। অনেস্টি ইজ দ্যা বেস্ট পলেসি। এই বিষয়টি নিয়ে ব্লগে এত লেখা-লিখি হোয়েছে যে এখন আর কেউ এই সমস্যা নিয়ে কোনো লেখা পড়তে আগ্রহী নয়।
বিভিন্ন বিখ্যাত ও গুনি ব্লগাররা ব্যাপক ভাবে বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন ,আমরা যারা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে রাজি নই তাদের সিদ্ধান্ত নাকি অনৈতিক। অর্থাত আমরা মানবতা বিরোধী,আমাদের কোনো রকম মানবতা নেই।
কেউ কেউ আরো এক কাঠি বাড়িয়ে বলছেন নাস্তিক,ভা.দা. ও আওয়ামি পন্থিরাই নাকি শুধু বিরোধীতা করছে মা.মা. রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে।
আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন, আমাদের পুর্ব পুরুষেরা যুদ্ধ করে দেশটা কি স্বাধীন করেছে শুধু স্বরনার্থী আশ্রয় দেওয়ার জন্য।
৭১-এর নয় মাস যে দেশের প্রায় ১ কোটি মানুষকে স্বরনার্থীর জিবন যাপন কোরতে হোয়েছে: সে দেশের মানুষ হোয়ে আমরা কেনো রোহিঙ্গাদের স্বরনার্থী হিসেবে গ্রহণ কোরতে রাজি নই,তা কি কেউ ভেবে দেখেছেন?
৭১-এ আমাদের পুর্ব পুরুষেরা, আমাদের আত্মার বন্ধন যাদের সাথে সেই বাবা,চাচা,মামা,ভাই বোনেরা নিজের জিবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছে আমাদের এই দেশটির স্বাধীনতার জন্য। তারা যুদ্ধ করে উপহার দিয়েছে মুক্ত স্বাধীন এই বাংলাদেশ: তারা যুদ্ধ করেছে তাদের পরের প্রজন্মের জন্য।
সেই আমরা,
দেশ মাতৃকার দুর্দিনে নিশ্চই হাতে চুড়ি পরে বসে থাকবোনা।
কারন এই দেশের প্রতিটি ইঞ্চি মাটি আমাদের অতি আপনজনদের রক্তের বিনিময়ে অর্জন করা । আমরা সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ ,এই দেশের সবচেয়ে বড় দাবিদার । আমরা যারা প্রতি মুহুর্ত সংগ্রাম করে যাচ্ছি দেশ মাতৃকার জন্য। নিজেদের সমস্ত শক্তি নিঃশেষ করে আমরা যা উপার্জন করি তা প্রেরণ করি শুধু আমাদের দেশের মানুষ,আমাদের আত্মীয়-স্বজন যাতে একটু ভালোভাবে জিবন-যাপন করতে পারে। প্রত্যেকে যার যার অবস্থান থেকে একটু একটু করে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই আমাদের প্রিয় জন্মভুমি বাংলাদেশকে।
সেই দেশকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা কিংবা কোনো আন্তর্জাতিক চক্রান্তকে আমরা অন্তত বরদাস্ত করতে রাজি নই।
৭৪-এর দুর্ভিক্ষ,৭৫-এর হ্রদয় বিদারক ইতিহাস কি করে ভুলে যাবো: বার বার আমাদের স্বাধীনতার উপর আঘাত হেনেছে কিছু কুলাঙ্গার আর বিদেশী কুচক্রী মহল। আমরা এক পা সামনে এগোলে আমাদেরকে তিন পা পেছনে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেস্টা আজো অব্যাহত আছে। যত ভাবে সম্ভব আমাদের অর্থনিতীকে দুর্বল করার চেস্টা হোচ্ছে,আমরা যাতে কিছুতেই এগোতে না পারি সে চেস্টা চলছে অবিরাম।
আপনারা কি ভেবে দেখেছেন,যদি আমরা আজ এই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ,প্রশ্রয় দেই এরা কাদের কাজে,কাদের অন্নে ভাগ বসাবে?এরা কিন্তু আপনার আমার ডাইনিং কিংবা ড্রইং রুমে এসে আমাদের অন্নে ভাগ বসাতে পারবেনা।
