অসহ্য কিছু ব্যাপার এই দুনিয়াতে আছে। এর মধ্যে অন্যতম হল কোন ব্লগে অ্যাকাউন্ট খোলা.। উফফ... ... :( কোষ্ঠ-কাঠিণ্যতা কি?
জটিল কোন সংজ্ঞায় যাব না। সহজ বাংলায় কথা বলতে পছন্দ করি। কোষ্ঠ-কাঠিণ্যতা হল সেই রোগ যার কারনে আপনি সহজে মলত্যাগ করতে পারেন না।
গ্রাম বাংলায় এমনকি শহরেও অনেক জায়গায় একে "কষা-পায়খানা" বলে থাকে। বর্তমানে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্ররা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পানের অভাব এই রোগের প্রধান কারন বলা চলে। একে রোগ না বলে বিশেষ শারীরিক অবস্থা বললেও অত্যুক্তি হয় না। আমি এখানে রোগের কারনের চেয়ে রোগের প্রতিরোধের দিকে গুরুত্ব দিতে আগ্রহী।
প্রতিরোধের উপায়
কোষ্ঠ-কাঠিণ্য হলে প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন।
কোষ্ঠ-কাঠিণ্যতা হলে দৈনিক খাবারের সাথে কলমী শাক ও সজিনার পাতা সেবন করুন।
পাকা পেঁপে মাঝে মধ্যে খাবেন।
কাঁচা পেঁপের তরকারী বেশি করে খাবেন।
ইসবগুলের ভূষি ও বেলের শরবত খাবেন।
আঁশ বা খোসা যুক্ত খাবার খাবেন।
নিয়মিত অলিভ ওয়েল সেবন করবেন। (খাওয়ার অলিভ ওয়েল কিন্তু আলাদা)
এরন্ডার তৈল রাতে শোবার সময় হাফ (১\২) চামচ সেবন করবেন।
অতিরিক্ত মশলা ও তৈলাক্ত যুক্ত গুরুপাক খাবার কম খাবেন।
ধুমপান ও নেশা জাতীয় পদার্থ সেবন পরিহার করুন।
অতিরিক্ত ঘুম জাগলে কোষ্ঠ-কাঠিণ্যতা হতে পারে। তাই নিয়মিত পরিমান মত ঘুমান।
মল ত্যাগে পূর্বে পানি পান করুন।
ফলমূল ও সবুজ শাকসবজি বেশি করে খাবেন।
সকল কোষ্ঠ-কাঠিণ্য রোগীদের প্রতি শুভকামনা।
বিদ্রঃ লেখায় কোন ভুল-ত্রুটি পেলে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।