আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যখন মডু ছিলাম

এইখানে শায়িত আছেন বাংলা ব্লগ ইতিহাসের কলঙ্ক... ২০০৮ এ যখন ব্লগিং শুরু করেছিলাম, তখনও জানতাম না ঢাকা নামক এই শহরটির ভেতরেই কত বড় আরেকটা শহর লুকানো। নাদান ব্লগার ছিলাম। প্রথম প্রথম লিখতাম শখের বশে। লেখার মধ্যে আঁতলামির পরিমাণটা উল্লেখযোগ্য ছিলো। পরে যখন বুঝলাম ব্লগের মানুষ আঁতেল হলেও পছন্দ করে আসলে ফান-টাইপ লেখা, তখনই লেখার ধরনটাও পাল্টে গেলো।

শখের লেখা দিন দিন পরিণত হচ্ছিলো হিটের লেখায়। সাধারণত এটাই হচ্ছে পারফেক্ট সময়, রক্ত গরম-অবুঝ নতুন ব্লগারটিকে দলে ভিড়াবার। দল? কিসের দল? বলছি সব... ২০০৮ এর ডিসেম্বরের কথা। ব্লগে 'আপনি যদি সামহোয়্যারের মডু হতেন........' নামের লেখাটা পোস্ট করেছি মাত্র, একটা ফোন এলো। ওপাশ থেকে নারীকণ্ঠ - "হ্যালো" আমি - "হ্যালো" - "নাফিস ইফতেখার বলছেন? - "জ্বী, বলছি, কে বলছেন? - "আমি ব্লগ থেকে বলছি, আপনার লেখার দারুণ একজন ভক্ত..." - "থ্যাংক ইউ, ব্লগ থেকে মানে কি? ব্লগে লেখেন? নাকি আপনি মালিক-টালিক কেউ?" - "কি মনে হয় আপনার? (স্মিত হেসে) - "আপনার কথা বলার কর্পোরেট গুছানো ভঙ্গি আর ঝরঝরে কনফিডেন্ট হাসি শুনেতো আপনাকে মালিক বাদে অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই।

আপনার পরিচয়তো আমাদের সবার 'জানা'। " - "বুঝেছেনই যখন তখন সোজা পয়েন্টে আসি। আপনার পোস্ট দেখলাম মাত্র। অন্য মানুষদের মডু বানিয়ে কি লাভ? নিজে মডু হবেন?" - "আমি? মডু? হাউ?" - "উঁহুঁ, বাকিটা জানতে হলে আপনাকে আসতে হবে। " - "কোথায়? সামুর অফিসে?" - "না, টিএসসি, রাজু ভাস্কর্যে, রাত ৩টায়, একলা আসবেন।

" - "রাত ৩টা!! একলা!!?? "মডু বানাবেন নাকি ছিনতাই করবেন?" - "সেটাতো আসলেই দেখবেন..." - "ওকে..." - বাই দ্য ওয়ে নাফিস, একটা কথা আপনাকে আগেভাগেই জানিয়ে রাখি। যদি একবার আসেন, There is no way to get back! ফিরে যাওয়ার আর কোন সুযোগ নেই..." - "মানে!!" - "মানে বলবো পরে... আগে আসুন... বাই... ভালো থাকুন..." জানার বাইয়ের উত্তর দেয়ার আগেই কলটা কেটে গেল। অজানা সব সম্ভাবনায় বুক ঢিপঢিপ করছে। যাবো? নাকি যাবো না? যদি কোন ফাঁদ হয়? পৃথিবীর আর কোন কিছুর ডাকে আমি রাত ৩টার সময় টিএসসিতে একলা যাবো না। কিন্তু এটাতো সামুর মডু হওয়ার ডাক।

কি করে সাড়া না দিয়ে থাকি আমি? কুত্তার লেজ কখনো সোজা হলেও হতে পারে। কিন্তু হিটখোর ব্লগারের হিটাকাঙ্ক্ষা কোনদিন মিটে না। শেষ পর্যন্ত আমি লাফাতে লাফাতে রাত ৩টার সময় টিএসসিতে গিয়ে হাজির। রাজু ভাস্কর্যের কাছে যেতেই দেখলাম আবছায়ার মতো দু'জনকে দেখা যাচ্ছে। এদের মধ্যে একজনের চেহারা এই অন্ধকারেও বেশ বোঝা যাচ্ছে - এতোটাই ফর্সা।

ইনি বিদেশী। আরেকটু কাছে যাওয়ার পর পাশে দাঁড়ানো ব্লগ মালকিনকে দেখলাম। "ওয়েলকাম নাফিস, ওয়েলকাম... ওয়েলকাম টু দ্য ওয়ার্ল্ড অব সামহোয়্যার ইন..." - সেই চেনা কর্পোরেট সুরে জানা স্বাগত জানালেন। আমি একটু হেসে দু'জনের দিকে তাকালাম। আমার গলা তখনও বেশ শুকনো।

