সোনার হরিনের পেছনে ছুটছি। আমার বন্ধু তুসারের কাজিন এর নাম মম। দেখতে তেমন সুন্দর না। কিন্তু অনেক লম্বা। আবার অনেক সুন্দর করে কথা বলে।
আমাদের এলাকা দিয়ে মম স্যারের কাছে পড়তে যায়। আমি এবং তুসার যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আড্ডা দেই সেই রাস্তা দিয়েই মম যাতায়াত করে। আমরা মাঝেই মাঝোই মম কে দেখতে পাই। অনেক দিনই তুসার ওর কাজিনের সাতে কথা বলে। কিন্তু আমার মেয়েদের সাথে তেমন কথা বলার অভ্যাস নাই বলে আমি তুসারের সাখে কখনও যাই না।
ইতিমধ্যে তুসার একদিন আমাকে বলল যে ওর কাজিন নাকি আমাকে অনেক পছন্দ করে। আমার সাথে নাকি লাভ করবে। আমি তো শুনে অবাক হয়ে গেলাম। মম তুসারকে নাকি বলে আমি নাকি মমর দিকে কেমন কেমন করে তাকাই। আমিও নাকি ওকে অনেক পছন্দ করি।
মম নাকি এটা বুঝতে পারছে। যাই হোক মমর এমন কমেন্ট শুনে আমারও কেমন যেন লাগতে লাগল। শেষ পযর্ন্ত আমি তুসারকে বলতে বাধ্য হলাম দে মমর নাম্বার। দেখি কল করে কি বলে মম। নাম্বার নেওয়ারও অনেকদিন পর আমি মমকে ফোন দিলাম।
কারন আমার অনেক ভয় ভয় লাগতেছিল ওকে কল দিতে। শেষ পর্যন্ত আমি একদিন মমকে কল করলাম। সেদিন মনে হয় আমাদের মধ্যে ১৫-২০ মিনিট কথা হয়েছিল। এর পর আমি আর ওকে কল দেই নাই। হটাৎ একদিন রাত ১২টার পর মমই আমাকে কল করে বসল।
সেদিন আমরা প্রায় একঘন্টা কথা বলেছিলাম। তার কয়েক দিন পর আমার একদিন ঘুম আসছিল না। আমি মমকে কল দেওয়ার কথা চিন্তা করলাম। কিন্তু আমার আবারও অনেক ভয় করতেছিল যে মম কি মনে করে। কিন্তু এমন করতে করতে আমি ওকে মিসকল দিয়ে ফেললাম।
কিন্তু আমি তো অবাক। মিসকল যাওয়ার সাথে সাথে মম আমাকে কল ব্যাক করল। আমি রিসিভ করে অনেক ক্ষন ভালভাবে কথা বলতে পারতেছিলাম না। কারন আমি মমকে মিসকল দিয়েছি বলে আমার নিজের কাছে নিছেকে অপরাধি মনে হচ্ছিল। যাহোক এদিনও আমরা প্রায় দেড় ঘন্টা কথা বললাম।
কিন্তু এই কথার বলার মাঝখান দিয়ে মম আমাকে বলল যে, মমরা আমাকে যখন প্রথম দেখেছিল তখনই নাকি ওরা বান্ধবীরা মিলে আমার একটা নাম দিছে। আমি অনেক অনুনয় বিনয় করে যখন ওকে আমার সেই নামটি বলতে বললাম, তখন মম বলল যে তারা আমার নাম দিয়েছে W.K। আমি বললাম W.K মানে কি। আবারও যখন অনুনয় বিনয় করলাম। তখন মম বলল W.K মানে হোয়ইট কদু।
মমর এমন নাম দেওয়ার পিছনে কারন হলো আমি নাকি অনেক ফর্সা তাই ওর বান্ধবীরা আমার নাম দিছে হোয়াইট কদু। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।