আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঃঃঃ এ কেমন বর্বরতা ! হীন পাশবিকতা!! ঃঃঃ

ঃঃঃঃ চল বহুদূরে...নির্জনে আড়ালে লুকোই...ঃঃঃ এক দিনের পরিচিত এক ব্যক্তির সহায়তায় স্ত্রী নূরজাহান বেগমকে (২৩) খুন করেছেন ওমর ফারুক নামের এক ব্যক্তি। কুমিল্লার চান্দিনা ও চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরে অভিযান চালিয়ে ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন: মো. ওমর ফারুক (২৫) ও মো. মিলন (২৩)। পুলিশ বলছে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে নূরজাহানকে হত্যা করা হয়েছে। নূরজাহানকে ধর্ষণের প্রস্তাব দিয়ে হত্যাকাণ্ডে মিলনকে রাজি করান ওমর ফারুক।

গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হওয়া দুজনকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। এ সময় তাঁরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। প্রসঙ্গত, গত বুধবার নগরের হালিশহর থানাধীন এলাকা থেকে নূরজাহানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার রাতে তাঁকে হত্যা করা হয়। হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘নূরজাহান ও ওমর ফারুক দুজনেরই আগে একবার করে বিয়ে হয়েছিল।

নূরজাহানের আগের ঘরে এক বছর বয়সী একটি ছেলেসন্তান আছে। মাঝে মধ্যে তিনি ফোনে আগের স্বামী-সন্তানের সঙ্গে কথা বলতেন। এ কারণে ফারুক পূর্বপরিকল্পিতভাবে নূরজাহানকে শহরে এনে হত্যা করে। ’ পুলিশ সূত্র জানায়, নগরের হাজী ইসলাম মিয়া ব্রিকফিল্ড এলাকায় নূরজাহানের ভাই মো. কাউছার আহম্মেদের বাসা। গত রোববার চান্দিনার গ্রামের বাড়ি থেকে কাউছারের বাসায় বেড়াতে আসেন নূরজাহান ও ফারুক।

সোমবার রাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যার পর ফারুক কাউছারের বাসায় ফিরে যান। ওই সময় কাউছার নূরজাহানের বিষয়ে জানতে চাইলে ফারুক জানান, নূরজাহান আগেই বাসায় ফেরার কথা বলে চলে এসেছেন। ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০ দিন আগে নূরজাহানের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। নূরজাহানের আগের ঘরে একটি ছেলে আছে।

সে প্রায়ই আগের স্বামীর সঙ্গে কথা বলত। নূরজাহান আবার আগের স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চেয়েছিল। ’ গত রোববারই স্থানীয় ব্রিকফিল্ড বাজার এলাকায় মিলনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছে বলে জানান ফারুক। তিনি বলেন, ‘সোমবার রাতে আমি নূরজাহানকে নিয়ে খালপাড়ে যাই। পরে মিলন আসে।

একপর্যায়ে মিলন তার গলা টিপে ধরে। পরে আমিও গলা টিপে ধরি। ’ মিলন সাংবাদিকদের বলেন, আগে ফারুক গলা টিপে ধরে। এ সময় নূরজাহানের নাকে-মুখে রক্ত চলে আসে। তখন ফারুকের কথামতো তিনি নূরজাহানকে ধর্ষণ করেন।

মিলনের বক্তব্য অস্বীকার করে ফারুক বলেন, ‘মিলন আমাকে ভয় দেখিয়ে নূরজাহানকে ধর্ষণ করে। ’ ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক হত্যার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছে। শুরুতে ফারুকই গলা টিপে ধরে। মিলন হত্যায় সহযোগিতা করে। ’ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হালিশহর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মিলনের সঙ্গে ফারুকের পরিচয় এক দিনের।

ফারুক হত্যার পরিকল্পনা জানালে মিলন তাতে রাজি হয়। ’ সংগ্রহ- প্র.আ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।