আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হে যুবক এসো ‘বর্জন’ করি

মানবতার গান গেঁয়ে যায়-তারুণ্যের প্রেরণায় জীবনের এক বিশেষ অধ্যায়ের নাম যৌবন। শৈশব-কৈশোর-পৌঢ়ত্ব ও বার্ধক্যের ন্যায় যৌবন কথাটি মানবচক্রের একটি নির্দিষ্ট স্তরকে বুঝায়। লিঙ্গ পার্থক্য বিবেচনায় না এনে নারী পুরুষ একটি বয়োঃসন্ধিক্ষণে উপনিত হলে তাদের আমরা বলি যুবক। জাতিসংঘের মতে ১৫-৩০ বছর সীমার অর্ন্তভূক্ত প্রতিটি নাগরিক যুবক হিসাবে গণ্য। ১৫-৪০ বছর বয়সটাই যৌবন।

যুবকরাই যুদ্ধের যোগ্য। জীবনের মায়া না করা তার স্বভাব, তারাই পৃথিবীর প্রাণ,মুসলিম জাতির গৌর। যুবকরাই পৃথিবী গড়ার কারিগর। ইউরোপ আমেরিকাসহ সমগ্র মানব সভ্যতায় যুব সমাজের রয়েছে মূখ্য ভূমিকা। বর্তমান আধুনিক পৃথিবী যুব সমাজেই প্রচেষ্টার ফসল।

কিন্তু বর্তমান সাম্রাজ্যবাদীদের নগ্ন থাবায় আজ যুব সমাজ অবক্ষয়ের জ্বরে আক্রান্ত। সদা ক্রিয়াশীল এ যুব সমাজ আজ অবক্ষয়ের করুণ শিকার। পৃথিবী গড়ার বদৌলতে আজ তারা পৃথিবী ধ্বংসে ব্যস্ত। বিভিন্ন অনাচার,পাপাচার,সাম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র,সন্ত্রাস ইত্যাদী কারণে যুব সমাজ আজ ধ্বংসের মুখোমুখি। অবক্ষয়ের আবর্তে হারিয়ে যাওয়া যুব সম্প্রদায়কে বাঁচানোর এক তাগিদ অনুভব করছেন সবাই।

কিন্তু কিভাবে সম্ভব তারুণ্যের উদ্বেলতাকে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসার? যৌবন কাল আল্লাহপাকের শ্রেষ্ঠ নিয়ামত। কেয়ামতের কঠিন সময়ে এ যৌবন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে, হে যুবক তোমাকে যে যৌবন দেওয়া হয়েছিল তা কোথায় ব্যবহার করছে? তখন কি জবাব দেবে হে যুব সমাজ! তাই যৌবনের পরম দানকে অনাচার পাপাচারে নষ্ট করে ফেলো না,কারণ যে যৌবন হারা হলো সে রাজ্যহারা হলো। যৌবন শক্তির সদ্ব্যবহার করো ,মহাকালে,ঐশ্বরিক কার্য্যে তোমার যৌবনকে ব্যবহার করো। হে যুবক তোমাকে হতে হবে,পৃথিবীর সেরা সৈনিক,বিজ্ঞানী,গবেষক,কবি,সাহিত্যিক,রাজনীতিবীদ,। হে যুবক তোমার জীবনে বসন্ত জেগেছে, এ বসন্ত কি বৃথা হয়ে যাবে তোমার কাছে? বসন্ত কে যত্ম করে রত্ম বানিয়ে ঘরে তুলে নাও।

