৭১এ পাকিন্তানিরা আমাদেরকে জাতীগত ভাবে হত্যা করতে চেয়েছিল গরম মাথায়, গোলা-বারুদ দিয়ে। তাদের সেদিন রুখে দিয়েছিল আমাদের দামাল যুবকরা। তারা সফল হয়নি। কিন্তু আজ হতে বসেছে....
ঘরের ইঁদুর বাঁধন কাঁটছে নিদারুণ ভাবে। ফরমালিনের মতো বিষ মিষিয়ে দেয়া হচ্ছে খাবারে।
ফেনসিডিল, ইয়াবার মতো শত প্রকারের পয়জন ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে যুবকের রক্তে।
সিনেমা, নাটকে, পোষাকে, বলনে- আধুনিকতার নামে শেখান হচ্ছে পরচর্চা। বলি দেয়া হচ্ছে আপন সংস্কৃতিকে।
বারবার শ্রমিক আন্দোলনের নামে দেশি উৎপাদনকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।
এভাবে চলতে থাকলে খুব বেশিদিন দরকার হবে না- আগামী ২০ বছরের মধ্যে জাতীগত ভাবে আমাদের মৃত্যু অনিবার্য।
ফরমালিন, ইয়াবা, ফেনসিডিলের নীল দংশনে যুবসমাজের মগজ হবে ঘুন পোকার বাসা। তারা প্রতিকার বা প্রতিরোধের ভাষা হারিয়ে ফেলবে। থাকবেনা কোনো কর্মক্ষমতা। নিজেস্ব সংস্কৃতি দেখতে যেতে হবে যাদু ঘরে। খেয়াল করলে ছিটেফোটা এখনই দেখা যায়, অনেক মেয়েকে বলতে শোনা যায় সে ডাল রাধঁতে জানে না, কিন্তু চাইনিজ, থাই রাধঁতে জানে।
শাড়ী পরতে পারে না, শরীরে টাটু আঁতে জানে।
এগুলো এখন আমাদের জাতীয় সমস্যা। বাঁচা-মরার সমস্যা। অথচ এসব নিয়ে কোনো আন্দোলন নেই। মানববন্ধন নেই।
প্রতিরোধের চেষ্টা নেই।
অত্যান্ত সুক্ষ কৌশলে আমাদেরকে গণহত্যা করা হচ্ছে। শারিরীক, মানষিক, সাংস্কৃতিক ভাবে আমদেরকে দেউলিয়া করা হচ্ছে। পারিবারিক বন্ধন ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে। অর্থনৈতিক ভাবে পরনির্ভর করা হচ্ছে।
অথচ হায়... আমরা আছি আমাদের কামড়া-কামড়ি নিয়ে।
সময়ের গণহত্যা রুখতে এখনি এগিয়ে আসতে হবে আমাদের। গড়ে তুলতে হবে আন্দোলন। আওয়াজ তুলতে হবে নিজনিজ জায়গা থেকে... এবং তা আজই...... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।