টানা কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টি, সিলেট শ্রীমঙ্গল সব থৈ থৈ। হামহাম ঝর্না যাবার প্ল্যান বাতিল......... তার উপর আবার ক’দিন আগেই মাধবকুন্ডে কমার্স কলেজের তিন ছাত্রের মৃত্যু............ সব মিলে এবারের সিলেট ট্যুরটা বেশ হযবরল হয়ে গেলো। দুধের সাধ কি আর ঘোলে মেটে ! তবে মাধবকুন্ডের ছোটবোন পরীকুন্ড দেখে দুঃখ কিছুটা হলেও ঘুচলো ! বেশির ভাগ ট্যুরিস্টরা এখনও পরীকুন্ডের সন্ধান খুব বেশি জানে না, তাই প্রকৃতির সৌন্দর্য সবই এখনও অটুট। তাছাড়া এই বর্ষায় যৌবন পেয়েছে সব ঝর্নাই, আসুন দেখা যাক !
প্রথমেই - মাধবকুন্ড। সকাল বেলা লোকজন নেই, নিরিবিলি রূপ
অবিরাম ধারায় পড়া জলরাশি বয়ে চলে এই পাথুরে মাধবকুন্ড ঝিরি ধরে
মাধবকুন্ড ঝরনার শখানেক গজ সামনে একটা শিব মন্দির পড়ে।
এই মন্দির থেকে মাধবকুন্ড ঝিরির দিকে চলে গেছে লম্বা বাধানো সিড়ি। সিড়ি বেয়ে নেমে গেলাম।
পাথুরে ঝিরিটা পার হয়ে যাই............ পানিতে বেশ স্রোত আছে।
এবার বেশ মসৃণ একটা ট্রেইল......... হাটু পানির বেশি হবে না কোথাও। ড্যাংডেঙ্গিয়ে হেটে গেলাম প্রায় মিনিট দশেক.........
ঐ দূরে কি যেন দেখা যাচ্ছে !!!!
ঝর্নার নাম পরীকুন্ড।
এই নাম কেন? জিজ্ঞেস করলাম পাশের এক পান শ্রমিক জ্যোতিষদা কে। তিনি বললেন, এখানে নাকি পরীরা স্নান করতে আসে !!!!
এই সৌন্দর্য চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না...............
সুযোগ থাকলে এই বর্ষায় দেখে আসুন এই বৃষ্টিকন্যাকে। তবে সাধারণত মাধবকুন্ড ইকোপার্কের লোকজন আপনাকে নিরুৎসাহিত করতে পারে এটি দেখার জন্য (কেন? জানি না !!)। জ্যোতিষদার ভাবে ভঙ্গীতে মনে হলো কোন ধর্মীয় বিষয় টিষয় থাকতে পারে। উনি আমাদের বলেছিলেন, অনেকে নাকি এই ঝর্ণায় গোসল করতে এসেছিলো, পরীরা তাদের মেরে ফেলেছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
(পরীদের প্রাইভেসী আছে না )
আচ্ছা............ পরীদের হাতে খুন হতে কেমন লাগবে ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।