তোমাকেই হতে হবে বিশ্ব মানবতার উদ্ধারকারী ,মজলুমের আশ্রয়দানকারী,সাম্রাজ্যবাদের আতংক। সাম্রাজ্যবাদীদের আগ্রাসনে ক্ষত-বিক্ষত পৃথিবীর মজলুম মা-বোনেরা-ভাইয়েরা আত্মচিৎকার করছে সহায়তার জন্য,তবুও কি তুমি অবক্ষয়ের ঘুমে ঘুমিয়ে থাকবে? তাই নিজের যৌবন সংরক্ষন এবং তার মাধ্যমে বিশ্বজয় করার জন্য নিম্মোক্ত বিষয় সমূহকে বর্জন করো ,প্রতিরোধ করো,প্রতিহত করো,সুন্দর পৃথিবীর স্বার্থে,আগামী প্রজন্মের শিশুদের স্বার্থে তাই হে যুবক এসো নিন্মোক্ত বিষয়গুলোকে ‘বর্জন’ করি ঃ- ১.সাম্রাজ্যবাদ ঃ- সাম্রাজ্যবাদ বর্তমান পৃথিবীর আতংক। সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসনে ক্ষত-বিক্ষত পৃথিবী,ইরাক আফগানিস্তানে চলছে গণহত্যা,মজলুমের আহাজারী। সারা পৃথিবীটাই যেন বর্তমানে সাম্রাজ্যবাদের করুণ আগ্রাসনের শিকার । পৃথিবীর দিকে দিকে সাম্রাজ্যবাদীরা বুক ফুলিয়ে মানবতা ধ্বংস,মানবাধিকার লংঘন করে চলেছে।

কেউ নেই তাদের রুখার? তাদের নগ্ন থাবা থেকে মায়ের পেঠের শিশুও রক্ষা পাচ্ছে না। বর্তমান সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসনের সবচেয়ে বেশি শিকার মুসলিম বিশ্ব ও মুসলমানরা। সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসনে মুসলিম বিশ্বে চরছে ব্যাপক গণহত্যা,মুসলিম নিধন। তারা পৃথিবীটাকে খিষ্ট্রবিশ্ব বিশ্ব বানাতে চায়,সেই জন্য মুসলিম বিশ্বকে,মুসলমানদের ধ্বংস করে দিতে হবে। তাদের আগ্রাসনে অস্তিত্ব সংকটে ভূগছে মুসলিম বিশ্ব।

হে মুসলিম যুবক তোমাকেই এগিয়ে আসতে হবে,মুসলিম বিশ্ব ও মুসলমানদের বাঁচানোর জন্য। অবক্ষয়ের ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠ,মুক্ত করো মুসলিম বিশ্বকে। তাই সাম্রাজ্যবাদকে বর্জন করো,ধ্বংস করো,শেষ করে দাও সাম্রাজ্যবাদীদের এ দেশীয় এজেন্টদের। ২. ধর্মনিরেপেক্ষতা ঃ- ধর্মনিরেপেক্ষতা মানে ধর্মদ্রোহীতা,ধর্মহীনতা। ধর্মই পৃথিবীতে শান্তি,শৃঙ্খলার গ্যারান্টি দান করে।

ধর্ম মানুষকে মানবতাকে পূত পবিত্র করে। পক্ষান্তরে ধর্মনিরেপেক্ষতা মানুষকে অমানুষে পরিনত করে,হিংস্র তৈরি করে,অনাচারে পাপাচারে মানবতাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। বর্তমান সাম্রাজ্যবাদী ভারত ধর্মনিরেপক্ষেতার দোহায় দিয়ে মুসলমানদের পুড়িয়ে মারছে,কাশ্মিমীরকে মুসলিম শুণ্য করার চাক্রান্ত করছে। মানবতা ধ্বংস ও মানবাধিকার লংঘন করছে। তাই ঘৃণ্য সেই ধর্মনিরেপেক্ষতাকে বর্জন করো।

প্রতিহত করো ধর্মনিরেপেক্ষবাদীদের। ৩. যৌনাঙ্গের অপব্যবহার ঃ- পৃথিবীতে মানবতার বংশ বিস্তারের জন্য নারী-পুরুষ দাই শ্রেণীতে বিভক্ত করে তাদের যৌন ক্ষমতা দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পৃথিবীতে মানুষের বংশ বিস্তারের ধারা চলে এসেছে। কিন্তু যৌনাঙ্গের অপব্যবহারের মাধ্যমে অবাধ যৌনাচার,সমমৈথুন,পশু মৈথুম,বিকৃত যৌনাচার,ধর্ষন,ইত্যাদীর মাধ্যমে মানবতা আজ ধ্বংসের মুখোমুখি। এর মাধ্যমে এইডসসহ বিভিন্ন মানবতা বিধ্বংসী রোগ মানব জাতির পিছু নিয়েছে।

