জীবন চলা মানে প্রতিক্ষন জীবনান্তের দিকে এগিয়ে চলা
আম গাছ
মুকুল
মুকুল থেকে আমের নান্নূ মুন্না
জৈষ্ঠ মাস মধুমাস জৈষ্ঠ মাস আমাদের দেশে গরমকাল যদিও বলা হয় চৈত্র মাসের কাঠফাটা রোদ্দুর বাস্তবে ফাল্গুন চৈত্র বসন্ত কাল । বসন্তকালে মুকুল ধরে আর জৈষ্ঠ মাসে পরিপক্ক হয় । এই সময়টা আম জাম লিচু কাঠালের মাস । ফলের মিষ্টি স্বাদ আস্বাদনের মাস তাই এইমাস কে মধুমাসও বলে তবে সত্যিকারের মধুর মাসও বটে কারন বসন্তকালে প্রচুর ফুল ফোটে আর মৌমাছিরা মধু সংগ্রহ করে তাদের চাকে জমা রাখে । বাংলাদেশের উত্তর বঙ্গ আম এবং লিচুর জন্য বিখ্যাত ।
এবার প্রচুর আম এবং লিচু ফলেছে । লিচু
মাদ্রাজী লিচু
বোম্বাইয়া বা বেদানা লিচু
লিচুর সময় প্রায় শেষ । রংপুর দিনাজপুর এলাকায় প্রথম যে লিচু বাজারে আসে এটাকে মাদ্রাজী লিচু বলে
এই লিচুর বিচি বড় এবং স্বাদ টকমিষ্টি । এটা শেষ হতে হতে বাজারে যে লিচু আসে ওটাকে বলে বোম্বাই লিচু
এই লিচু বেশ সুস্বাদু লিচুগুলি বড় বোটার দিকটা বেশ চওড়া এবং মাথার দিকটা সরু অনেকে এটাকে বেদানা লিচুও বলে । এই লিচুর বিচিও ছোট মাংসল অংশ বেশী এবং খুব মিষ্টি ।
লিচু গাছ আমাদের সবার পরিচিত এই গাছ ঝাকড়া হয়ে বেড়ে উঠে ২০/৩০ ফুট পযর্ন্ত উচু হয় ।
লিচু মূলত চাইনিজ ফল লিচু আমাদের দেশসহ দঃপূঃ ভারত তাইওয়ান ফিলিপাইন থাইল্যান্ড মালয়েশিয়া ইত্যাদি দেশেও হয় তবে স্থান ভেদে এর আকার ও স্বাদের তারতম্য ঘটে ।
লিচুর বৈজ্ঞানিক নাম Litchi Chinensis ফরাসি ভ্রমন ও প্রকৃতিবিদ পিয়েরে সোনেরাত দক্ষিন চীনে প্রথম জংলী লিচু দেখতে পান এবং এই নাম করন করেন । কথিত আছে যে খ্রীষ্ট পূর্ব ২০০০ সালেও লিচু মানুষের কাছে পরিচিত ছিলো ।
লিচুর পুষ্টি গুন অনেক।
প্রতি ১০০গ্রাম লিচুর পুষ্টিমানঃ
শক্তি = ৬৬ কিঃ ক্যালরি
কার্বোহাইড্রেট = ১৬.৫ গ্রাম
খাদ্য আশ = ১.৩
চর্বি = ০.৪ গ্রাঃ
আমিষ = ০.৮গ্রাঃ
ভিটামিন সি = ৭২ মিঃগ্রাঃ
ক্যালসিয়াম = ৫.০ মিঃগ্রাঃ
ম্যাগনেসিয়াম = ১০ মিঃগ্রাঃ
ফসফরাস = ৩১ মিঃগ্রাঃ
সেজন্য ঋতুর ফলে একটা কামড় দিতে ভুলবেন না যেন । যে ঋতুতে যে ফল ফলে সেই ফল নাকি সেই ঋতুর রোগ বালাই দূরিকরনে সহায়তা করে (গুনীজনে বলে)
আম
আম্রপলি আম গাছ
আমাদের জাতীয় ফল কাঠাল হলেও জাতীয় গাছ কিন্তু আমগাছ এই গাছ ৭০/৮০ ফুট উচু এবং ঝাকরায় প্রায় ৪০/৫০ফুট হয় ।
