband ছাড়া কাউকে ভালবাসব না। “ তুমি তোমার decision change করলে না... শেষবারের জন্য তোমাকে আর একটা msg দিলাম-- “ভালবাসতেই হবে এমনতো কোন কথা নাই !! তুমি জানো আমার কল্পনায় সবসময় তুমি থাক । তোমার প্রোফাইল পিকচারটা আমার ভাল লাগে তাই বলে তোমার কথাটা সত্যি না, আমি তোমাকে কোনদিনও ভাবি নাই তুমি অনেক সুন্দরী। আমি যখন তোমার সাথে chat করি তখন তোমার প্রতিটা কথার জন্য আমি প্রতিবার কল্পনায় তোমাকে সৃষ্টি করি।

কেন যেন মনে হয় আমি তোমাকে দেখতে পাই। তুমি আমার পাশেই বিচরণ কর। বিশ্বাস করবা কিনা জানি না আমি ফেবুতে আসি শুধু তোমার জন্য। আমি অনেক বদলে গেছি । আমি এটাও জানি তুমি কোনদিনও আমার হতে চাইবে না...বৃথা কেন কষ্ট পাব...?? তোমার নীরবতাতেই অনেককিছু বলে দিয়েছ তুমি... ভালবাসা ক্ষণিকের মায়া ছাড়া কিছু নয়... মায়া কেটে গেলেই চাহিদা ফুরায়, ফুরায় মনের আকুতি.....আজ আমি চিৎকার করে বলতেই পারি, আমি কখনই তোমার ছিলাম না, আর হবোও না......তবুও চিরদিন তুমি আমারি থাকবে, ভালবেসে যাবো অনন্তকাল।

আঁধার কে দেখি নি অনেকদিন তবুও সামনে এখন শুধুই আঁধার । আলোটা হাতে ছিল তোমার , তবুও রাজকন্ন্যার সেই হাতটা আমার দিকে নেই আর ,কিভাবে থাকবে বলো ? ......রাজপুত্র যে নই আমি..........” আমার birth day এর ঠিক দুদিন আগে তুমি আমাকে একটা msg দিলা... “ আমি তোমাকে কি বলব ARiyan ?? আমার বলার যে কিছুই নেই। তুমি ঠিকই বলছ যাকে পাব কি না জানি না শুধু শুধু তাকে নিয়ে ভাবার তো কারণ নাই !! but তোমার সাথে কথা বলতে বলতে আজ আমি এমন এক স্থানে যে আমি তোমার উপর রাগ করলে আমার অনেক খারাপ লাগে। তুমি দুইদিন ধরে আমাকে msg দেও না। তুমি জানো তুমি আমার সাথে যোগাযোগ না করলে আমার অভিমান হয় আর তোমার সাথে কথা বলতে না পারলে আমার অনেক কষ্ট হয়।

আর তুমিও কি bliv করবা আমিও ফেবুতে আসি শুধু তোমার সাথে কথা বলার জন্য। “ তোমার reply পাবার পর আমি আর বৃথা চেষ্টা করিনি...জানি ঐ কথাগুল সব ক্ষণিকের মায়া। .................................................................................... 28 march আমার জন্মদিন ছিল। আমি সারা দিন friend দের সাথে বাইরে ছিলাম । মনটাকে ভাল রাখার শেষ চেষ্টাটুকু করেছিলাম, তাও পারি নি ।

বাসায় এসে ফেবুতে স্ট্যাটাস দিলাম... “এখন পর্যন্ত এটা আমার বেস্ট birth day celebration । সারা দিন frnd দের সাথে বাইরে ছিলাম ...কিন্তু কেন যেন মনে হইছে কেউ একজন আমার পাশে নেই ?? আমি জানি সেটা তুমি !! খুব বড় একটা ইচ্ছা মনের মধ্যে বাসা বেঁধে আছে... ভালবাসার মানুষটা আমার পাশে থাকবে । আমি আজকেও পাঞ্জাবি পড়া ছিলাম... Cream Color এর একটা পাঞ্জাবি । লাল পেড়ে সাদা শাড়ি...পায়ে নুপুর...,হাতে রেশমি চুড়ি... খোঁপায় বেলির মালা...কপালে লাল টিপ আর চোখে টানা কাজল ... তোমাকে সত্যি অনেক miss করেছি.... অজানা রাজকন্যা তুমি আসলেই কে ?? আমি সেই আগের মতই আছি ...সেই আগের মতই দুষ্টু রয়ে গেছি । আর কত wondrful moment এর অপেক্ষায় থাকব ?? বিধতা তুমি এমন কেন ? আমিতো Pendulum তাই না ?? ......কিন্তু কেন ?? Life তোমাকে middle finger !!!!!! “ (ঠিক সন্ধ্যা ৬ টায় একটা কল আসলো...আমি তখন শুয়ে ছিলাম...প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম...) হ্যালো ARiyan…?? -হ্যাঁ, কে ? [ঘুম ঘুম চোখে] Happy Birth Day… -thanx, কিন্তু আপনি কে? বলতো আমি কে? -কে ঊর্মি ?? [ঊর্মি আমার best friend এর নাম, আমি ভাবছিলাম ঊর্মি ছাড়া আর কে হবে...] না, আমি ঊর্মি না...cute boy বলতো কে ? -কে বাবুই?? হ্যাঁ তুমি বাবুই মানে রোদেলা ... রোদেলা ছাড়া কেউ তো আমাকে cute boy নামে ডাকে না ।