এরা ভাগ বসাবে আমার দেশের অতি দরিদ্র কৃষক,শ্রমিক,কামার ,কুমার,জেলে কিংবা তাতীর অন্নে। অর্থাৎ খেটে খাওয়া দুখি মানুষের শ্রম বাজারে এবং অন্নে। পরিবেশকে করবে দুষিত,কিছু না পেলে ধংস করবে গাছ পালা ও নদি
নালা । বেকারত্বের মাত্রা হবে আরো অসহনীয়,যে কোনো কিছুর বিনিময়ে এরা দখল করে নেবে সাধারণ মানুষের শ্রম বাজার। তাই সাধু সাবধান, এটা কোনো সাধারণ কিংবা ক্ষুদ্র সমস্যা নয়।
এটা পর্বত সমান সমস্যা ,আজ ১ লক্ষ আশ্রয় দিলে আগামিতে ১০ লক্ষ ছুটে আসবে। আমরা কেনো অন্য একটি দেশের সমস্যা নিজের ঘরে টেনে আনবো। এই সমস্যাতো আমরা তৈরি করিনি,এটা সম্পুর্ন তাদের অভ্যন্তরিন সমস্যা এটার দ্বায় তাদেরই।
আমাদের নিজেদের হাজারো সমস্যায় আমরা জর্জরিত ,কেউতো নিচ্ছেনা আমাদের সমস্যা সমাধানের দ্বায়িত্ব। এখন মানবতার দোহাই দিয়ে যারা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে চান তাদের কাছে আমার প্রশ্ন আপনারা আপনাদের প্রতিটি পরিবারে একজন করে রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিন তাদের দ্বায় নিন এবং আপনাদের নিজস্ব রাজভান্ডার থেকে তাদের প্রোয়জন মেটান তাহোলে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবেনা।
আমাদের দরিদ্র জনগোস্ঠির যাতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা নাহয়। কোনো রোহিঙ্গা আমাদের শ্রম বাজারে দেখতে চাইনা। যদি এদের আশ্রয় দেওয়ার কারনে আমদের দুঃখি মানুষের বিন্দুমা্ত্র অসুবিধা হয় তাহোলে কিন্তু আপনাদের রক্ষা নাই। তখন কিন্তু আপনাদের আবার ছুটতে হবে অন্য কোনো দেশে ঠিক রোহিঙ্গাদের মতই। কারন আমরা আর ৭১-এর মত কোনো ভুল করতে রাজি নই।
রাজাকারের অনুরুপ আর কিছু দেখতে চাইনা আমাদের প্রিয় মাতৃভুমিতে।
তাই পরিশেষে বলছি রোহিঙ্গাদের একবার আশ্রয় দিলে কি কি সমস্যার সৃস্টি হবে তাকি ভেবে দেখেছেন তথাকথিত নিতীবান ও মানবতাবাদিরা । আশ্রয়ের পর দিতে হবে চিকিৎসা ও ঔষধ,তারপর বেচে থাকার জন্য খাদ্য ও বস্র। সবচেয়ে বিপদ জনক হবে যখন তাদের ফেরত যেতে বলা হবে । কারন মা.মা. সরকার তাদের ফেরত নিতে চাইবনা তখন পুশব্যাক করা হোলে তাদের জিবনের উপর আসবে ঝুকি।
তখন বিশ্ব-মোড়লরা চেচামেচি করে বলবে বাংলাদেশে মানবতা বিপন্ন। এবার ঠেলা সামলান, মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া যাবেনা তাই আজিবন অতিথি হিসেবে গ্রহণ করে তাদের বংশ বিস্তারে সহযোগিতা করুন।
"যে পারেনা দিতে আপন স্বার্থ জলান্জলী
শোভা পায় না তার মুখে মানবতার বুলি"
বিঃ দ্রঃ ৪০ বৎসর যাবত পাকিস্তান ফেরত নিচ্ছেনা তাদের স্বরনার্থী,মায়ানমার নিচ্ছেনা ২০ বৎসর যাবত। বাংলাদেশ কি স্বরনার্থীদের জন্যই স্বাধীণতা লাভ করেছে। শকুনদের দৃস্টি অনুসরন করছে বাংলাদেশকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।