সদা নিরুপায় তবুও অকুতোভয় কয়েকদিন আগেকার নিউজঃ ভারতের কোন এক প্রদেশে এক তরুণী আদালতে ধর্ষনের অভিযোগ এনে মামলা ঠুকেছেন এক ছেলের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ছেলের সঙ্গে সেই মেয়ে তিন বছর লিভটুগেদার করেছে। কিন্তু এখন ছেলেটি বিয়ে তাকে করতে চাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে ধর্ষণের মামলা করেছেন! আদালতের বিচারকও মেয়ের দিকেই ঝুকেছেন। প্রশ্ন হলো, কেন? সে মেয়ে বলে বিচারক তার দিকে ঝুকলেন! কিন্তু এই তিন বছরের তাদের সম্পর্ককে কি ধর্ষণের আওতায় পড়ে? ধর্ষণের সংঙ্গা কি বলে? উইকিপিডিয়ার মতে, "ধর্ষণ একপ্রকার যৌন অত্যাচার।
সঙ্গী বা সঙ্গিনীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বা অনুমতি ব্যতিরেকে যৌনাঙ্গের মিলন ঘটিয়ে বা না ঘটিয়ে যৌন সংগমে লিপ্ত হওয়াকে ধর্ষণ বলা হয়। " কিন্তু মেয়েটিরই ভাষ্যমতে, সে স্বইচ্ছাতেই লিভ টুগেদার করেছে। তাহলে এটাকে কেন ধর্ষণের মধ্যে ফেলা হল? যদি মেয়েটি বিয়েতে রাজি না হতো তবে ছেলেটি কোন অভিযোগে মামলা ঠুকতো? তখন বিচারক কি আদৌ ছেলেটির পক্ষ নিতেন?
পেশাগত কারণেই হোক আর যে কারণেই হোক দেশ বিদেশের সংবাদের সঙ্গেই থাকা হয় প্রতিমুহুর্ত। কিছু নিউজ মাঝে মাঝে প্রশ্নবিদ্ধ করে। কেন জানি মনে হয় নারী বা মহিলা সত্ত্বা মানেই হলো আমাদের সমাজে দুর্বল জায়গা, সফট কর্ণার হিসেবে চিহ্নিত! কিন্তু এই আমরাই বলি নারী পুরুষের সমান অধিকার ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু বাস্তবতায় এর ভিন্ন চিত্র পরিলক্ষিত হয় সর্বদাই।
আমাদের দেশের হরহামেশাই কিছু নিউজ পড়ি। শিরোনাম বা মুল বক্তব্যগুলো এ রকম, প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরি/যুবতী ধর্ষিত। প্রেম মানেই একধরণের সমঝোতা। সেখানে ছেলেটির পাশাপাশি, মেয়েটিও রাজি থাকে সম্পর্ক স্থাপনে।
হ্যা, ছেলে যদি পরবর্তিতে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে না চায় তবে সেটিকে প্রতারণার মধ্যে ফেলা যেতে পারে। কিন্তু এটিকে কেন সেই ধর্ষণের সংঙ্গার মধ্যে ফেলা হয়? আর ফেলাই যদি হয় তাহলে সেখানে মেয়ে কেন দোষী হয় না। "অন্যায় যে করে, আর অন্যায় যে সহে সমান অপরাধী"। কিন্তু বাস্তবতা কি আসলেই তাই। তবে হ্যা বলে রাখি, আমি আবার ধর্ষকদের পক্ষে উকালতি করছি না।
রসু খাঁ ব্রাশদায়ার করে মারা হোক এটাও আমি চাই। তবে এটাও চাই রসু খাঁদের উত্থান কিভাবে হয় তা খুজে বের করা। সমস্যার মুল খুজে বের করা।
আইন, বিচার তো সহমর্মিতার উর্ধে। যেখানে আইনগতভাবে আমরা অনেকটা প্রতিষ্ঠা করেছি 'ছেলে মেয়ের সমান অধিকার' সেখানে একপক্ষের দিকে কেন ঝোকা? কেন প্রেম চলাকালীন সময়ের সম্পর্ক, প্রেম ভেঙ্গে গেলেই ধর্ষণে রুপ নেয়?
হয় ধর্ষনের সংঙ্গা পরিবর্তন করতে হবে না হয় তথাকথিত 'ছেলে মেয়ের সমান অধিকার' এই বাকওয়াজ কথা/নীতি কথা ঝেড়ে ফেলতে হবে।
প্রেম করার সময়, লিভটুগেদার করার সময়ের 'শারিরীক সম্পর্ক' যদি পরে অভিযুক্তই হয় তাহলে সেখানে মেয়ে কেন দোষী নয়? ছেলে কি একা করে?
আমাদের তথাকথিত প্রগতিশীল নারীরা কখনো তো লিভ টুগেদারের বিপক্ষে কথা বলেছেন বলে শুনিনি। কিন্তু কোন কারণেই বিভাজন হলেই তারা সেই নারীর প্রতি সহমর্মি হয়ে দেশ দুনিয়া, আদালত উদ্ধার করেন তারা। প্রকারান্তে অনেকেই তসলিমা নাসরীনকে লোক সমাজে অচ্ছুত ভাবেন। কিন্তু এই বিষয়ে মনে প্রানে তার একটি ধারণাকে একাট্টাভাবে ধারণ করেন। "যদি মেয়ের অমতে করা দৈহিক সম্পর্ককে ধর্ষণ বলা হয় তাহলে বাংলার প্রায় ঘরে বঊ তার স্বামী দ্বারা ধর্ষিত হয়"
প্রগতিশীল নারীদের কাছে আমার অনুরোধ, ধর্ষনকে ধর্ষণের জায়গায় রাখেন।
সব সম্পর্ককে একটা পর্যায়ে চলে গেলে সেটাকে ধর্ষণের আওতায় আনবেন না প্লিজ। শুধুই নারীই প্রতারিক হয় না, ছেলেরাও হয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।