অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথপানে চেয়ে বসে আছি
মুভি রিভিউ::: John Carter (2012)
মুভির প্রথমেই দেখা যায় যে এক ছেলে তার চাচার কাছ থেকে টেলিগ্রাম পেয়ে তাকে দেখতে যায়। কিন্তু গিয়ে জানতে পায় যে তার চাচা মারা গেছে, আর তার সকল সম্পত্তি দান করে গেছে তাকে। সাথে দিয়ে গেছে একটা ডায়রী। সেই ডায়রী সে পড়তে শুরু করে।
পৃথিবী থেকে জন কার্টার নামের একজন আঠারো শতকে ঘটনাচক্রে এক গুহার মাঝে আবিষ্কার করে বসে এমন একজনকে যারা এক গ্রহ থেকে আরেক গ্রহে অনায়াসে চলে যেতে পারে একটি ডিভাইসের মাধ্যমে।
ভুলক্রমে সেই ডিভাইসের মাধ্যমে সে চলে যায় মার্স বা বারসুম গ্রহে। সেখানে সে এক অদ্ভুত ক্ষমতার অধিকারি হয়। আর তা হচ্ছে সে ইচ্ছামত লাফিয়ে অনেক উচুতে উঠতে পারে। তার এই ক্ষমতা দেখে তাকে বন্দী করে রাখে বারসুমের থার্ক্স নামক প্রানীরা।
অপর দিকে বারসুমের ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে সিটি অফ হিলিয়াম কোনঠাসা, কারন যার সাথে লড়াই সেই যোডাঙ্গাদের প্রধান স্যাব থানের হাতে আছে নাইন্থ রে,এমন এক অস্ত্র যা তাকে দিয়েছে তারাই যাদের একজনকে কার্টার প্রথমেই সেই গুহার মাঝে মেরে ফেলে।
আর তারা নিজেদের বলে থার্ন বা সার্ভেন্ট অফ গডেস। আর তাদের সেই গডের ইচ্ছায়ই নাকি তারা যোডাঙ্গাদের পক্ষ নিয়েছে।
যাই হোক, যোডাঙ্গা প্রস্তাব পাঠায় যে যদি হিলিয়ামের প্রধানের মেয়ে ডেজাহ’কে তার সাথে বিয়ে না দেয় তাহলে সে হিলিয়ামকে ধ্বংস করে ফেলবে। হিলিয়াম এতে রাজী হয়ে যায়, কারন তাদের এছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না।
পালিয়ে যায় ডেজাহ।
তাকে ধরতে যোডাঙ্গা যখন পিছু লাগে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে কার্টার।
কার্টার আর ডেজাহ মিলে রহস্য উদ্ঘাটন করে কিভাবে সে বারসুমে এলো আর কিভাবে সে আবার ফিরে যেতে পারবে। হিলিয়ামকে বাচানোর জন্য কার্টারের কথা অনুযায়ী ডেজাহ বিয়েতে রাজী হয়ে যায়। বিয়ের আগে কার্টার যখন পৃথিবীতে ফেরত আসবে তখনই সে ধরা পড়ে থার্নদের হাতে। যে জানতে পারে যে বিয়ের কাহিনী আসলে পুরোটাই ভুয়া।
বিয়ে শেষ হওয়ামাত্র যোডাঙ্গারা হিলিয়ামের উপর আক্রমন চালাবে। কার্টার থার্নদের হাত থেকে পালিয়ে থার্ক্সদের সহযোগিতায় হিলিয়ামকে উদ্ধা করে। ডেজাহ’র সাথে কার্টারের বিয়ে হয় আর কার্টার স্থায়ীভাবে সেখানে থেকে যাবার জন্য সেই ডিভাইসটি ফেলে দেয় যা দিয়ে সে বারসুমে এসেছিলো। আর ঠিক তখনই থার্ন তাকে পৃথিবীতে ফেরত পাঠিয়ে দেয় তার ডিভাইসের মাধ্যমে।
কার্টার নিজেকে সেই গুহায় আবিষ্কার করে, আর ওদিকে বারসুমে ফুলশয্যার রাতে তার জন্য অপেক্ষা করে বসে আছে ডেজাহ।
ছবির আসল টুইস্ট এখানেই। কার্টার কি পারবে কোনো ডিভাইস ছাড়া বারসুমে ফেরত যেতে?? নাকি এতক্ষন যা ঘটলো পুরোটাই তার কল্পনা কিংবা বানানো কোনো কাহিনী?
মুভিটির গ্রাফিক্স অসাধারন লেগেছে আমার কাছে। পুরো মুভিটা দেখে যেরকম ফিনিশিং আশা করেছিলাম সেরকম হয় নি, বরং ফিনিশিংটা আমাকে অবাক করেছে।
মুভির কিছু স্ক্রীনশট দেখুন
জন কার্টার চরিত্রে অভিনয় করেছে টেইলর কিটস
আর ডেজাহ চরিত্রে অভিনয় করেছে লিন কলিন্স
আই এম ডি বি লিঙ্ক::: http://www.imdb.com/title/tt0401729/
ডাউনলোড লিঙ্ক:: (৮০০ মেগাবাইট)
পার্ট ১
পার্ট ২
পার্ট ৩
পার্ট ৪
পার্ট ৫
মুভি বিষয়ক আরেকটি পোস্টঃ
মাথা নষ্ট করে দেয়া এক মুভি:::: The Experiment (২০০১) মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিঙ্কসহ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।