আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাইকোর্ট-পার্লামেন্ট ফাইট, কতটুকু ইনজয় করা সম্ভব

তবু হাতড়ে খুজে ফিরি আলো বাংলাদেশে এই ধরনের সঙ্ঘাত প্রথম। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে এই ধরনের বিষয় দেখা গিয়েছে, কিন্তু ওইখানে তো সবই সম্ভব। কিন্তু তাই বলে বাংলাদেশে? বিশিষ্ট কামাল মনে করছেন এইটার সমাধান সম্ভব । কিন্তু তার আগেই আমাদের কিছু মৌলিক সমধানের মুখোমুখি হয়ে যেতে হবে- রাষ্ট্র, সংসদ এবং বিচারব্যবস্থা নিয়ে। সংসদ তো আমরা আম-পাবলিক নির্বাচিত করি, আর বিচারপতি বানায় রাষ্ট্রপতি।

শপথ নিয়ে তাই বিচারপতি হতে হলেও তার দায়বদ্ধতা সংসদের চেয়ে কম, কারন পরের ইলেকশানে পাস ফেলের ঝামেলা তার নাই। তাই একজন বিচারপতি যখন “যা ইচ্ছা তাই” করতে থাকেন তখন সেইটা খুব ঝামেলার হয়ে যায় কারন কিছু বলতে গেলেই আদালত অবমাননার সম্ভাবন। আমি অবশ্য এইখানে মহান জাতীয় সংসদের কিছু বক্তব্য উপস্থাপন করছি, যাতে নিজের উপর রিস্ক কমিয়ে আনা যায়। জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক বলেন, “সংসদ সার্বভৌম কি না, তা আমার প্রশ্ন। উনি লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই আওয়ামী লীগ সরকারের দয়ায় বিচারপতি হয়েছেন।

তিনি মানসিক বিকারগ্রস্ত। বিচারপতিদের জবাবদিহি করার জন্য সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ ফিরিয়ে আনা উচিত। ” আওয়ামী লীগের শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, “বিচার বিভাগ স্বাধীন, কিন্তু সংসদের উপরে নয়। স্পিকারের বিষয়ে যে মন্তব্য মানিক করেছেন, তা সংসদের ওপর নগ্ন হামলা। স্পিকারকে অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী বলেছেন।

কীভাবে আদালত এই কটূক্তি করতে পারেন? স্পিকারকে রাষ্ট্রদ্রোহী বলেছেন। তার মানে সংসদ, সাংসদ, সরকার সবাই রাষ্ট্রদ্রোহী। তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তার ক্ষমা চাওয়া উচিত। সংসদ থেকে এ বিষয়ে প্রস্তাব যাওয়া উচিত।

” সবচেয়ে মজার কথা বলেছেন তোফায়েল। আওয়ামী লীগের আরেক সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে ‘স্যাডিস্ট’ আখ্যায়িত করে বলেন, “তিনি মানুষকে অপমান করতে পছন্দ করেন। যারা স্যাডিস্ট, অন্যকে কষ্ট দিয়ে আনন্দ পায়, আমরা তাদের ঘৃণা করি। স্যালুট না দেওয়ায় তিনি ট্রাফিক পুলিশকে কানে ধরে ওঠবস করান। তৃতীয় শ্রেণীর টিকিট কেটে এই ব্যক্তি বিমানের বিজনেস ক্লাসের সিট চান।

তার লজ্জা থাকা উচিত। ” জাতীয় সংসদে এই প্রথম বিচারপতির নাম ধরে তার সমালোচনা শুরু হয়েছে। ব্যক্তিটি কিছু বিতর্কিতও বটে। বিশেষ করে বিএনপির কাছে। কারন বেশ কিছু রায় তাদের বিরুদ্ধে গিয়েছে।

যার ফলে এমনকি মওদুদও মহাজোট এমপি দের সাপোর্ট করছেন । মজা পাচ্ছি.... ভদ্রলোক নাকি এক টিভি টকশোতে অংশ নিয়ে বিচারাধীন মামালা নিয়ে কথা বলে একবার বেশ ফাপরে পড়েছিলেন। আরো শুনলাম লোকটির নাকি লন্ডনে ৪টি বাড়ি রয়েছে । এইসব ঘটনা কি আসলে বিচার বিভাগের প্রতি আমাদের অনাস্থা তৈরী করছে না। বাংলাদেশ করাপ্টেড দেশ সবাই জানে, কিন্তু একটা জায়গার করাপশান নিয়ে কেউ কখনও কথা বলতে পারে না।

সাম্প্রতিক অতীতে একজন পত্রিকা সম্পাদককে জেল খাটতে দেখা গিয়েছে, এই নিয়ে লেখা ছাপিয়ে। দায় দ্বায়িত্ব কার উপর পড়ে, বিচার ব্যবস্থার? নাকি দলীয় বিবেচনায় নিয়োগের প্রক্রিয়ায়। আমি অপেক্ষা করছি। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।