আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নবী-রাসূল

শুন আমার ভাই বোনেরা আমি একজন প্রেমের মরা আমার একটা অনুরোধ আমার লেখা গুলো কেউ দয়া করে গান হিসেবে নিবেন না ভাবলে বড় ভূল হবে। আর একটা কথা সবাই ভাববেন যে তওহীদের পর ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসগুলোর একটি হচ্ছে নবুয়ত রেসালতের প্রতি ঈমান। নবুয়ত রেসালতের আভিধানিক অর্থ বার্তা বহন। যে একজনের বানী অন্য জনের নিকট পৌছায়, শাব্দিক অর্থে তাকে বলা হয় নবী, রাসূল বা বার্তাবাহক। ইসলামের পরিভাষায়, যিনি আল্লাহর আদেশ-নিষেধ সম্বলিত বানী বান্দাদের কাছে পৌছান এবং তদনুযায়ী তাদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন তাকে নবী বা রাসূল বলা হয়।

এ কারনেই কোরআনে নবী রাসূল বুঝাতে পথ প্রদর্শক শব্দ ও ব্যবহত হয়েছে। অর্থাৎ তিনি শুধু বানীই পৌছান না, লোকদেরকে সহজ-সরল পথেও পরিচালিত করেন। যুগে যুগে নবী-রাসূলগন মানুষকে যে পথ নির্দেশ দান করেছেন তাই ইসলামের সরল-সঠিক পথ। নবী-রাসূলদের প্রতি ঈমান আনা, তাদের আনুগত্য স্বীকার করা এবং তাদের প্রদর্শিত পথ বর্জন করে নিজের বুদ্বি অনুযায়ী অন্যবিদ পথ উদ্ভাবন করে বা অন্যের উদ্ভাবিত পথে চলে, সে নিশ্চিতরুপে গোমরাহ, পথভ্রষ্ট। এক শ্রেনীর লোক নবী-রাসূলের আস্তিত্ব স্বীকার করে, কিন্তু তার উপর যেমন ঈমান পোষন করেনা; তেমনি তার আনুগত্যও করেনা; এরা কাফেরই নয় শুধু, নির্বোধও বটে।

কারন, কোন মানুষ পয়গম্বরকে সত্যিকার পয়গম্বর বলে স্বীকার করার পরও তার নির্দেশ মেনে না চলার অর্থ হচ্ছে, জ্ঞান-বুদ্বি থাকা সত্বেও মিথ্যার, আনুগত্য করা। এর চাইতে বড় আর কোন নির্বুদ্বিতা হতে পারে না। মানুষের পথনির্দেশের জন্য মহান আল্লাহ যাকে নবুয়ত প্রদান করেছেন, সেই নবীর আনুগত্য স্বীকার করার জন্য তিনিই মানুষকে নির্দেশ দিয়েছেন। অতএব, প্রত্যেক মানুষের উপর তাকে নবী বলে স্বীকার করা এবং কেবল তারই অনুসরন করা ফরয। তার আনুগত্য অনুসরন থেকে যে বিমুখ হয় সে নিশ্চিত কাফের।

সে আল্লাহকে মানুকই বা না-ই মানুক, তাতে কিছুই যায় আসে না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।