জন্ম নিচ্ছে বিভিন্ন ভয়ংকর অপরাধের। পৃথিবীর ধ্বংসকৃত জাতি সমূহের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তারা শুধু মাত্র আল্লাহকে না মানা ও যৌনাঙ্গের ব্যাপক অপব্যবহারের কারণে ইতিহাসের নষ্ট কীটে পরিনত হয়েছে। হে যুবক তোমরাও কি চাও ইতিহাসের নষ্ট কীট হতে? তা যদি না চাও, যদি পৃথিবীর ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হতে চাও,তাহলে,যৌনাঙ্গের অপব্যবহার বর্জন করো,আইন সম্মত ভাবে যৌনাঙ্গের ব্যবহার করো, তাহলেই পৃথিবীতে সফল হবে। ৪. সন্ত্রাস ঃ- আদর্শিক যুদ্ধে পরাজিত শক্তির সর্বশেষ অস্ত্র সন্ত্রাস। সন্ত্রাস বর্তমান শতাব্দীর আতংক।

সাম্রাজ্যবাদের পৃষ্টপোষকতায় দেশে দেশে গড়ে উঠেছে ভয়ংকর সন্ত্রাসী গ্রুপ ও সংগঠন। এর মাধ্যমে তারা মুসলিম বিশ্বের ভিত্তিকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে এবং মুসলিম যুব সমাজকে পরিনত করছে সন্ত্রাসীতে। আজ দেশের দৈনিক,সাপ্তাহিক পত্র পত্রিকা সমূহে চোখ বলালেই দেখা যাবে খুন,ধর্ষন,রাহাজানি,চাঁদাবাজীসহ সামাজিক অবক্ষয়ের ঘৃণিত রুপটি। বাংলাদেশের কয়েক লক্ষ তরুণ ঘৃণিত এ পেশার সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে দেশে দেশে আবার সন্ত্রাসী গ্রুপ ও সংগঠন সমূহকে রাজনৈতিক শক্তি গুলো ইন্ধন দিয়ে থাকে তাদের স্বার্থের জন্য।

এর সাথে সন্ত্রাসের রাজনীতিকরণের মাধ্যমে দেশকে নরকের কুন্ডে পরিনত করছে রাজনীতিবীদরাই। রাজনৈতিক আধিপত্যের জন্য শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের অবস্থা আরো করুণ। চর দখলের মতো হল দখল,বিশ্ববিদ্যালয় দখল,প্রতিপক্ষকে খুন,ধর্ষনের মাধ্যমে জাতির মেরুদন্ড শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। বেকারত্বের কারণেও সন্ত্রাসীদের পাল্লা ভারী হচ্ছে। সন্ত্রাসের কারণে অচল হচ্ছে দেশের অর্থনীতির চাকা ।

তাই ঘৃণিত এ সন্ত্রাসকে বর্জন করো । তারুণ্যের উদ্বেলতায় রুখে দাও সন্ত্রাসকে ধ্বংস করো সন্ত্রাসীদের। ৫. মিথ্যা ঃ- মিথ্যা হচ্ছে সকল পাপের জননী। পৃথিবীর সকল অঘটন ও অশান্তির মূল কারণ মিথ্যাবাদীতা। মিথ্যাবাদীতার কারণে সমাজ ও রাষ্ট্র অশান্তিতে ভরে ওঠে।

মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার কারণে কত নিরীহ মানুষ অকালে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। এ মিথ্যা সুন্দর যৌবনকে কলংকিত করে,অসুন্দরে পরিনত করে। আর মিথ্যা যখন রাজনীতিবীদদের আদর্শ হয়,রাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যক্তিরা যখন মিথ্যা তখন দেশ এবং দেশের সামগ্রিক অবস্থা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায়। তাই এসো প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় প্রাণ দেবো তবুও মিথ্যা বলবো না,সকল প্রকার মিথ্যাকে প্রতিরোধ,প্রতিহত করবো এটাই হোক যুব সমাজের অঙ্গীকার। ৬. দূনীতি ঃ- শিক্ষা যেমন জাতির মেরুদন্ড,অর্থনীতি তেমনি দেশের মেরুদন্ড।

