আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কচি ঘাস এবং সিগারেটের ধোয়া

যদিও তুমি ধ্রুবতারা তবুও আমি দিশেহারা কিছু কচি ঘাসের দল শহরের এক প্রান্তে নদীর ঘ্রাণ খেয়ে খেয়ে বড় হয়। খুবই স্বচ্ছ এক ফোটা শিশীর মারা গিয়েছিল খুবই কৈশর বেলা। এই নদীতে। তার লাশ গিয়ে মিশেছিল সুমুদ্রে। কচি ঘাসেরা সাক্ষি হিসেবে বেড়ে ওঠে।

তারা বেড়ে ওঠে বাঁশপাতা বনের পাশে, মৃদু বাতাসের বুকের ভেতরে, জ্যোৎস্না বন্যার কবলে, জীবিত শিশীরের শরীর জড়িয়ে, জোনাক আলোয় ভিজে ভিজে অথবা গোবর মাখানো স্পঞ্জের অন্ধকারে। শহরের দেয়াল গুলি ঘেসে যুবক, মুখে ধোয়া নিয়ে, ছেড়ে চলে যায় দেয়ালের ওপাশে। কচি ঘাসেরা বেড়ে ওঠে সিগারেটের ফিল্টার গুনতে গুনতে। যুবক আসে, চলে যায়, আছড়ে পড়ে ঘাসের উপর। ঘাসেরা বেচে থাকে, বেচে থাকা দেখে।

রোদের সম্রাজ্যে শিশীরদল অসহায়, তারা জীবন হারায় পুনুরুত্থান অথবা পুনঃজনমের অনিশ্চয়তায়। ঘাসেরা এখন একটু সবুজ, তারা শুন্যতা দেখে শুন্যতার সাত রঙ দেখে, ঘুড়ি দেখে, সিগারেটের ধোয়া দেখে। তারা দেখে যায় যুবক বেচে চলে। সিগারেটের ফিল্টার বাড়তে থাকে, বৃষ্টিতে কিছু কিছু ভাসতে ভাসতে চলে যায় দুরথেকে ভেসে আসা ভাসতে থাকা নদীর সাথে। ঘাসেরা এখন গাড়ো সবুজ, তারা অনেক কিছুর স্বাক্ষি।

ছোট্ট চাঁদকে তারা যুবতি হতে দেখেছে। তারা দেখেছে কিভাবে জোনাকদল যুবতি জ্যোৎস্না চুরি করে নিয়ে আসে। কিভাবে যুবকের দীর্ঘশ্বাষ মেঘে পরিণীত হয়, গলে গলে মিনতি করে নিদীটির কাছে সুমুদ্র যাত্রার আকাঙ্খায়। যুবকের চোখ ছল ছল করে, কিন্তু কোন দিন একফোটা পানির আঘাতে ক্ষত হয়নি ঘাসেদের শরীর। ঘাসেরা দেখে যায়, যুবক থেমে যায় নদীর ধারে যেয়ে।

ধীর হয়ে যায় সিগারেটের ধোয়া, নদীতে চাঁদের মত আরেকটা চাঁদ, ধোয়ার মত আরো ধোয়া, যুবকের মত যুবক। ঘাসেরা এবার শব্দ শুনে, অনন্ত জলের মধ্যে এক ফোটা জল পতনের শব্দ। ঘাসেরা চকিত হয়ে তাকায়, যুবক ভেসে যায় সুমুদ্র যাত্রায়, অন্তহীন গন্তব্যে। বেচে থাকা মানুষের মধ্য জীবিতদের সংখ্যা খুব কম। চুড়ান্ত মৃত্যুর আগে আমাদের কয়েকবার করে মারা যেতে হয়।

কবিতা খুব বিশ্বস্ত জমি। কবর খোড়া যায়, যখন খুব বেশি প্রয়োজন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।