আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাক উপমহাদেশে হানাফী মাজহাব বনাম ইংরেজ সৃষ্ট আহলে হাদিস সম্প্রদায়।

মুসলমানরা আজ পদে পদে লাঞ্চিত ্ মুসলিমের কান্নায় ভারি হয়ে উঠছে আকাশ বাতাস ্ নদীর পানিতে ভেসে যাচছে মজলুম মুসলমানের লাশ ্ নিষ্পাপ শিশু সহ নারিরা ও বাদ যাচ্ছেনা জুলুমের হাত থেকে ্ পাশের মুসলিম দেশেও তাদের ঠাই হচ্ছেনা ্ মুসলমানের এই করুণ পরিনতিতেও আমরা ব্যক্তি স্বার্থ নিয়ে বিভিন্ন দলে বিভক্ত ্ আমরা জনসাধারণ যখন বিজাতীয়দের হাতে মার খাচ্ছি তখন গড়পড়তা সবাই খাচ্ছি ্ এখানে কে মাজহাবি কে লামাজহাবি, কে দেওবন্দী কে রিজভী, কে মিলাদ পড়ে কে পড়েনা, কে ভন্ড কে ভাল দেখা হচ্ছেনা ্ তাই একতা আজ সময়ের দাবি ্ কিন্তু এক হোয়া যেন আকাশ কুসুম ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে ্ কারণ মুসলমানদের পিছনে কতগুলো আপশক্তি কাজ করে যাচ্ছে ্ আর কাজটা করছে ইসলামের নাম দিয়েই ্ তাই এদেরকে আগে চিন্হিত করে নিতে হবে ্ এই বিভক্তির খেলা শুরু হয় ইংরেজ আগমনের পর থেকে ্ তার আগে আমাদের পাক উপমহাদেশে (ভারত পাকিস্তান, বাংলাদেশ) ধর্মিয় বিভক্তি ছিলনা ্ যত মুসলিম রাজা বাদশা ছিলেন সবাই ছিলেন হানাফি মাজহাবের্ টিপু সুলতান, শাহজাহান,জাহাংগির আর যত হাকিম বংশ গোলাম বংশ, খিলজী বংশ ঘুরি, সূরি সাদাৎ তুঘলক মোগল বংশিয় বাদশা সবাই ছিলেন সুন্নী(বর্তমানের সুন্নি নামধারি রিজভীরা নয়) হানাফী ্ এবং ইসলাম কোরান হাদিস আনয়নের সৌভাগ্য হানাফীদের ই হয়েছিল্ এই বাস্তবতাকে লামাজহাবী সিদ্দিক হাসান খান ও আস্বীকার করতে পারেননি ্ তিনি তার তরজুমানে ওহাবিয়ার ১০ পৃষ্ঠায় লেখেন "যখন থেকে ইসলাম এ এলাকায় আসে তখন থেকে হিনদুসথানের মুসলমানদের সার্বিক আবোস্থা হল এইযে, যেহেতু আধিকাংশ লোক বাদশার মত পথ মাজহাবের আনুস্বরণকেই পছন্দ করে, একারণে তারা সূচনা থেকেই হানাফী মাজহাবে পরতিষ্ঠিত্" আর এখানে এই মাজহাবের আলেম এবং ফারেগিনরাই বিচারক, মুফ্তি ও হাকিম হয়ে থাকে্ মুইজুদদীন, সাম, ঘুরী , সুলতান মাহমুদ গজনবী, অরংগজেব, থেকে সায়্যেদ আহমদ বেরেলবি ১২৭৩ হিঃ পর্যন্ত ইতিহাসে গাইরে হানাফী কোন গাজী বিজেতা আথবা মুজাহিদ পাঔয়া যাবেনা ্ কাশ্মীরের ঐতিহাসিক তারিখে ফেরেসতা পৃঃ ৩৩৭ এ লেখা " আমি দেখেছি এদেশের সবাই হানাফী মাজহাব পন্থী" ্ তাহসীলুত তায়াররুফ পৃঃ ৪৬ এ শাহ আঃ হক মুহাদ্দেসে দেহলভি রহঃ বলেন " মা ওরাউন্নাহার ও হিন্দের সবাই ছিলেন হানাফী"্ >>চলবে>>

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।