আমও ভারতীয় উপমহাদেশ এবং দক্ষিন পূব এশিয়ার ফল । আমকে ফলের রাজাও বলা হয় । আম বরই সুস্বাদু ফল জাত ভেদে নামও অনেক গোপালভোগ, মিশ্রিভোগ, হীমসাগর, লেঙ্গড়া (সম্ভবত লেঙ্গড়াইয়া চলে) ফজলী, আম্রপলি, হাড়িভাঙ্গা(এটা রংপুরের বিখ্যাত আম মনে হয় হাড়ীতে আম পাকাবার জন্য রাখলে আম পেকে গিয়ে হাড়ী ফাটিয়ে ফেলে) সিন্দুরে আম এরকম অসংখ্য আম আছে ।
আম দিয়ে ফ্রুট সালাদ কাষ্টার্ড জুস অনেক কিছুই বানিয়ে পরিবেশন করা যায় ।
ছোটবেলায় আম দুধ দিয়ে চটকিয়ে ভাত না খেলে মন ভরতোনা । আজকাল তো বাত্তি হওয়ার আগেই আম গাছ থেকে পেড়ে ফেলে ঔষধ দিয়ে পাকানো হয় ফলে আমের সেই জীভে রস আনা ঐতিহ্যবাহী স্বাদ আর পাওয়া যায়না । গাছপাকা আমের ঘ্রানই আলাদা ওটা নিজে উপভোগ না করলে কথায় বোঝানো যাবেনা । আম এখন আমেরিকা মেক্সিকো আফ্রিকাতেও ফলে ।
আমের বেজ্ঞানিক নাম "Mangifera indica"
বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা কিছু আম ।
আমের পুষ্টিগুন অনেক
প্রতি ১০০গ্রামে
হে হে হে গায়ে বল লাগবো? শক্তি = ৬০ কিঃ ক্যালরি
ভাত না খাইলেও ছলবে কর্বোহাইড্রেট = ১৫ গ্রাম আরে গ্রাম গঞ্জ নয় ওজন ওজন
চিনি আরে চেনা পরিচয় নয় এইটা শর্করা =১৩.৭ গ্রাম
খাওন যায় মানে গিললা ফালাইলে কুনু ছমইছ্যা নাই এইরম আশ =১.৬ গ্রাঃ
চর্বি হ মোটাগো কমান লাগবো = প্রায় নাইক্যা ০.৩৮ গ্রাঃ
যাগো মাছ মাংশ লাগবো হেরা খাইয়েন না ঐটা প্রায় নাই আমিষ = ০.৮২ গ্রাঃ
ভাই টা মিন হগলতেরে লাগবো আছে আছে = ৫৪ মিঃ গ্রাঃ
আমতো হলুদ তাই এইটা থাকবো বিটা ক্যারোটিন = ৬৪০ মিঃ গ্রাঃ
আরও আছে ক্যালচিয়াম ম্যগনেছিয়াম পতাছিয়াম থায়ামিন রিবোফ্লোবিন (মুখে ঘা থাকলে কামে দিবো) ফোলিক এসিদ বিতামিন চি পচপরাস জিংক আর কি চাই ছব আচে ।
আমরা ছোটবেলায় আম চিপে চিপে নরম করে মাথায় ছোট্ট একটা ছিদ্র করে চুষে চুষে খেতাম কি যে মজা লাগতো আহ্ বলে বোঝানো সম্ভব নয় । সিঁদূরে আম খাওয়ার চেয়ে দেখতে সুখ বেশী । আমাদের দেশে ফলন বেশী হয়ে গেলে সংরক্ষন বা প্রক্রিয়াজাত করে ক্যানে করে রপ্তানী করার ব্যবস্থা নেই।
কেউ কেউ আমের রস বের করে আমসত্ত্ব তৈরী করে এটাও খেতে বেশ মজা । আম খায়না বা পছন্দ করেনা এমন মানুষ আমার চোখে পড়েনি । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।