এরপর কি হবে এই শঙ্কায়... "Nafi...sss... Heard a lot about you" - এবার আরিল্ড বললো। আবারো একটু হেসে আমি বললাম -"আমরা কোথায় যাবো?" জানা বললো - "আসুন দেখাচ্ছি..." ব্লগ মালিকদ্বয় আমাকে রাজু ভাস্কর্যের কাছে নিয়ে গেলেন। চারদিকে সামান্য একটা লোহার বেড়ার মতো আছে বটে, কিন্তু সেটা পেরনো এমন কোন কঠিন কাজ নয়। ওরা দু’জন অনায়াসেই পেরিয়ে গেলেন। এতো সহজে কি করে পারছেন? দেখে মনে হচ্ছে না জানি কতকালের অভ্যেস তাদের।

ভাস্কর্যের কাছে গিয়ে টর্চ বের করে ভাস্কর্যে গায়ে আঙ্গুল দিয়ে কি যেন টিপছেন নরউইজিয়ান ম্যান। কাছে গিয়ে বুঝলাম ভাস্কর্যের গায়ে পাথুরে রংয়ের মোবাইলের ন্যাভিগেশন কি'র মতো চারটা বাটন আর পাশে দু'টো বড় বাটন। কায়দা করে চাপ দিতেই নিচে নীলচে ব্যাকলাইট জ্বলে উঠছে। - "নাফিস, কোডটা শিখে রাখুন। আপ আপ, ডাউন, ডাউন, লেফট, রাইট.... তারপর পাশাপাশি এই দু'টো বড় বাটন - এ এবং বি।

↑ ↑ ↓ ↓ ← → A B আরিল্ড কোডটা কমপ্লিট করতেই ম্যাজিক! ভাস্কর্যের সামনের পাথর ফাঁক হয়ে দরজার মত খুলে গেলো। মাটির নিচে চলে গেছে অন্ধকার সিড়ি। "আসুন নাফিস", জানা বললেন। তারপর তিনিও নিজের টর্চটা জ্বেলে আরিল্ডকে নিয়ে নামতে থাকলেন। আমরা কয়েক থাপ নামার পর দরজাটা আপনিই বন্ধ হয়ে গেলো।

সিড়ির পাশের দেয়ালে জ্বলে উঠলো গোটা বিশেক লাইট। দরজা আর লাইটের স্বয়ংক্রিয়তা দেখে বুঝলাম চারপাশে মোশন সেন্সর লাগানো আছে। হঠাৎ আলোয় চোখে ক্ষাণিকটা সময়ের জন্য কিছু দেখছিলাম না। দৃষ্টি স্বাভাবিক হতেই বুঝলাম সিঁড়িটা প্যাঁচানো। ঘুরে ঘুরে কমপক্ষে ৫/৬ তলা নিচে গেছে।

সিঁড়ি দিয়ে নেমে একটা বিশাল হলরুমের মতো জায়গায় আসলাম আমরা। রুমটা ভর্তি নানানরকম যন্ত্রপাতি। প্রায় প্রতিটার সাথেই একটা করে মনিটরও জোড়া দেয়া। কিন্তু তার কোনটাই দেখে পিসি মনে হচ্ছে না। হলরুমে ঢোকার পথে বড় করে লেখা 'ARILD'।

দেখে একটু হেসে ব্লগ মালকিনকে জিজ্ঞেস করলাম, বাহ্ হাজব্যান্ডের নাম এত বড় করে লিখে রেখেছেন। এই রুমে কি উনি কাজ করেন নাকি? - "নাফিস, ওর নাম আরিল্ড নয়। ওর নাম থমাস... থমাস ক্লকারহগ। " - "মানে!" - "ARILD হচ্ছে Alien Research Institute and Laboratory Dhaka, সংক্ষেপে আরিল্ড। জানার মুখে কথাটা শুনে যেন আমার শরীর দিয়ে ঠাণ্ডা স্রোত বয়ে গেলো।

- "২০০৩ এ নরওয়েতে একটা রিসার্চ ফ্যাসিলিটিতে Deep Space Photography'র কাজ করতো থমাস। কাজ করতে গিয়ে থমাস ৭২০ আলোকবর্ষ দূরের DEBORAH-113 গ্যালিক্সির একটি গ্রহে প্রাণের সন্ধান পায়। কিন্তু এ কথা রিসার্চ সেন্টারের কাউকে না জানিয়ে নিজের বাসাতেই গবেষণা শুরু করে থমাস। ওর প্রজেক্টের নাম ছিলো Somewhere in... Space..." আমি একটা কথা বলতে নিচ্ছিলাম। জানা থামিয়ে দিয়ে বললেন - "হ্যাঁ, আপনি ঠিকই ধরেছেন, 'সামহোয়্যার ইন...' নামটা ওখান থেকেই এসেছে।

