অচেনা মানুষ
সচিবালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৮ দলীয় জোটের ১৫ জন নেতার আদালতে উপস্থিত করার পরোয়ানা প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ২৬ জুলাই পর্যন্ত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ জহুরুল হক আজ বৃহস্পতিবার এ পরোয়ানা প্রত্যাহার-সংক্রান্ত আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ মামলায় ২৯ আসামির আইনজীবীরা এ আবেদন করেন। এর পর ১৩ জন আসামি জামিনে মুক্তি পান।
জোট নেতাদের আইনজীবীরা জানান, এর ফলে তাঁদের এখন মুক্তি পেতে বাধা নেই।
প্রসঙ্গত, মির্জা ফখরুলসহ ১৮ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা এ মামলায় আগেই জামিনে ছিলেন এবং অন্য একটি মামলায় গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। ওই দিনই রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করা হয়। তাই ওই পরোয়ানা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আসামিদের জামিনে মুক্তির বিষয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ, খোন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, স্বনির্ভরতা-বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান, ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আ. মতিন, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার ও বিএনপির সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।