সকল উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি অর্থনীতি। আর সেখানে যদি দূর্নীতি বাসা বাঁধে তাহলে জাতির ভাগ্যে নেমে আসে অন্ধকার। আমাদের মতো গরীব দেশগুলোর জন্য দূর্নীতি এক মারাত্মতক অভিশাপ। ক্ষুধা,দারিদ্রতা ও বেকারত্বের পাশাপাশি দূর্নীতি আমাদেরকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে। আর সেখানে সহায়তার নামে সাম্রাজ্যবাদ মাথার চেপে বসছে।

রাজনীতিবীদরাই আমাদের দেশকে দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান করেছে। দেশের উন্নতি,অগ্রগতির জন্য দেশের প্রধান শক্র দূর্নীতির শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রাখতে হবে যুব সমাজকে। তাই এসো শপথবদ্ধ হই শুধু দূর্নীতি মূলোচ্ছেদ নয়,দূর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা আমরা গড়ব এটাই হোক আমাদের দীপ্ত অঙ্গীকার। ৭. ধুমপান ঃ- ধুমপান একটি বাজে অভ্যাস।

ধুমপান হচ্ছে মাদকাসক্তির প্রথমস্তর। তাই ধুমপানকে বিষপানের চেয়েও মারাত্মক বলা হয়। কারণ বিষপানে জীবনের তাৎক্ষনিক মৃত্যু হয়। কিন্তু ধুমপানে তিলে তিলে মৃত্যু হয়। ধুমপান ব্যাক্তি সমাজ ও জাতির এক মারাত্মক অভিশাপ।

কারণ ধুমপানের মূল উপকরণ অত্যন্ত ক্ষতিকর উপাদান। এর মধ্যে নিকোটিন হচ্ছে সবচেয়ে ক্ষতিকর মারাত্মক বিষ। ধুমপানের কারণে যক্ষা,হাঁফানি,ক্যান্সার ইত্যাদী মারাত্মক রোগ হয়। অনেকে এটাকে তারুণ্যের স্মাটনেস মনে করে। অনেকে আবার টেনশনের প্রতিষেধক হিসাবে ধুমপান করে।

কিন্তু ধুমপান হচ্ছে তারুণ্য নষ্টের মূল কারণ। এছাড়া দেশে প্রতি ৬ সেকেন্ডে একজন করে ঘন্টায় ৪৫০ জন ধুমপায়ীর মৃত্যু হয়। তাই এসো হে যুবক প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় ‘ধুমপান করব না,অকালে মরব না’। ৮. মাদক ঃ- বর্তমান বিশ্বে সমগ্র মানব জাতির জীবন ও সভ্যতার জন্য অত্যন্ত বড় হুমকি হলো মাদক। এটি একটি অভ্যাসগত রোগ এবং তা ধিরে ধিরে মানুষকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।

ড্রাগের কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিঃশেষ হয়ে যায়। ক্রমশ ভোতা হয়ে পড়ে মনন শক্তি,ক্ষিধে পায় না, হাসি কান্নার বোধ থাকে না,ক্রমশ ওজন কমে যায় এবং অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ড্রাগ পৃথিবী বিধ্বংসী জীবন হননকারী রোগ এইডস উৎপত্তির অন্যতম প্রধান কারণ। সুন্দর সম্ভবনাময়ী যুব সমাজকে ড্রাগ ধ্বংসের দিকে ধাবিত করছে। ড্রাগের কারণে আজ বুকফাটা কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী ওঠে,আর্ত হাহাকারে রাতের অন্ধকার আরো নিঃসঙ্গ বেদনার্ত হয়ে ওঠে,পরিবার গুলোতে অকালে শোকের ছায়া।

তাই সেই ভয়ংকর ড্রাগকে বর্জন করো,সহপাঠীদেরকেও রক্ষা করো সেই মৃত্যুর ছোবল থেকে। ৯. নকল ঃ- শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। কিন্তু নকল নামক এ ব্যাধিটি জাতির এ মেরুদন্ডকে দুর্বল করে দিচ্ছে। নকল হচ্ছে মানব জীবনের এক অভিশাপ,এ অভিশাপের কবলে পড়ে দেউলিয়া হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম। নকল করা নির্লজ্জ কাজ যা শিক্ষা জীবনকে বিপন্ন করে তোলে।