প্রজেক্টে কাজ করতে করতে একদমই পরীক্ষমূলক পর্যায়ে থাকা নতুন Dimensionaml Time Window প্রযুক্তি ব্যবহার করে এলিয়েনদের সাথে সংকেতিক ভাষায় যোগাযোগ করে থমাস। কিন্তু নরওয়ের আইনে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, এলিয়েনদের সাথে যোগযোগের কোন ধরণের চেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। আর তাই নরওয়েতে বসে আর এই গবেষণা কাজ চালানো সম্ভব হচ্ছিলো না। প্রয়োজন ছিলো এমন কোন একটা জায়গা যেখানে গিয়ে নীরবে-নিভৃতে কাজ চালানো যায়। তখন নাম পরিবর্তন করে থমাস চলে আসে ঢাকায়।

প্রথমে পুরনো ঢাকার একটা দোতলা বাড়িতে আমরা কাজ চালাতাম। সেটাও ২০০৪ এর কথা..." - "এক মিনিট! এক মিনিট! থামেন! কি বলছেন এসব? আমারতো শুনে মাথা ঘুরাচ্ছে। " - "নাফিস, এতোটুকু শুনে যদি আপনার মাথা ঘুরায় তাহলে এরপরের ঘটনা শুনলেতো আপনি ফিট হয়ে যাবেন। ২০০৪ এর শেষের দিকে এলিয়েনরা ডাইমেনশনাল পকেট দিয়ে তাদের স্পেসশিপ চালিয়ে পৃথিবীতে আসে। এই যে বিশাল রিসার্চ ফ্যাসিলিটি দেখছেন- আপনার মনে হচ্ছে না যে কি করে আমরা এটা বানালাম? মাটির ওপরে কাউকে না জানিয়ে?" - "হ্যাঁ, ততো অবশ্যই..." - "এ সবই আমাদের করে দিয়েছে এলিয়েনরা।

মাটির নিচ দিয়ে এই সুড়ঙ্গ আরও প্রায় ৩০০ ফিট গভীরে গিয়েছে। আর আয়তনে ঢাকার প্রায় সিকিভাগ। - "কিন্তু আপনারা করেন কি এখানে?" - "রিসার্চ। এলিয়েনদের থেকে জীন নিয়ে তা মানুষের শরীরে ইমপ্ল্যান্ট করি। এলিয়েনদের সাথে পাশের মাইনাস গ্রহের যুদ্ধ চলছে এবং ওদের অনেক অনেক দক্ষ যোদ্ধা প্রয়োজন।

আর তাই পৃথিবী থেকে মানুষ নিয়ে আমরা প্লাস গ্রহে চালান দেই। মানুষ বাছাই করতে আমরা এলিয়েনদের সামুর পুরো ডেটাবেস দিয়েছি। - "গ্রহের নাম প্লাস আর মাইনাস? এটা কি আপনাদের দেয়া?" - "হ্যাঁ। আসল নাম সিগ্রি আর অ্যান্ডোল্প... কারা ভালো আর কারা খারাপ সেটা বোঝাতেই প্লাস-মাইনাস নামের ব্যবস্থা..." - "আসল নামগুলো বিদঘুটে, প্লাস আর মাইনাসই ভালো। " - "আপনাদের মত ইয়াং আর ট্যালেন্টেড ব্লগারদের দিয়েই আমরা এই রিসার্চ ফ্যাসিলিটিটা চালাই।

আপনারই মত আরও অনেকে আমাদের সাথে যোগ দিয়েছেন। " - "এরকম গোপন বিষয় কখনও কোন ব্লগার ফাঁস করেনি? কি করে সম্ভব?" - "আপনি করবেন? এটা জেনেও যে এই লোকগুলোর সাথে এলিয়েনদের সম্পর্ক আছে... এরা লোক গুম করে অন্য গ্রহে চালান করে দেয়... আপনি সাহস করবেন ফাঁস করার?" যে বিষয়টা এতোক্ষণ বুঝিনি তা চট করে মাথায় খেলে গেলো। সত্যিই তো! অভেদ্য আইডিয়া এদের! কে সাহস করবে তথ্য ফাঁসের? চিন্তা করতে করতে হঠাৎই দেখি ল্যাবের একটা রুম থেকে ঠিকরে উজ্জ্বল আলো বেরোচ্ছে... আঙ্গুল দিয়ে ওদিকে দেখিয়ে জিজ্ঞেস করতেই জানা বললেন- "ওখানে আমাদের একজন এলিয়েন বন্ধু আছেন। চলুন দেখা করাই। " ভয়ে আমার হাত-পা পুরোপুরি ঠাণ্ডা।

