বেশি কিছু চাই না, চাই শুধু মনের কথা বলতে
গল্পের বইয়ের গন্ডি পেরিয়ে এবার সত্যি বড়পর্দায় পা রাখতে চলেছেন তরিনী চরন বন্দ্যোপাধ্যায় যাকে আমরা তারিনীখুড়ো হিসেবে বেশি চিনী। সত্যজিৎ রায় রচিত কাল্পনিক চরিত্র তারিণীখুড়ো যদিও "টলিউডে তারিণীখুড়ো" শীর্ষক গল্পে আগেই ছবিতে অভিনয় করছিল তবে তা বাস্তবে নয়, গল্পে। সত্যজিৎ পুত্র সন্দীপ রায়ের হাত ধরে নাম ভূমিকায় অভিনয় করতে চলেছেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়্যাল বেঙ্গল রহস্যের পর সত্যজিৎ-পুত্রের পরিচালনায় শুরু হতে চলেছে তারিণীখুড়ো৷ বাবার তিনটি গল্প-- ব্রাউন সাহেবের বাড়ি, অনাথবাবুর ভয়, লখনউয়ের ডুয়েল এবং শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প ভূত-ভবিষ্যত্ নিয়ে তৈরি হচ্ছে সন্দীপের নতুন ছবি৷অগাস্টে শুরু হচ্ছে ছবির শ্যুটিং৷পরিচালক জানিয়েছেন, ছবির বেশির ভাগ অংশই হবে আউটডোরে। পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও অন্যান্য ভূমিকায় দ্বিজেন বন্দ্যোপাধ্যায়, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় সহ অনেক অভিনেতা রয়েছেন।
[শুটিংএ ব্যাস্ত সন্দীপ রায়]
এবার তারিণীখুড়োর চরিত্র সম্বন্ধে একটু বলা প্রয়োজন, সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা বা প্রোফেশার শঙ্কুর থেকে সম্পূর্ন ভিন্ন স্বাদের চরিত্র হচ্ছে তারিণীখুড়ো। ভারতবর্ষের ৩৩ শহরে ৫৬ রকম কাজ করেছেন তারিণীখুড়ো, ফলে বিচিত্র অভিঞ্জতায় ঠাসা এমনই অফুরন্ত তাঁর গল্পের স্টক যে, দু-ভল্যুম আরব্য উপন্যাস লেখা চলে। আর্টের খাতিরে একটু যা রঙ চড়ান তিনি তাছাড়া সবই নাকি সত্যি।
এবার ছবির কথায় আসা যাক। সন্দীপ রায় যে চারটি গল্প অর্থাৎ ব্রাউন সাহেবের বাড়ি, অনাথবাবুর ভয়, লখনউয়ের ডুয়েল এবং ভূত-ভবিষ্যত্ নিয়ে ছবি করছেন , চারটি গল্পই অসাধারন ভাল।
ছবিতে ৪টি গল্পই তারিণীখুড়োকে দিয়ে বলানো হবে আসলে লখনউয়ের ডুয়েল ছাড়া বাকি ৩টি র সাথে তারিণীখুড়োর আদতে কোন যোগ নেই। এখন দেখার ছবিতে এই বিষয়টিকে কি ভাবে উপস্থাপন করলেন পরিচালক।
[ সেই মহান শ্রষ্টা সত্যজিৎ রায় ] ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।