নকলের কারণে বেকারত্বের সারি ও দীর্ঘ হচ্ছে। তাই নকলকে বর্জন করো, নকলমুক্ত সমাজ ও শিক্ষাঙ্গন গড়ে তোল। ১০. অশ্লীলতা ঃ- অশ্লীলতা আমাদের যুব সমাজকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। সদা ক্রিয়াশীল এ সম্প্রদায় রুগ্ন করে দিচ্ছে এ অশ্লীলতা। যুব সমাজের চরিত্র ধ্বংসের জন্য যৌন উত্তেজক উপকরণ অশ্লীল ফিম,সিডি,ভিসিডি,ম্যাগাজিন,ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক ,পর্ণো পত্রিকা,পর্ণো ওয়েভসাইট গুলোকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।

এর মাধ্যমে যুব সমাজের মনুষত্যকে গলাটিপে হত্যা করে পশুত্বকে জাগিয়ে তোলা হচ্ছে। ফলে পৃথিবীতে খুন,ধর্ষন,অনাচার পাপাচার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই যৌবনকে সুরক্ষার জন্য অশ্লীলতা মুক্ত রাখতে হবে। এসো হে যুব সমাজ সুন্দর সুস্থ পৃথিবী গড়ার জন্য অশ্লীলতাকে বর্জন করি। ১১. প্রেম-ভালবাসা ঃ- বিবাহ পূর্ব প্রেম-ভালবাসাই যুব সমাজের অনিষ্টের মূল কারণ।

মূলতঃ প্রেম-ভালবাসার পেছনে কাম‘ই কাজ করে। তাই কামের তাড়নায় প্রেমের-ভালবাসার নামে যুবক-যুবতীরা একত্রিত হয়। মেডিকেল বিজ্ঞানের গভেষনায় দেখা গেছে,নারী ও পুরুষের পরস্পরের প্রতি আকর্ষন অথ্যাৎ প্রেম ভালবাসার মূল কারণই হলো,শুক্রকীটের ডিম্বানুর প্রতি তীব্র আকর্ষন। প্রেম ভালবাসার কারণে জন্ম নিচ্ছে অনাচার পাপাচারের ,ধ্বংস হচ্ছে ছাত্রদের ক্যারিয়ার,নষ্ট হচ্ছে যৌবন। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে যুবতীদের,সতীত্ব হারানো,অকালে মাতৃত্বের অভিশাপ ও বহন করতে হচ্ছে।

ফলে জন্ম নিচ্ছে আত্মহত্যার। তাই অশুভ এ প্রেম ভালবাসাকে বর্জন করো । নারী জাতি মায়ের জাতি,তাদের সম্মান শ্রদ্ধা করতে শিখো,বিয়ের আগে যদি ভালবাসার কৌটা খালি করে ফেল,তাহলে বিয়ের পরে কি করবে? ১২. ছাত্ররাজনীতি ঃ- বর্তমান সময়ে জাতির এক মারাত্মক অভিশাপে পরিনত হয়েছে ছাত্ররাজনীতি। দেশ জাতির প্রয়োজনে গঠনমূলক ছাত্র রাজনীতি বাদ দিয়ে গড়ে ওঠেছে লেজুড় ভিত্তিক অশুভ ছাত্ররাজনীতি। ফলে মানুষ গড়ার কারখানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজ পরিনত হয়েছে মানুষ মারার কসাইখানাই।

বই কলমের পরিবর্তে হাতে শোভা পাচ্ছে অত্যাধুনিক অস্ত্র,ফেনসিডিল,গাঁজা ইত্যাদী। যা ব্যবহার করছে প্রতিপক্ষের ওপর। মা-বাবার আশার ধন ডিগ্রীর পরিবর্তে লাশ হয়ে ফিরছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ছাত্রনেতারা চাঁদাবাজী,টেন্ডরবাজীতে ব্যস্ত।

