আপাতত ঘুরপাক খাচ্ছি! এই পোষ্টের বেশীরভাগ ফুল বুনো। চলার পথে বিশেষ করে মেঠো পথ বা গ্রাম্য পথে ঝোপঝাড়ে ফুটে থাকতে দেখা যায়। কেউবা বড় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে মাথা উচু করে সবার নজর কারে। তাদের রূপ সৌন্দর্য দিয়ে মানব মন আকৃষ্ট করে।
ফুল বিশেষজ্ঞ ছাড়া এত সব ফুল চেনা সম্ভব না।
বেশীরভাগ ফুলের ছবি দেশের এখানে ওখানে ঘোরার পথে তোলা। সেই ফুল গুলোর অন্তত নামটা জানার খায়েশে এই পোষ্টের অবতারণা। কয়েকটা ফুলের নাম জানতাম। বাকীগুলোর জন্য এখানে ওখানে সার্চ করে বইয়ের পাতা ঘেটে জানতে পারলাম। সব মিলিয়ে যে কয়টার নাম জানা গেল তাদের নাম, সংক্ষেপে বর্ননা ও ঔষধিগুণ দিয়ে দিলাম।
বাকীগুলোর নাম পরিচয় গুণাগুণের জন্য সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
১। বনজুঁই/ভাট ফুল/ঘেটু (বৈজ্ঞানিক নামঃ Clerodendrum viscosum)
ছোট আকৃতির নরম শাখা প্রশাখা বিশিষ্ট ঝোপ জাতীয় গাছ। সবুজ পাতা। সাদা ফুল।
ফুলের মাঝখানে লালচে পুষ্পদন্ডে থোকায় থোকায় অনেক ফুল কলি এক সাথে হয়। বাংলাদেশের সর্বত্রই দেখা যায়। বীজ থেকে গাছ হয়। বর্ষাকালে বেশী ফুল ফোটে।
ঔষধিগুণঃ চর্মরোগ, ম্যালেরিয়া, পোকামাকড়ের কামড়ে উপকারী।
২। আকন্দ (বৈজ্ঞানিক নামঃ Calotropis gigantean)
আকন্দ দুই প্রকার। শ্বেত ও লাল আকন্দ। গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। গাছের উচ্চতা ৩-৪ মিটার।
বাংলাদেশের সর্বত্র দেখা যায়। সারাবছরই ফুল ফোটে। তবে বর্ষাতে বেশী ফোটে।
ঔষধিগুণঃ পাকস্থলির ব্যথা নিবারক, দাদ, অর্শ্ব, ক্রিমি ও শ্বাসকষ্টের উপকারী।
৩।
মান্দার (বৈজ্ঞানিক নামঃ Erythrina indica)
ছোট থেকে মাঝারি আকৃতির ও দ্রুত বর্ধনশীল। ফেব্রুয়ারী-মার্চ মাসে ফুল ফোটে। হলদে সবুজ পাতা। গাঢ় লাল ফুল।
ঔষধিগুণঃ পাতার রস অরুচি নাশক, কফ ও বায়ু নাশক, কৃমি নাশক ও চক্ষু রোগের উপকারী।
৪। পলাশ (বৈজ্ঞানিক নামঃ Butea monosperma)
মাঝারি আকারের শাখা প্রশাখা যুক্ত গাছ। গাছে ফুল ফোটার সময় সব পাতা ঝড়ে যায়। সমস্ত গাছ ফুলে ফুলে ছেয়ে যায়। কমলা রঙের ফুল।
ঊর্ধ্বমূখী ফুলের পাপড়ী। ফুলে কোন গন্ধ নেই। খয়েরী রঙের ছোট ফল হয়। ফ্রেব্রুয়ারী মাসে ফুল ফোটে।
ঔষধিগুণঃ বীজ কৃমির এক মহৌষধ।
গাছের ছাল কুষ্ঠরোগে ব্যবহার হয়।
৫। চোরকাঁটা/প্রেমকাঁটা (বৈজ্ঞানিক নামঃ Chrysopogon aciculatus)
ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ। রাস্তার ধারে বা উঁচু জমিতে জন্মে। বর্ষাকালে ফুল ফোটে।
পুষ্পদন্ড প্রায় ৩০ সেমি লম্বা। ঘাসের উপর দিয়ে চলাচলের সময় মানুষের কাপড়ের সংস্পর্শে আসলে কাপড়ে বিধে যায়। বীজ ও শেকড় থেকে চারা হয়। ঔষধিগুণ আছে।
