জোর হোক শুধু গলার আওয়াজ, গায়ের জোরটা তোলাই থাকুক গত দুদিন থেকে বিভিন্ন ধরনের ফতোয়ায় আমি জর্জরিত
অনেককে কনফিউজডও দেখছি।
আগে ছিল শুধুমাত্র কাঠ মোল্লাদের ফতোয়ার অত্যাচার। এখন প্রগতিশীল লাইনেও ফতোয়ার চর্চা শুরু হল দেখি।
রাতে/দিনে কখন শুভেচ্ছা জানানো যাবে, কথন যাবে না - এই বিষয়ক ফতোয়া।
কোনটা আমাদের সংস্কৃতি, সংস্কৃতি না - ফতোয়া।
এমনকি মাছ, শাকও - ফতোয়ার আওতা থেকে বাদ যাচ্ছে না।
এসবের ছোট খাট বিষয় নিয়ে, ফেসবুক ব্লগে চলছে একের পরে এক ফতোয়া।
এটা কেমন প্রগতিশীল আচার রে ভাই?
জীবন-আচার, সংস্কৃতি কি কোন স্থায়ী জিনিস? স্থির করে রাখার বিষয়?
আমাদের এই উপমহাদেশের আদি গ্রন্থ - বেদ এ উল্লেখিত সময় ব্যবস্থায় কি এদেশের মানুষের এখন চলা সম্ভব? আমার কথা দুরে থাক; কোন আচার নিষ্ঠ ব্রাহ্মণের পক্ষেও কি সম্ভব?
সঙ্গীত রত্নাকরে - আদি রাগগুলো যেমন ছিল, আজ কি সেই রূপে আছে? সেই মালকোষ, ভৈরবী কি এখন কেউ গায়?
নাট্যশাস্ত্র পূর্ণ ভাবে মেনে কি আজকের নাটক করা সম্ভব?
এই জনসংখ্যার যুগে, বাস্তু-শাস্ত্র মেনে ঘরবাড়ি করা সম্ভব?
এত দুরেই বা যাব কেন?
বঙ্কিম চন্দ্র বা মীর মোশারফের ভাষায় লিখত, আমরা এখন সেই ভাষায় লিখব?
ওটা আমাদের অগ্রজদের সংস্কৃতি, আমাদের নয়।
ওগুলো আমাদের সংস্কৃতির ভিত্তি, আমাদের সংস্কৃতি নয়।
সেই ভিত্তির উপরে দাড়িয়ে প্রায় প্রতি ৭০ বছরে আমাদের সংস্কৃতি পালটে গেছে।
পরিবর্তন হয়েছে - আমাদের সহজাত পরিবর্তনের রুচির কারণে; প্রযুক্তির কারণে।
আমরা আদি সংস্কৃতির মুল ইস্পিরিট নিয়ে নতুন সংস্কৃতি তৈরি করেছি।
আগামীতেও তাই হবে।
সেটাই নিয়ম। সেই পরিবর্তনকে মেনে নেয়াই প্রগতিশীলতা।
আপনি যতই ঠেকান - আগামী ৫০ বছর পরে রবীন্দ্র সঙ্গীতের ঢং পাল্টে যাবেই।
আপনার নাতি আপনার ভাষায় কথা বলবে না।
তাই অনুরোধ করি :
ধর ধর, গেল গেল - টাইপ আচরণ গুলো দয়া করে বন্ধ করেন।
মানুষকে স্পেস দেন।
ফেসবুক, টুইটার, স্মাটফোনের যুগে - নতুন সংস্কৃতির বাঁক নিতে দেন।
বড়জোর মুল ইস্পিরিট টা ধরতে সাহায্য করেন।
====
আ..রি..রে.. আ..রি..রাং..
সু..রি..রে.. আরি..সুরি..রাং ...
(এ গানটা কিন্তু বাংলার আদি সুরে করা এ যুগের বাংলা গান)
====== ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।