তাই ঘৃণিত ছাত্র রাজনীতিকে বর্জন করো,প্রতিরোধ গড়ে তোল তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার স্বার্থে ,দেশের স্বার্থে। ১৩. হিংসা ঃ- হিংসা সমস্ত পূণ্য কাজ সমূহকে বরবাদ করে দেয়,ও পাপের দিকে আকর্ষন করে। এটা এমন এক ভয়ংকর ব্যাধি যা অজ্ঞ জনসাধারণ তো বটেই বড় বড় সাধক পীর দরবেশকেও ধ্বংস করে ছাড়ে। প্রধানত হিংসা মানুষের পূর্ণকে বিনষ্ট করে,পাপ ও নাফরমানীর প্রেরণা যোগায়,অহেতুক হয়রানী ও দুশ্চিন্তার উদ্ভব ঘটায়,হৃদয়ের শান্তি বিনাস করে,বিবেক বুদ্ধি নষ্ট করে দেয়,হিংসার প্রভাবে হিংসুটের হৃদয় দৃষ্টিহীন হয়ে পড়ে,নানা অবমাননা ও লাঞ্ছনার অভিশাপ ডেকে আনে ,এছাড়া হিংসার কারণে কত শত সংঘর্ষ ও খুন হচ্ছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। তাই হিংসাকে বর্জন করো।

১৪. লোভঃ- লোভে পাপ,পাপে মৃত্যু। পৃথিবীর সকল অঘটন খুনের পেছনে একমাত্র লোভই দায়ী । লোভের কারণে ভাই-ভাইকে,সন্তান-পিতাকে,পিতা-সন্তানকে,মা-কন্যাকে,কন্যা-মাকে,স্বামী-স্ত্রীকে,স্ত্রী-স্বামীকে খুন করতেও দ্বিধাবোধ করে না। পৃথিবীর ধন সম্পদ করায়ত্ব করার লোভে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ পৃথিবীব্যাপী যেভাবে গণহত্যা ও মানবাধিকার লংঘন করছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। শুধুমাত্র ইরাকের তৈল সম্পদের দখলের জন্য বুশ-ব্লেয়াররা ইরাকে ১৩ লাখের অধিক মানুষ হত্যা করেছে।

তাই লোভই সকল অনিষ্টের মূল। তাই লোভ কে বর্জন করো। ১৫. মুখের অপব্যবহার ঃ- পৃথিবীর সকল সংঘাত,সংঘর্ষের পেছনে মুখের অপব্যবহারই দায়ী। তাই মুখকে হেফাজত করো। তাহলে শান্তিতে থাকতে পারবে।

১৬. চলচ্চিত্র ঃ- চলচ্চিত্রই যুব অবক্ষয়ের উদ্ভাবক। সংস্কৃতি হচ্ছে একটি জাতির দর্পন। কিন্তু সেই সংস্কৃতি অশ্লীলতা নির্ভর,দাঙ্গা-হাঙ্গামা নির্ভর,প্রেম ভালবাসা নির্ভর হওয়ার কারণে আজ যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। দেশের খুন,ধর্ষন,অপহরণ,প্রেম-ভালবাসা,দাঙ্গা-হাঙ্গামা চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই দেশের জনসাধারণ ও যুব সমাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতেছে। ফলে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।

তাই এ ধরণের সকল চলচ্চিত্রকে বর্জন করো। সুস্থ চলচ্চিত্রের বিকাশ ঘটাও। ১৭. ফ্যাশন ঃ- ফ্যাশনের নামে আমাদের নারী জাতিকে পশ্চিমা বিশ্বের মতো ভোগ্যপন্যে পরিনত করা হচ্ছে। ফ্যাশনের নামে কাম উদ্দীপক অঙ্গ ভঙ্গির মাধ্যমে আমাদের যুব সমাজ কে বেহায়াপনার দিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। আব্রু নামে ফ্যাশনের আয়োজন করে আমাদের জাতিকে বে-আব্রু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

১৮. ইভটিজিং ঃ- ইভটিজিং বা উক্ত্যক্ত করা একটি সামাজিক অপরাধ। এটা লাম্প্যট্যের সর্বোচ্চ পর্যায়। আজ রাস্তা-ঘাটে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সহ সব খানে নারীরা ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে। দেশে ভারতীয় চলচ্চিত্রের সংস্কৃতির মাধ্যমেই আমাদের দেশে মূলত ইভটিজিং এর সূত্রপাত ঘটে। অন্য কারো বোনকে উক্ত্যক্ত করার আগে যদি বখাটেরা নিজের বোনের কথা চিন্তা করে তাহলে কোন যুবক এ অপকর্ম করবে না।

