এটা আমার জন্য অনেক সুখকর যে, আমি এখন ব্লগ ও ফেইসবুক থেকে নিজেকে আসক্তিমুক্ত রাখতে পারছি। পরিবার ও পেশাগত জীবনের কর্মব্যস্ততা অনেক আনন্দের। দিনটির তেমন কোনো বিশেষত্ব নেই সারা পৃথিবীর কাছে তোমার বাবার দূরদর্শিতা কিংবা বিচক্ষণতার জন্যই যদিও ১লা জানুয়ারি উদ্ভাসিত হলো সুন্দরতম সোহাগের দিন হিসেবে। দলিলদস্তাবেজে তোমার জন্মদিন ওটাই; বন্ধুরা প্রকৃত দিনের খবর কেউ জানে না ৫ম নভেম্বর থেকেই শুরু হয় পরবর্তী ৪ঠা নভেম্বর উৎসব যাপনের। ৩৬৪টা দিন ঘোরের ভেতর কীভাবে কেটে যায় স্বপ্ন ও দহনে তুমি বলেছিলে, ১লা জানুয়ারিই বেঁচে থাক বাকি পৃথিবীর কাছে, ৪ঠা নভেম্বর অন্য কারো নয়। তুমি বলেছিলে, ৩৬৪ দিন তুমুল কলহে কাটুক, এমনকি নিষ্পত্তি হয়ে গেলেও সম্পর্কের সকল লেনদেন, বছরের একটা মাত্র দিনে সকাল থেকে সন্ধ্যা ১ নম্বর গোলচক্বরের মোড়ে বাতাসে উড়াবো তুখোড় ঝাণ্ডা- নীল নীল শাড়ির আঁচল সহসা রিকশার হুড খুলে যাবে; কিংবা সিএনজি, অথবা ক্যাবের ভেতর থেকে বিপুল মানুষের শোরগোল ভেদ করে ঝলসে উঠবে আশ্চর্য কণ্ঠস্বর : সো...না...পা...খি...যা...দু! আচম্বিতে চারদিক খুঁজে কোথাও তোমাকে পাবো না। তোমার সুমধুর অভ্যাসের মতো ধীর পায়ে নীরবে পেছনে দাঁড়াবে, ঘাড় থেকে একগোছা চুল আলগোছে সরিয়ে তামাম মানুষের চোখের উপর নির্দ্বিধায় এঁকে দেবে স্পর্ধিত চুম্বন- গাঢ়তম প্রেমের স্বাক্ষর কী তুমি রেখে গেছো মিরপুরের অলিগলি, রাজপথ ও রেস্তরাঁয়! উদ্ভ্রান্ত আজও ছুটে যাই- ১ নম্বর গোলচক্বরের কোলাহলে তোমার মোহনরাঙা স্থির অবয়ব, সঘন দৃষ্টি সম্মুখ সমুদ্রে উদার বক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়ে আবোল-তাবোল কতো কী বলি : কী করে এতো সুখ দাও, যাদুকর পাখি! তুমি আসবেই, পৃথিবীর যে প্রান্তেই বাঁধো না তোমার বাসা, বছরের ৩৬৪ দিন অনর্গল অহিনেউলেময় হলেও, এ দিনটাতে তুমি আসবেই অমরাবতীর প্রেম নিয়ে ৪ঠা নভেম্বর- এ দিনটির তেমন কোনো বিশেষত্ব নেই সারা পৃথিবীর কাছে নিবিড় কয়েক ফোঁটা অশ্রু আর কান্নার দাম কতোটুকুই বা হবে! *২৭ মে ২০১০ সকাল ১০:২৪
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।