ঘটনা দেখরল মনে হবে যশোরে তরকিুল নামে যে যুবলীগর্কমী খুন হয়ছেনে-তার সাথে জড়িত শহরের দোকানমালিকরা !
৬ জুন রাতে দড়াটানা মোড় থেকে প্রায় দেড়-দু কিমি দূরে টালিখোলা এলাকায় যুবলীগকর্মীরা পরস্পর বোমাবাজি আর গোলাগুলিতে লিপ্ত হয়। এতে তরিকুলসহ ৮ পথচারী গুরুতর জখম হন। তরিকুলকে উন্নত চিকি]সার্থে সে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়। ৫দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার তিনি মারা যান। বাদ বাকি শুনুন রিপোর্টারের কাছ থেকে-----
সন্ত্রাসী হামলায় নিহত যুবলীগকর্মী তরিকুলের লাশ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে যশোর শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা যুবলীগের একাংশ।
এসময় শহরের দড়াটানা চত্বরে মিছিলকারীরা বেশ কয়েকটি দোকান ভাংচুর ও মালামাল লুটপাট করে। পুলিশ তাদের বাধা দিতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তরিকুলের লাশ নিয়ে যুবলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী মিছিলসহ দড়াটানা চত্বরে অবস্থান নেয়। এসময় হঠাৎ করে কিছু যুবক এসএম আর্মস স্টোর, দড়াটানা সেলুন, তাজ স্নাকস ও সিদ্দিক বেকারিতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং টাকাসহ মালামাল লুট করে। দড়াটানা সেলুনের কর্মচারী গোপাল দাস অভিযোগ করেছেন, হামলাকারীরা তাদের দোকান থেকে ৬/৭ হাজার টাকা লুট করেছে হামলাকারীরা।
হামলার সময় কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে ওই স্থানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর তরিকুলের লাশ তার গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সমাবেশে জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ ও সহসভাপতি মেহেদি হাসান বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত,গত ৬ জুন রাতে যশোর শহরের পুরাতন কসবা টালিখোলা এলাকায় যুবলীগের দু’গ্রুপের গুলি ও বোমায় গুরুতর আহত হন তরিকুলসহ ৮জন। গুলিবিদ্ধ তরিকুলকে প্রথমে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে মৃত্যু হয় তার। রাতেই তরিকুলের লাশ যশোর নেয়া হয়। যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে যুবলীগ তার লাশ নিয়ে মিছিল বের করে।
তরিকুল গুরুতর জখম হওয়ার পর গত সোমবার থানায় একটি হত্যাপ্রচেষ্টা মামলা হয়েছিল। ওই মামলাটিই এখন হত্যামামলায় রূপান্তরিত হবে।
আর পুরো বিষয়টি তদন্তের ভার ডিবিকে দেয়া হয়েছে । তরিকুল খুনের ঘটনায় বিকেল পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।