রুমের সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই দেখি একজন সাদা আলখাল্লা পরা লোক মাথা অব্দি ঘোমটা দেয়া- ল্যাপটপে বসে কি যেন খিটির-পিটির করছে। জানা জানালেন - "উনি হচ্ছেন লোকালটক। এলিয়েনদের পক্ষ থেকে এখানে কাজ দেখভাল করেন। সামুর ডেটাবেসে ওনার অবাধ অ্যাকসেস আছে। সেখান থেকেই উনি যোদ্ধা সিলেক্ট করেন।

ওনার আবার ব্লগিংয়ের শখও আছে। " লোকটা ফিরে এবার আমাদের দিকে তাকিয়েছিলো, কিন্তু ঘোমটার ভেতরে আমি কোন মুখ দেখতে পাইনি। শুধু একরাশ অন্ধকার। ঠিক বাইরের রাতের মতো। আরিল্ড... থুক্কু... থমাস এতোক্ষণ চুপ ছিলেন।

আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, "নাফিস... ছলো... ঠোমার কন্ট্র্যাক্ট পেপারে সই খরবা। " আমাকে একটা কালো আলখাল্লা পরানো হলো। ‌উভয় ব্লগ মালিকও পরে নিলেন তাদের আলখাল্লা। এরপর উল্টোদিকের একটা রুমে নিয়ে যাওয়া হলো। সেখানে গিয়ে দেখি আমাদেরই মতো আলখাল্লা পরা আরও প্রায় ১৫-২০ জন।

রুমের মাঝখানে জ্বলা আগুন ঘিরে দাঁড়ানো সবাই। এদের অনেককেই আমি চিনি, কাউকে ব্লগের প্রোফাইল পিকচার থেকে, কাউকে বা আলাখাল্লার বুকে লেখা নাম দেখে। আলখাল্লা পরা একজন এসে আমার ডান হাতের তর্জনীতে ছুরি দিয়ে একটু টান দিলো। হাতেগোনা কয়েক ফোঁটা রক্ত গড়ানোর আগেই কন্ট্র্যাক্ট পেপারে ফেলা হলো। আমার মধ্যে কিছুটা অজ্ঞান ভাব চলে এসেছিলো।

চারপাশের সবকিছু বুঝে উঠতে একটু সময় লাগছিলো... কেমন জানি ধোঁয়াশা লাগছিলো সব... অতঃপর... # আমি ARILD এ মোট ৩ বছর কাজ করেছি। এ সময়ে প্রায় ১৮ হাজার যোদ্ধা আমরা প্লাস গ্রহে চালান দিয়েছি। ডেটাবেস পদ্ধতি ছাড়াও ব্লগের অফিশিয়াল আড্ডা থেকে ফেরার পথেও অনেককে গুম করা হয়েছে। # দীর্ঘ ৩ বছরে কৌশিক, একরামুল হক শামীম, চিকনমিয়া, রাতমজুর, সবাক এবং দুর্যোধন এর মতো প্রতিভাবান ব্লগাররা আমাদের সাথে কাজ করেছেন। এদের কেউই কখনোই ARILD এ কাজ করার কথা স্বীকার করেননি এবং করেন না।

# ২০১১-তে মাইনাস গ্রহকে হারিয়ে প্লাস গ্রহ যুদ্ধে জয়লাভ করে। স্মৃতিস্মরূপ ওই বছরই ব্লগ থেকে মাইনাস বাটন বিলুপ্ত করা হয়। # লোকালটক ব্লগে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নিকে লিখলেও তার কোনটিই ২০১১ এর পর থেকে আর এলিয়েন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে না। নিকটি বর্তমানে মানুষ দ্বারা পরিচালিত। # দীর্ঘদিন এলিয়েন সহায়তার কারণে ব্লগের দিকে নজর দিতে পারেননি দুই ব্লগ মালিক।

২০১১-তে Somewhere in... Space প্রজেক্টের সমাপ্তির পর প্রথমবারের মতো ব্লগে কোন পরিবর্তন আনার চিন্তা তাদের মাথায় আসে। এর প্রমাণ পাওয়া যাবে সম্প্রতি ব্লগের লেআউট ও ডিজাইনে পরিবর্তন আনার চিন্তায়: http://new.somewhereinblog.net # পোস্টের সকল ঘটনা সত্য।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।