৬।
দাঁতরাঙা/বন তেজপাতা/লুটকি (বৈজ্ঞানিক নামঃ Melastoma malabathricum)
ছোট আকৃতির শাখা প্রশাখা ছড়ানো নরম গাছ। তেজপাতার মত পাতা বলে একে বন তেজপাতাও বলে। পাঁচ পাপড়ির বেগুনি রঙের ফুল, মাঝখানে হলুদ। বর্ষাকালে এই ফুল বেশী ফোটে। বীজ ও কাটিং থেকে এই গাছ হয়।
ঔষধিগুণঃ পাতা আমাশয় ও পেটের অসুখে খুবই উপকারী।
৭। ঢোল কলমী (বৈজ্ঞানিক নামঃ Ipomoea fistulosa)
শক্ত ডাঁটির ঝোপড়ানো গাছ। পাতা সবুজ ও লম্বাটে। হালকা বেগুনী রঙের ফুল।
কাটিং থেকে গাছ হয়। যে কোন পরিবেশ ও আবহাওয়ায় টিকে থাকতে পারে। আদিবাস দক্ষিণ আমেরিকার পেরু ও বলিভিয়া। বেড়া ও জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বর্ষাকালে এই ফুল বেশী ফোটে।
৮। কলাবতী/সর্বজায়া/ফেনা (বৈজ্ঞানিক নামঃ Canna indica)
এশিয়া ও আমেরিকার গ্রীষ্মমন্ডলীয় (ফ্লোরিডাসহ) অঞ্চলের ফুল। লাল, হলুদ, গোলাপী, কমলা, খয়েরী ছাড়াও মিক্সড কালারের দেখা যায়। পাতা সবুজ ও মিক্সড কালারের। বর্ষাকালে বেশী ফোটে।
৯। কাঁটাবেগুন/কন্টিকারি (বৈজ্ঞানিক নামঃ Solanum surrattense)
ছোট ঝোপাকৃতির শাখা প্রশাখা ছড়ানো গাছ। ১-২.৫ মিটার উচ্চতা। সবুজ পাতা। শীতকালে বেশী ফুল ফোটে।
সাদা ফুলের মাঝখানে হলুদ রঙ। ফুলের গোড়ায় প্রচুর ধারালো কাঁটা থাকে। ভিজে ও স্যাতস্যাতে জায়গায় ভাল জন্মে।
ঔষধিগুণঃ গণোরিয়া, কফ, বুক ব্যথা।
১০।
ভেরেন্ডা (বৈজ্ঞানিক নামঃ Richinus communis Linn.)
বাংলাদেশের সর্বত্রই জন্মে। অনেক ডালপালাযুক্ত মাঝারি আকৃতির নরম কাষ্ঠল গাছ। আদিনিবাস দক্ষিণ আমেরিকা। একই ডালে স্ত্রী ও পুরুষ ফুল আলাদাভাবে ফুটে থাকে।
ঔষধিগুণঃ সমস্ত গাছটিই ঔষধী কাজে লাগে।
রক্ত আমাশয়, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কফনাশক ও ফোঁড়ার কাজে লাগে। বীজের তেল নানা রকম ব্যথা, বাত ইত্যাদি কাজে মালিশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
১১। লান্টানা (বৈজ্ঞানিক নামঃ Lantana camara)
ছোট গাছ, ডালপালা ছড়ানো ঝোপাকৃতির। পৃথিবীর অনেক দেশেই বনফুল হিসেবে পরিচিত।
বাগানপ্রেমীদের কাছে জনপ্রিয় ফুল। ছোট সবুজ পাতা। ছোট আকৃতির হলুদ, লাল ও হালকা গোলাপী রঙের ফুল। এই গাছের আদিবাস আমেরিকায়। গাছের পাতা গবাদি পশুর জন্য বিষাক্ত খাবার।
ফুলগুলি সম্পূর্ণ ফোটার পর রঙ বদলায়। পীত থেকে কমলা, কমলা থেকে লাল রঙের হয়। সারা বছরই ফুল ফোটে। বর্ষাকালে বেশী ফোটে।
ঔষধিগুণঃ জ্বর, চর্মরোগে উপকারী।
১২। লজ্জাবতী (বৈজ্ঞানিক নামঃ Mimosa pudaca)
শাখা প্রশাখা মিশ্রিত গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এর শক্ত চিকন ডালে কাঁটা থাকে। সারা বছরই ফুল হয়। বর্ষাকালে বেশী হয়।
