আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামাত-ই-ইসলাম অবশ্যই গ্রহণযোগ্য কিন্তু পার হতে হবে প্রক্রিয়া। শিবিরের মেধাবি যুবকদের কাজে লাগাচ্ছে দেশের বিরুদ্ধে । (জনৈক শিবির নেতার সাথে কথোপকথন

কথা বলছিলাম স্থানিয় শিবিরের ওয়ার্ড সভাপতির সাথে যিনি আমার শিক্ষক ছিলেন ছোটবেলায় । ওনার কাছে আমি কোরআন মাজিদ পরেছি । উনি আমার বাসায় আসায় সমসাময়িক রাজনিতির কথা উঠল ,জামাত-শিবির এবং এই নানা কথা বার্তা আর কি । ওই কথপকথনের কিছুটা নিচে দিলাম । হুজুর আমাকে জিজ্ঞাস করলেন যে জামাত – শিবিরকে নিয়ে সমস্যাটা কোথায় ? তুমিতো আর তাদের কোন খারাপ রুপ দেখনি তাহলে তুমি কেন এর বিপক্ষে বল ? আমি--না জামাত-শিবির এর অবস্থান আমাদের দেশের প্রতি আসলে কিরুপ সেটা তারা সুজুগ পেয়েছিল শুধুমাত্র একবারই দেখাতে আর সেবার তারা বেইমানি করেছে ।

আমার হুজুর জবাবে বললেন যে ওই যুদ্ধটি লাগান হয়েছে চাল ছিল ভারতের আর উনারা ছিলেন অবস্থানের শিকার আর ব্লা ব্লা ব্লা । আমি – তাদেরতো উচিৎ ছিল দেশের মানুষের সাথে থাকা । সবার যা হত তাদের ও তাই হত । আচ্ছা সেতা যদি তুমি একদিকে রাখ আর কি তাদের কোন খারাপ কিছু পেয়েছ । দুইটা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছিল তাদের উপর ।

যেখানে বিএনপি আওয়ামিলিগ দেশ ধংস কইরা ফালাইতেছে আমি—হুজুর তাদের লক্ষ্য বহুদূর । তারা জানে এই মুহুরতে যদি এরকম কিছু করে তাহলেত আর দাড়াতেই পারবেনা মানুষের সামনে । আর তারা যদি আওয়ামিলিগ ,বিএনপির জায়গায় থাকতো তাহলে হয়ত দেশ আবার পশ্চিম পাকিস্তান বা পশ্চিম সৌদি আরব হয়ে যেত এতদিনে পারভেজ যুক্তি হল না কথায় তোমার , তাহলে কি আমরাও ওই দুই দলের মত দুরনিতিগ্রস্থ হব । আমি – না হুজুর আপ্নারা সেটা করবেন না কারন আপনারা ধর্মভিত্তিক রাজনিতি করেন । সুতরাং ওইরূপ করলে কালার হয়ে যাবেন ।

বল তাহলে কি করতে হবে জামাত – শিবিরকে যাতে তুমি ভাববা যে আমরা পিউর ? আমি – প্রথমত জামাত এর শীর্ষ নেতারা সরে যেতে হবে আস্তে আস্তে কেননা তারা এই দেশ চাননি এরপর আসতে আসতে যখন শিবির ক্ষমতায় আসবে মুল দলের যেটা হতে অন্তত আরও দশ বছর থেকে বিশ বছর লাগবে । তখন গিয়ে জামাত হবে পিউর । আমাদের লক্ষও ওই রকম ইনশাল্লাহ মানুষের মন আমরা জয় করবই হুজুর বললেন আমি -– না হুজুর ওইখানেই শেষ না আপনাদেরকে তখন প্রমান করতে হবে আপনাদের আচার ব্যাবহারে যে আপনারা এই মাটির সাথে বেইমানি করবেন না । কারন যখনি আপনারা সুজুগ পান তখনি পলটি মারেন । কেন তখন কেন এরুপ করা প্রয়োজন ? আমাদের নেতারাতো ততদিনে মারা যাবেন প্রায় সবাই ।

কিছুদের হয়ে যাবে শাস্তি তখন ওই অবস্থানে তখন আর কি প্রমান করব আমি--তখন প্রমান করবেন যে আপনারা আপনাদের পিতৃ হত্যার প্রতিশোধ নিবেন না । দেখেন শেখ হাসিনাও প্রথমে পিতা হত্যার বিচার করছে । পিতা আবার কে ? হুজুর বললেন । আমি--পিতা হল গোলাম আযম ,নিজামি,সাইদি, মুঝাহিদ এরা । আপনারা কি পারবেন এদেরকে ভুলে গিয়ে সারা জীবনের দেশের হয়ে কাজ করতে ? যদি পারেন মনে রাখবেন প্রথম ভোটটা আমার থাকবে জামাতের নামে ।

যাই হোক একজন শিবির কর্মীর সাথে তাদের ব্যাপারে কথা বলে ভালই লাগল। অনেক কথাই বলতে পারিনাই কেননা তিনি আমার শিক্ষক । আরও যে দিকটি উঠে এল আমাদের কথায় সেতি হল যে মুলত নিচের সারির জামাত নেতারা এবং শিবিরের নেতারাও চান এই যুদ্ধ অপরাধিদের বিচার হোক । কেননা ওই লোকগুলির জন্য তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে । জামাতের জন্য শিবিরের মত একটি মেধাবী এবং সুশীল তরুণ দল মানুষের ঘৃণার পাত্র হচ্ছে যাদেরকে ব্যাবহার করা হচ্ছে বিপথে কিছু উদ্দেশ্যপরায়ন লোকের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ।

একবারের জন্য খারাপ লাগল এই ভেবে যে কিভাবে এই তরুণ মেধাবীদের মেধাকে ব্রেইন ওয়াশের মাধ্যমে দেশ বিরোধী কাজে লাগাচ্ছে জামাত বলে রাখা ভাল অসাধারন মেধাবী ছাত্র আমার এই হুজুর । এই নর পিচাশরা যেমন ১৩,১৪,১৫ ই ডিসেম্বরে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের মেরে আমাদের দেশকে পিছিয়ে দিয়েছিল ঠিক তেমনি শিবিরের মাধ্যমে আমাদের মেধাকে আমাদেরই বিপক্ষে দাড়া করাচ্ছে । আমারা সবাই আশা করব ওই সব মেধাবিরা তাদের মেধা কাজে লাগাবেন এবং দেশের জন্য কাজ করবেন ,স্বাধীনতার পক্ষে থাকবেন । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।