কিন্তু তুমি আমার নাম্বার পাইছো কিভাবে ? তোমার ফেবু account এর about থেকে পাইছি । আমার সাথে এখন ধানমণ্ডি ৮ নাম্বারে পানশি তে দেখা করতে পারবা?? -হ্যাঁ পারব। ২০ মিনিট লাগবে আমার আসতে। তুমি থাকো আমি আসতেছি... শঙ্কর থেকে রিক্সা করে আমি তোমার প্রিয় kitkat আর একটা লাল গোলাপ নিয়ে হাজির হলাম পানশিতে ... ঢুকতেই দেখি একটা মেয়ে অন্য দিকে মুখ করে ঘুরে দাঁড়ানো। নাম ধরে ডাক দিলাম “রোদেলা” যখন তুমি ঘুরলে আমি অবাক না হয়ে পারছিলাম না।

আসলেই মানুষ কোন কিছু মনে প্রানে চাইলে আল্লাহ তা মানুষকে মিলিয়ে দেয়, বিশ্বাস হচ্ছিল না !! লাল পাড়ের সাদা শাড়ি ,হাতে লাল কাঁচের চুড়ি আর কপালে একটা লাল টিপ দেয়া ছিলে। অসাধারণ লাগছিল তোমায়। আমার heart bit বেড়ে যাচ্ছিল , জানি না কেন ?? তুমি রোদেলা ? (একটা হাসি দিয়ে তুমি বললে) --হ্যাঁ Cute বাচ্চাটাকে অনেক miss করছিলাম। তাই তোমাকে আসতে বলছি । এটা তোমার জন্য .. [আমি বা হাতটা পিছনে রেখে ডান হাতটা বাড়িয়ে ] -kitkat !! thanx…বা হাত পিছনে কেন ? ঐ হাতে কি? কিছু না... -বের কর।

[ with ঝারি ] আচ্ছা করছি... চল সিঁড়িতে বসি। (আমার অনেক nervous লাগছিল... তুমি আমার কল্পনা থেকেও আলাদা ছিলে। একটা শিউলি কনার মত, চারটা সাদা পাপড়ি আর একটা কমলা বোঁটা ... সহজ সুন্দর। তুমি আমার পাশে পানশির সিঁড়িতে বসা ছিল। ভাবছিলাম তোমার হাতটা ধরব…হাত কাঁপছিল বারবার…ভয়ও হচ্ছিল… তবে অনুভব করছিলাম তোমার প্রতি আমার ভালবাসা ।

যখনি তোমার হাতটা ছুঁতে গেলাম তখনি তুমি আমার হাতটা ধরে বললে …) -গোলাপটা আমাকে দেবে না…? ভয় পেয় না তোমার রোদেলা আছে …থাকবে… ………………………………………………………………………………… হ্যাঁ তুমি এখনো আমার পাশেই আছো । জীবনের অনেকটা সময় এখনো বাকি। কথা দিচ্ছি চেষ্টার কোন কমতি থাকবে না এই ছোট্ট জীবনে তোমাকে সুখি করার। সত্যি বলছি হৃদয়ের সব ব্যাকুলতাকে তোমার জন্য করে দেব সুখের নহর । পিছাতে পারবে না কোন ঝড়ো হাওয়া ... ভুলিয়ে দেব তোমার শত অভিমান আমার অনুভবের ভালবাসা দিয়ে ।

তোমার কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে জোছনা বাসর শেষ হয়ে গেল টেরই পেলাম না... শীতল বাতাসে ভোরের স্নিগ্ধ আলো অঝোরে শিউলি কণার উপর উপচে পড়ছে... (ফ্রেশ হয়ে এসে...) বাবুই উঠো সকাল হয়ে গেছে...বাবুই... ?? কপলে ছোট্ট একটা চুমু , হাতে একটা লাল গোলাপ আর এক মগ কফি নিয়ে তোমার ঘুম ভাঙ্গালাম... Good Morning... --সকাল সকাল এতো romance , আবার গোলাপ ,বাহ্ ছেলে তো বড় হয়ে গেছে ...!! -মানে ?? জানোনা... মনিষীরা বলে যেসব পুরুষেরা তাদের wife কে চুমু দিয়ে সকাল শুরু করে তারা নাকি অন্যদের চেয়ে বেশি দিন বাঁচে...আমিও বাঁচতে চাই তোমায় নিয়ে আর কাটাতে চাই এমন অগুনন ভালবাসার সকাল । -- তাই ?? হুম... অনুভবে অনুভবে ভালবাসব যখন ভালবাসার আবীরে রাঙ্গাবো ও মন... © Anas Hassan ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।