সাধারণ শিক্ষার্থী। পলাশ,কৃষ্ণচূড়া ভাললাগে। সবুজ ঘাসের শিশিরকণা ছুয়ে দেখতে মন চায়। আমাকে তোমাদের বাংলাদেশে থাকতে দিয়েছ। এর চাইতে বড় করুনা আর কি হতে পারে।
তোমাদের দেশে থাকতে দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ঘরে থাকলে গুম আর বাইরে গেলে সন্ত্রাসীদের হামলা। ভয় হয় খুব। তোমাদের দেশ থেকে বিদায় নিতে পারি চিরতরে, যেকোন সময়। তাতে কি? তোমার কি দোষ? আমার বেডরুমে পাহারা দেয়ার দায়িত্ব তো আর তোমার নয়।
তোমার পুলিশ বাহিনী কি আমার জন্য? সে তো হরতাল প্রতিরোধের জন্য। আমাকে ধরে নিয়ে জেলে পুরবার জন্য। তাহলে তারা কেন আমাকে রাস্তা-ঘাটে পাহারা দেবে? আমি গাড়ীর নিচে পরে পিচঢালা রাস্তার সাথে পিষে গেলেই কার কি? তোমাদের দেশের আবর্জনা পরিস্কার হবে। আমি তো তোমাদের দেশের আগাছা। কেটে ফেলনি আমাকে এখনও সেজন্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ। তোমাদের এই দেশে আমি কেবলই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করি। কি দরকার আমাকে বাচিয়ে রেখে? শেষ করে দাওনা চিরতরে। আর বিশৃঙ্খলা হবেনা তোমাদের এই ব্যক্তিগত দেশে। এতকিছুর পরেও কেন যেন ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করেনা তোমাদের এই দেশকে।
কেন যেন খুব নিজের মনে হয় দেশটাকে। নিজের মনে করে খুব গর্ববোধ করি মাঝে মাঝে। কিন্তু সব গর্ব, অহংকার নিমিষেই মিশে যায়। মনে পড়ে, দেশটা তো আমার নয়। তোমাদের।
তোমাদের দেশকে নিয়ে তোমরা গর্ববোধ করবে, অহংকার করবে। আমার কি অধিকার আছে। দেশটা তো আমার নয়। তোমাদের। তোমরাই শুষে খাও আমাকে, দেশকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।