আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইতিহাসের শ্মরনকালের ভয়াভহ দশ দাঙ্গা,মানবতা যেখানে রক্তের সাথে থুবড়ে পড়ে!

"আমার রঙ্গীন পাল নীল সাগরে, ভেসে যায় তরী আমার ঢেউ এর তরে, চলো স্বপ্ন বুনি নীল দরিয়ায়, অসীম নীলে তরী আমার যায় উড়ে যায়!" সৃষ্ট্রির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের নিকৃষ্টতম পশুত্ব টা অবলোকন করা যায় দাঙ্গাতে! দাঙ্গাতে খুনোখুনি,ধর্ষন,লুট –এমন কিছু নাই যে হয় না! এবার আপনারা দেখবেন বিশ্বে ঘটে যাওয়া মারত্মক এবং ভয়ঙ্কর দশটি দাঙ্গার কথা যা ইতিহাস আজো মনে রেখেছে এক রাশ ক্ষোব আর ঘৃণা নিয়েঃ ১০)ইংল্যান্ডের দাঙ্গাঃ এটা বেশিদিন আগের না!একজন পুলিশ অফিসারের গুলি করা কে কেন্দ্র করে ইংল্যান্ডের লন্ডনে প্রথমে এই দাঙ্গা শুরু হয়! এরপর তা Birmingham, Bristol and Manchester শহর থেকে ছোট ছোট শরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে! এই দাঙ্গায় প্রায় ৫ জন লোক নিহত এবং ১৭ জনের আহত হুয়ার খবর পাওয়া যায়! প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড সম্পত্তির ক্ষতি হয় এই দাঙ্গাতে! ৯) শিকাগো দাঙ্গা,আমেরিকা: মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের গুপ্তহত্যার কারোনে দেশে যখন অস্থির অবস্থা বিরাজ করছিলো ঠিক তখন ১৯৬৮ সালের ৫ এপ্রিল শিকাগোর পশ্চিমে সংখ্যালঘু কালোদের মধ্যে দাঙ্গা শুরু করে ! এতে প্রায় ১১ জন লোক নিহত হয় আর প্রচুর পরিমান লুটতরাজ হয়! ৮) ডেট্রোয়েট দাঙ্গা,আমেরিকাঃ ১৯৬৭ সালের এই দাঙ্গায় প্রায় ৪৩ জন নিহত হয়! ৭)আর্জেন্টিনার দাঙ্গাঃ ডিসেম্বার ২০০১ এ জাতি যখন চরম অস্থির অবস্থা পার করছিলো ঠিক তখনি এই দাঙ্গা শুরু হয়! প্রেসিডেন্ট Fernando de la Rúa এর শাসনামলে ৩ বছরের অর্থনৈতিক মন্দার কারোনে দেশের মধ্যবিত্তরা সরকারের বিরুদ্ধে এই দাঙ্গা শুরু করে যাতে প্রায় ২৬ জন লোক নিহত হয় এবং প্রচুর লুটের ঘটনা ঘটে! ৬) লা দাঙ্গা,আমেরিকাঃ ১৯৯২ সালের ২৯ এপ্রিল এক রায়ে দুই জন পুলিশ অফিসার কে শাস্তি থেকে অব্যহতি দেওয়া হয় যারা কিনা এক কালোকে পীটায় এবং সেই পীটানোর ভিডিও প্রকাশ পেয়ে যায়! এই রায়ের বিরুদ্ধে ওই নগরীর হাজার অধিবাসী দাঙ্গা শুরু করে! প্রচুর পরিমানে লুট,হত্যা আর অগ্নিকান্ড ঘটে! ৫৩ জন দাঙ্গায় নিহত হয় যার মধ্যে ১০ জন আর্মি আর পুলিশের গুলিতে নিহত হয়! প্রায় ২০০০ জন আহত হয় আর ১১০০ ঘরবাড়ি ধংস্ব হয়! এক হিসেবে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলারে ক্ষয়-ক্ষতি ঘটে! ৫)ব্রিক্সটন দাঙ্গা,ইংল্যান্ডঃ এই দাঙ্গা হয় পুলিশ আর নগরীর অধিবাসীদের মধ্যে ১৯৮১ সালে! ইংল্যান্ড এই রকম ভয়ঙ্কর দাঙ্গা খুব কমি দেখেছে! জনগন পুলিশের গাড়িতে মহুর্মুহু হামলা চালায় যাতে প্রায় ২৮০ জন পুলিশ আর ৪৫ জন সাধারন জনগন আহত হয়! ৪)নাইরোবি দাঙ্গা,কেনিয়াঃ ডিসেম্বার ২০০৭ এ রাজনৈতিক অস্থিরতা চরম দাঙ্গায় রূপ নেয় যেটাকে পুর্ব আফ্রিকার গনতন্ত্রে জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে ধরা হয়! নাইরোবির অধিবাসীরা Mwai Kibaki এর পুনঃনির্বাচন কে ভন্ডামী হিসেবে বিশ্বাস করা শুরু করে এবং বিশৃংখলা সৃস্টি করে যা পরবর্তিতে মারাত্মক দাঙ্গায় রুপ নেয়! প্রায় ১০০ জন লোক নিহত হয় অস্ত্র ব্যবহারকারী বিশৃঙ্খলাকারীদের হাতে! পুলিশ তাদের থামানোর চেষ্টা করে কিন্তু তারা গ্রামের দিকে চলে গিয়ে সেখানে হত্যা আর ধর্ষন শুরু করে! জানুয়ারী ২৮ এর দিকে মৃতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়ে যায় এবং প্রায় ৬ লক্ষ লোক গৃহহীন হয়ে পড়ে! সবচেয়ে ভয়ংকর ঘটনা ঘটে- একটা গীর্যায় আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৩৫ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়! ৩) গুজরাট দাঙ্গা,ইন্ডিয়াঃ ফেব্রুয়ারী ২০০২ এ একদল মুসলিম দুষ্কৃতকারী ট্রেনে হামলা চালায় আর পুড়িয়ে দেয় যাতে প্রায় ৫৮ জন হিন্দু তীর্থযাত্রী মারা যায় যার অধিকাংশ ছিলো নারী আর শিশু! এতে করে হিন্দু আর মুসলিম দের ভেতর চরম দাঙ্গা আরম্ব হয় যাতে প্রায় ৭৯০ জন মুসলিম,২৫৪ জন হিন্দু আর ২২৩ জন নিখোজ হয়! এই দাঙ্গায় অনেক মসজিদ,মনদির আর গির্যা ধংস্ব করা হয়! ৬১০০০ মুসলিম আর ১০০০০ হিন্দু গৃহহারা হয়! ২)তুলসা রেস দাঙ্গা,আমেরিকাঃ এক শ্বেত মেয়েকে একজন কৃষ্ণাঙ্গ কতৃক ধর্ষনের অভি্যোগে কালো আর সাদার মধ্যে এই দাঙ্গা শুরু হয় ১৯২১ সালে! এতে প্রায় ১০০ জনের প্রানহানি ঘটে! এই দাঙ্গা এতই ভয়াবহ হয়ে যায় যে,শ্বেতাং আর কৃষ্ণাঙ্গ রা পরস্পরে সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে! এতে প্রায় ৩৫ টা নগড়ি ধংস্ব হয়ে যায় ,১০০০০ গৃহহোন হয় এবন তখনকার সময়ে প্রায় ১।৮ মিলিয়ন ডলারের ক্ষয় হয় যা বর্তমানে ২১ মিলিয়ন ডলারের সমান! ১)বোম্বে দাঙ্গা,ইন্ডিয়াঃ শ্মরনকালের এই ভয়াভহ এই দাঙ্গা হয় ১৯৯২ সালে! বাবরী মসজিদ ধংস্বের জন্য হিন্দু আর মুসলিমদের মধ্যে এই দাঙ্গা হয় যাতে প্রায় ৯০০ এর মত প্রানহানি ঘটে! আর মিয়ানমারের মুসলিমদের প্রতি সমবেদনা রইলো! যে যাই বলুক যেভাবে তারা মুসলমানদের মারছে তাতে আমার কষ্ট লাগছে,আল্লাহ তাদের রক্ষা করুক!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।