তাই এ ঘৃণ্য কর্মকান্ডকে বর্জন করো। ১৯. সময় অপচয় ঃ- সময় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। পৃথিবীতে যারাই সফল হয়েছেন,একমাত্র সময়ের সদ্ব্যবহারের মাধ্যমেই হয়েছেন। আমাদের জীবনটাও কিছু সময়ের সমষ্টি মাত্র। অথচ এ মহামূল্য সময়কে বর্তমান যুব সমাজ গঠনমূলক কাজের পরিবর্তে অযথা গল্প-গুজব,আড্ডা,ডিশ-অশ্লীল ফিম দেখার মাধ্যমে নষ্ট করতেছে।

ফলে জীবন যুদ্ধে নষ্ট কীটে পরিনত হচ্ছে। ছাত্রদের জন্য সময় অপচয় আরো গুরুতর । কারণ ‘সময়ের একফোঁড় আর অসময়ের দশফোঁড়’। তাই সময়ের অপচয় বর্জন করো। সময়ের সদ্ব্যবহারের মাধ্যমের বিশ্বজয় করো।

২০. জুয়াখেলা ঃÑ বর্তমান যুব সমাজের অবসর সময়ের প্রধান কাজই যেন জুয়াখেলা। এ জুয়াখেলার মাধ্যমে কতজন যে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। অনেকে জুয়াখেলায় নিজের স্ত্রীকে পর্যন্ত হারিয়ে আসে। বর্তমানে ইন্টারনেটে জুয়াখেলা ছাত্রদের নেশায় পরিনত হয়েছে। জুয়াখেলা টাকা নষ্ট করে,মহামূল্যবান সময় নষ্ট করে,সর্বোপরি যৌবনকে নষ্ট করে।

তাই জুয়াখেলাকে বর্জন করো। ২১. গান-বাজনা ঃ- বর্তমানে যুব সমাজের সুস্থ মন মানসিকতা ,মেধা নষ্টের অন্যতম কারণ হচ্ছে গান-বাজনা। শিক্ষামূলক নানা বিষয় বাদ দিয়ে নারী পুরুষের আকর্ষনজনিত রোমান্ঠিক গান এবং নানা গাল-গল্পে ভরা বর্তমান সঙ্গীত জগৎ। যা নারী পুরুষকে অবৈধ সম্পর্কের সৃষ্টিতে উৎসাহিত করে। নারী পুরুষের সু-ধারণা নষ্ট করে,কু-ধারনার জন্ম দেয়।

যা যুব সমাজকে যেনা-ব্যভিচারে উদ্বৃদ্ধ করে। ক্ষতি করে ছাত্রদের পড়ালেখার। তাই সকল কুরুচিপূর্ণ গানকে বর্জন করো। সুস্থ ও দেশাত্ববোধক গানের মাধ্যমে মেধা ও মননকে শানিত করো। ২২. কুদৃষ্টি ঃ- কুদৃষ্টিই মানুষের অন্তরে যেনা-ব্যভিচারের জন্ম দেয়।

মনের শান্তিকে বিনষ্ট করে। বিভিন্ন খারাপ কাজে উদ্বুদ্ধ করে। পরিনতিতে জীবনে আনে অপূরনীয় ক্ষতি । তাই কুদৃষ্টি কে বর্জন করো। সুদৃষ্টির মাধ্যমে পূণ্য হাসিল করো।

২৩. বেকারত্ব ঃ- অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। কারণ যার কোন কাজই থাকে না,শয়তান তাকে যে কোন কুকর্মে কাজে লাগায়। বেকারত্ব মানব জীবনের চরম অভিশাপ। হে যুবক তোমার এত মেধা,এত সম্ভবনা,শরীরে এত শক্তি থাকা সত্ত্বে ও তুমি বেকার? ছি! ছি! যুবক ছি! বেকার হয়ে থাকার চেয়ে মরাও ভাল। তাই দুর করো জীবন থেকে বেকারত্বকে নামক অভিশাপকে।

২৪. চুরি-ডাকাতি ঃ- চুরি-ডাকাতি করা যৌবনকে অসম্মান করার সামিল। তুমি এক সম্ভবনাময়ী যুবক, তুমি চুরি ডাকাতি কর! ছি! যুবক ছি! চুরি-ডাকাতি করা খুবই নিকৃষ্ট কাজ। অনেক যুবক নেশা ও মাদকের টাকা যোগাড় করার জন্য এ নিকৃষ্ট কাজে জড়িত হয়ে পড়ে। তাই ঘৃণিত এ কাজ কে বর্জন করো। ২৫. কাপর্ন্য করা ঃ- কাপর্ন্য করা যুবক স্বভাব নয়।