পাতা পক্ষল যৌগিক, সবুজ রঙের। ফুল দেখতে হালকা গোলাপী রঙের গোল আকৃতির। অনেকটা পাখির পালকের মত।
ঔষধিগুণঃ দাঁত, পাইলস, বিষাক্ত সাপের বিষ, আমাশয়, রক্ত পরিস্কারক, পুরনো ঘা বা ক্ষত নিরাময়ে বিশেষ উপকারী।
১৩।
মটমটিয়া (বৈজ্ঞানিক নামঃ Lippia geminata)
সাধারণত নিচু জমিতে পুকুর, খাল, বিলের পাশে এই ফুল গাছ জন্মে। ঝোপাকৃতির গাছ। এদের কান্ড খুব নরম ও গন্ধ যুক্ত পাতা। ডাল একটু ভাঙলে প্রখর গন্ধ বের হয়। সবুজ পাতা।
হালকা বেগুনী রঙের ফুল, মাঝখানে হলুদ স্পট থাকে। দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশেই এই ফুল গাছ দেখতে পাওয়া যায়।
ঔষধিগুণঃ পাতার রস পেটের ও নার্ভের টনিক হিসেবে ব্যবহার হয়। এছাড়াও বহুবিধ ঔষধে এই গাছ ব্যবহৃত হয়।
১৪।
পাহাড়ী কাশ (বৈজ্ঞানিক নামঃ Saccharum arundinaceum)
পাহাড়ী কাশফুল সমতলের কাশফুলের আর একটি ভিন্নজাত। সমতলের কাশফুল ফোটে নদী, বিল, ঝিলের পাড়ে। পাহাড়ী কাশ ফোটে উঁচু পাহাড়ে। সাধারণত শীতকালে ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাসে এই ফুল ফোটে। ফুল দেখতে অনেকটা কটন ক্যান্ডির মত।
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাহাড়ে জন্মে। শিকড় থেকে গাছ জন্মায়
১৫। শ্বেতাদ্রোণ/দন্ডকলম/দলকলস (বৈজ্ঞানিক নামঃ Leucas aspera)
ছোট ঝোপ আকৃতির গাছ। ১-২ ফুটের মত উচ্চতা। বীজ থেকে চারা জন্মায়।
ধানক্ষেত ও অন্যান্য উঁচু জমিতে জন্মে। বাংলাদেশের সর্বত্রই দেখা যায়। ফুল মার্চ-এপ্রিলে ফোটে। সবুজ পাতা। সাদা পাপড়ী যুক্ত ফুল।
ফলে মধু থাকে। শ্বেতাদ্রোণ ও রক্তদ্রোণ একই গোত্রের ফুল।
ঔষধিগুণঃ পাতার রস চর্মরোগের উপকারী, গাছের শিকড় স্ত্রীরোগের উপকারী।
১৬। শিয়ালমুতি/আসামলতা (বৈজ্ঞানিক নামঃ Eupatorium odoratum)
মাঝারি ধরনের শাখা প্রশাখা যুক্ত ঝোপাকৃতির গাছ।
২-৩ মিটার উচু। পাতা সবুজ রঙের। ছোট আকৃতির সাদা সবুজ মেশানো ফুল। বীজ থেকে চারা হয়। জানুয়ারী ফেব্রুয়ারীতে বেশী ফোটে।
ঔষধিগুণঃ পাতা কফ, জ্বর, হাম, ডায়াবেটিস রোগে ব্যবহার হয়।
১৭। তিতবেগুন (বৈজ্ঞানিক নামঃ Solanum indicum)
ছোট কাটাযুক্ত উদ্ভিদ। পাতা হালকা সুবজ। গাছ ১-২ মিটার উঁচু।
ফুল হালকা বেগুনি ও হালকা গোলাপী হয়। মাঝখানে হলুদ রং হয়। ফল গোলাকৃতির নরম। পাকার পর হলুদ রঙ ধারণ করে। বাংলাদেশের সর্বদ্র দেখা যায়।
ঔষধিগুণঃ মূল, বীজ, পাতা, ফল সবই ঔষধের কাজে লাগে। কৃমিনাশক, হজমকারক, হাঁপানী, সর্দি, কফ, দাঁত ব্যথা ও যৌন উত্তেজক।
১৮। আলকুশী/ বিলাইআচড়া/ বিচুটি (বৈজ্ঞানিক নামঃ Mucuna pruriens (Linn.)
