ইদানিং চড়ুইটা ঘরে ফিরছে না আর খড়কুটোর শৈল্পিকতা; প্রেয়সীর মাদকতা; কি এক ভ্রান্তিতে ভুলেছে আলয়। সঙ্গিনী রেখেছে চোখ, যে পথে ফিরেছে চড়ুই শত সহস্রবার। এইতো কিছু বছর আগে, সূর্য্য যখন অস্তপাটে সান্ধ্যতে করেছিল আনন্দবিহার মাঠ ঘাট সব খুঁজে; যাই পেত খেটে খুটে সঙ্গিনীকে সাথে নিয়ে করতো ডিনার! কখনও দুজনে মিলে; উড়ে যেত চলন বিলে কতবার ঘাসফুল দিয়েছে উপহার! এইতো সেদিন কালপ্রহরে, মটরদানার দেনমোহরে থেকে যাবার অঙ্গীকার তবুও চড়ুই কেন ফেরে না কোন অভিমান সিঁধ কেটেছে সঙ্গিনীকে রাখতে একা বুক কাঁপে না আর? যে কথা কেউ জানেনি সেদিন, সন্ধ্যাবেলার পরে মেঘ করেছিল আঁধার ভীষণ, আকাশ কেঁপেছিল ঝড়ে। ছোট্ট চড়ুই চায় ইতিউতি কিছুটা খাবার পাওয়া যায় যদি ঝলসানো আলো, প্রবল বাতাসে ফেরা হয়নি তার। দুদিন হলো কাতরায় চড়ুই, শরীরে জখম ভীষন তর প্রিয়তমা তার অপেক্ষায় বুঝি আমায় না পেয়ে খুঁজি, ভেবে নিলো কি স্বার্থপর! জিভের তলায় তেষ্টা ভীষণ এক ফোঁটা জল? নাহ, সেটা নয়! যেটা সে ভাবতো আদিখ্যেতা, না বলেও তো হয় মমতা আজ তারই ভীষণ তেষ্টা পেল “ভালোবাসি” বলিবার! নিস্তেজ চড়ুই অস্ফুটে হাসি বলে চলেছে ভালোবাসি, ভালোবাসি... যে সমুদ্র তাকে আগে ছোয়নি সেই কথাই সে বলেছিল শেষ, যে কথা আজও বলা হয়নি!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।