রাজনীতিতে বিতর্ক থাকবেই, তবে সবার আগে দেশ বড়। স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়াটাই মুল কথা। আসুন হাতে হাত রেখে আগাই। ফেসবুক গ্রুপ: http://www.facebook.com/groups/nationalistbloggersassociation/
সম্প্রতি এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করছেন, আমেরিকানদের মাথা বড় হয়ে যাচ্ছে। ইউনিভার্সিটি অফ টেনেসির ফরেনসিক অ্যানথ্রোপলজি বিভাগের ওই বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন গত ১০০ বছরে আগের তুলনায় শ্বেতাঙ্গ আমেনিকানদের মাথা আরও বড় এবং লম্বাটে হয়েছে।
আর এই বৃদ্ধির হার এতোটাই বেশি যে, পুরো একটা টেনিস বলের সমান বেড়েছে শেতাঙ্গদের খুলির আকার। খবর ইয়াহু নিউজের।
১৮ শতকের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে ১৯৮০ সালের মধ্যে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের খুলি নিয়ে এই গবেষণা চালান ফরেনসিক অ্যানথ্রোপলজিস্টরা। গবেষণায় তারা আবিষ্কার করেন গত একশ’ বছরে মাথার তালু থেকে থুতনি পর্যন্ত লম্বায় গড়ে ৮ মিলিমিটার বড় হয়েছে শ্বেতাঙ্গ পুরুষদের মস্তিষ্ক। ফলে পুরো খুলির আকার বেড়েছে ২শ’ কিউবিক সেন্টিমিটার যা কিনা একটি টেনিস বলেন সমান।
আর মেয়েদের ক্ষেত্রেও গবেষণার ফলাফল প্রায় একই। ১০০ বছরে গড়ে মেয়েদের খুলি লম্বায় বেড়েছে ৭ মিলিমিটার। তবে পুরুষদের মস্তিস্কের মতো টেনিস বলের সমান না হলেও মেয়েদের খুলির আকার বেগেছে গড়ে ১৮০ কিউবিক সেন্টিমিটার।
শারীরিকভাবেও আমেরিকানরা পরিপক্ক হচ্ছে তুলনামূলক আগেই। অ্যানথ্রোপলজিস্টরা তাদের প্রতিবেদনে জানান, মস্তিষ্কে একটি বিশেষ হাড়, যা কিনা আগে ২০ বছর বয়সে জোড়া লাগতো; সেটি এখন মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৪ বছর বয়সে আর ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৬ বছর বয়সেই হয়ে যাচ্ছে।
তবে শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের মাথার খুলির এই বৃদ্ধির পেছনের মূল কারণ বিবর্তন নাকি জীবনযাত্রার পরিবর্তন তা এখনও নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা। শিশু অবস্থায় স্থূলতাও এর কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
একই গবেষক দল ইউরোপে এ বিষয়ে গবেষণা করে পেয়েছেন সম্পূর্ন ভিন্ন ফল। গত ১০০ বছরে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি ইউরোপিয়ানদের খুলির আকারে।
পড়া ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।