শিমজাতীয় বর্ষ/বহুবর্ষজীবি উদ্ভিদ। সংস্কৃত নাম আত্মগুপ্তা।
আমাদের দেশে পাহাড়ী এলাকায় বেশী দেখা যায়। প্রায় সারা বছর ফুল ফোটে। শীতকালে বেশী ফোটে। ফুল দেখতে গাঢ় বেগুনী। পাতা ও ফল সবুজ।
পাতা বা ফলের সংস্পর্শে আসলে মানুষের শরীর প্রচন্ড চুলকায়।
ঔষধিগুণঃ বীজ, শাক ও মূল বাত, জ্বর এবং কৃমিনাশক। বিছার কামড়ে বীজ গুড়া লাগালে উপশম হয়।
তথ্যসূত্রঃ আলকুশী
১৯। বাসক (বৈজ্ঞানিক নামঃ Adhatoda vasica )
সাধারণত উঁচু জমিতে জন্মে।
৩-৫ ফুট উঁচু ছোট গাছ। অনেক শাখা প্রশাখা যুক্ত। পাতা সবুজ ও লম্বাটে। ফুল সাদার মাঝে বেগুনি ছোপ।
ঔষধিগুণঃ পাতার রস সর্দি কাশির উপশম করে, উকুন নাশ করে, আমবাতে, দাদ, চুলকানিতে, জন্ডিস, পাইরিয়া/ দন্তরোগে উপকারী।
বাসকের মূলের রস জ্বর (ফুলের রসও) উপশম করে। প্রশাবের জ্বালা যন্ত্রণায় ফুলের রসের শরবত উপকারী।
২০। রানী ফুল (Mexican false heather/false heather/Hawaiian heather/ elfin herb) (বৈজ্ঞানিক নামঃ Cuphea hyssopifolia)
ছোট ঝোপ আকৃতির গাছ। গাছের উচ্চতা দেড় থেকে তিন ফুট।
আদিনিবাস মধ্য আমেরিকা। বিশেষ করে মেক্সিকো। বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকা ও বাগের হাটে দেখা যায়। পাতাগুলো ক্ষুদ্রাকার ও সবুজ। ডাল গাছের দু'দিকে সমান্তরালে ছড়িয়ে থাকে।
ফুলগুলো ছোট ও বেগুনী রঙের। এছাড়া সাদা রঙ ও আরও কয়েকটি রঙের আছে। এই ফুল বার মাস ফোটে। বাগানের বেড়া হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ঔষধিগুণঃ টনিক (বলবর্ধক) হিসেবে, পোকা মাকড় দূর করতে, চর্মরোগে।
তথ্যসূত্রঃ এখানে ও এখানে (পৃষ্ঠা ৩৫৩, সিরিয়াল ৩৫)
২১। ঝুনঝুনি/জংলি শান (বৈজ্ঞানিক নামঃ Crotalaria mucronata )
ছোট ১-২ ফুট উঁচু উদ্ভিদ। পাতা সবুজ। পুষ্পদন্ডে এক সাথে অনেক হলুদ ফুল ফোটে।
ঔষধিগুণঃ পাতা পোকার কামড়, ল্যাপ্রোসি ইত্যাদি চর্মরোগে ব্যবহার হয়!
২২।
কেশরাজ/মহাভৃঙ্গরাজ (বৈজ্ঞানিক নামঃ Wedelia calendulacea)
ছোট গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। ভেজা জায়গায় হয়। নরম সবুজ পাতা। ফুল উজ্জ্বল হলুদ রঙের।
ঔষধিগুণঃ গাছের পাতা হেয়ার ডাই হিসাবে ব্যবহার করা হয়, এছাড়া চর্মরোগ, চোখের অসুখেও কাজে দেয়!
২৩।
নুনিরলতা/হুড়হুড়ে (বৈজ্ঞানিক নামঃ Cleome gynandropsis)
বহু শাখাপ্রশাখায় বিস্তৃত ঝোপ আকৃতির গাছ। ৩-৪ ফুট উঁচু হয়। একটি দন্ডে ৫/৬ টি পাতা আঙুলের মত ছড়ানো থাকে। পাতা সবুজ। হালকা গোলাপী রঙের।
একটি পুষ্পদন্ডে অসংখ্য ফুল থাকে।
ঔষধিগুণঃ বীজ গোল কৃমি প্রতিরোধে, পাতা পোকামাকড়ের কামড়ে উপশমে ব্যবহার হয়।
২৪। ফুলকুড়ি/উচুন্টি (বৈজ্ঞানিক নামঃ Ageratum conyzoides Linn. )
ছোট গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। ১-৩ ফুট উঁচু গাছ।
ডাল এবং পাতা সবুজ। ফুল ক্ষুদ্রাকার, সাদা ও রোমশ। বাংলাদেশের সর্বত্র দেখা যায়। বর্ষাকালে বেশী ফুল ফোটে। প্লান্ট বেজ ইনসেকটিসাইড হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
ঔষধিগুণঃ জ্বর উপশমে, শরীরের ফোলা অংশ উপশমে, রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে, স্ত্রীরোগে।
তথ্যসূত্রঃ এখানে
২৫। মারহাটিটিগা/বানগান্ডা (বৈজ্ঞানিক নামঃ Spilanthes iabadicenis)
ছোট গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। বাংলাদেশের সর্বত্র দেখা যায়। পাতার রঙ সবুজ।
ফুল সোনালী রঙের হয়। দেখতে অনেকটা নাকফুলের মত।
ঔষধিগুণঃ দাঁতে ব্যাথার উপশমে, গলাব্যাথাতে কাজে দেয়। আমাশয়ে পাতার রস পানিতে সিদ্ধ করে খেলে উপকার হয়।
২৬।
বনঢেঁড়স (বৈজ্ঞানিক নামঃ Abelmoschus moschatus)
ছোট আকৃতির ২-৩ ফুট উচ্চতার গাছ। পাহাড়ী এলাকায় হরহামেশা দেখা যায়। পাতা দেখতে উড়ন্ত পাখির মত। পাঁচটি খাঁজ রয়েছে, যা সবুজ রঙের। ফুল হলুদ রঙের।
ফুলের মাঝখানে কালো স্পট রয়েছে।
২৭। চুকুর (বৈজ্ঞানিক নামঃ Hibiscus sabdariffa Linn.)
পাট জাতীয় উদ্ভিদ। গাছ ৪-৫ ফুট উঁচু। মূলত এটা আফ্রিকান উদ্ভিদ।
ফল ও গাছ কালচে লাল। পাতা তিন ফলাযুক্ত। ফুল হলুদাভ সাদা। মাঝখানে কালচে লাল ছোপ থাকে। অনেক এলাকায় ভূলবশত মেস্তা বলে।
প্রকৃতপক্ষে মেস্তাপাট এর বৈজ্ঞানিক নাম Hibiscus cannabinus L. চুকুর এর পাতা শাক হিসেবে খাওয়া যায়। বীজ দিয়ে সস, জুস বানানো যায়। এছাড়াও বীজের বহুবিধ ব্যাবহার রয়েছে।
২৮। Scarlet Creeper, (বৈজ্ঞানিক নামঃ Ipomoea hederifolia)
লতানো গাছ।
বাংলাদেশের পাহাড়ী এলাকায় দেখা যায়। পান পাতার মত পাতা। পাতা সবুজ রঙের। ফুল উজ্জ্বল লাল রঙের।
নিচের ফুলগুলোর নাম এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
আশা রাখি আপনারা নাম জানলে শেয়ার করবেন।
২৯।
৩০।
৩১।
৩২।
৩৩।
৩৪।
তথ্য সংগ্রহঃ বাংলাদেশের ফুল; লেখকঃ এম এ তাহের ও আন্তঃজাল।
বিশেষ কৃতজ্ঞতাঃ রাজামশাই; এমজেডআই; রেজোওয়ানা; জীবনানন্দদাশের ছায়া।
ছবিঃ নিজস্ব এ্যালবাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।