যুবকের শক্তি,সামর্থ,ধন-সম্পদ সব কিছুই আল্লাহর আমানত। এ আমানতকে যথাযোগ্য ক্ষেত্রে ব্যয় করতে যুবকরা কাপন্য বোধ করে না। যুবক মতো উদার মনা স্বভাব আর কারো নেই। সে দেশের স্বার্থে,জাতির স্বার্থে শুধু ত্যাগ করে যায়। সে কোন কিছুর পরওয়া করে না।

তাই কাপর্ন্যকে বর্জন করো। ২৬. অসৎ সঙ্গ ঃ- কথায় আছে ‘সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস,অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ’। ‘সঙ্গদোষে লোহ ভাসে’ । বন্ধু সৎ হলে অসৎ বন্ধুকেও ভাল হতে সহায়তা করে.আর বন্ধু অসৎ হলে ধিরে ধিরে তোমাকেও সে সে পথে টানবে। সঙ্গ দোষের কারণে অধিকাংশ ছেলে মেয়ে ভাল ও খারাপ হতে বাধ্য।

কারণ পৃথিবীতে সাধারণত বন্ধুত্বের মাধ্যমেই অসৎ কাজের সূচনা হয়। যেমন-বেশ্যা গমন,প্রেম-ভালবাসা,ধুমপান,মাদক,সন্ত্রাস সহ নানা অনাচার পাপাচারে মূলত বন্ধুর মাধ্যমেই জড়িয়ে পড়ে। তাই বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সৎ ও চরিত্রবান দেখে বাছাই করা দরকার। অসৎ বন্ধুকে এড়িয়ে চলো,সংশোধনের চেষ্টা করো,অসৎ সঙ্গকে বর্জন করো। ২৭. কু-ধারনা ঃ- কারো প্রতি কু-ধারনা করতে নেই।

কারণ অধিকাংশ ধারনাই অনুমান নির্ভর। আর কু-ধারনাই কারণে সম্পর্ক নষ্ট হয়,সৃষ্টি হয় বিভিন্ন অনাকাঙ্খিক ঘটনার। তাই কু-ধারনা কে বর্জন করো। সু-ধারনার ভিত্তিতেই গড়ে তোল সুন্দর যৌবন। ২৮. এক গুয়েমী ঃ- এক গুয়েমী এক মারাত্মক অভ্যাস।

এক গুয়েমীর অনেকের জীবন,যৌবন,ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যায়। এক গুয়েমী করে যে কোন কাজ করা ক্ষতিকর। কারণ এক মস্তিষ্ক থেকে দশ মস্তিষ্ক উত্তম,সেখানে ভূল হবার সম্ভবনার কম থাকে। তাই একগুয়েমী ছেড়ে দিয়ে পরামর্শ ভিত্তিক কাজ করো,বড় দের উপদেশ অনুযায়ী যে কোন কাজ করো সফল হবে। তাই জীবনের সকল ক্ষেত্রে একগুয়েমীকে বর্জন করো।

২৯. সংকীর্নমনতা ঃ- সংকীর্নমনতা ছোট মানসিকতার লক্ষণ। ছোট মানসিকতা দিয়ে জীবনে ভাল কাজ করা সম্ভব নয়। মনটাকে একটু বড় কর। দেখবে পৃথিবীটা অনেক সুন্দর,অনেক বড়,অনেক মানুষের বসবাস এখানে। সংকীর্নমনতা দিয়ে সুন্দর ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব নয়।

জীবন যুদ্ধে সফল হতে চাও? মনকে প্রশস্ত করো,সংকীর্নমনতা কে বর্জন করো। ৩০. দুর্বল সংকল্প ঃ- অল্প আগুন দিয়ে যেমন রান্না করা যায় না,তেমনি দুর্বল সংকল্প দিয়ে কোন কাজ করা সম্ভব নয়। জীবনে সফলতার জন্য প্রয়োজন সবল সংকল্প। জ্বলত্ব আকাঙ্খা,প্রাণ উৎসর্গ করার মাননিকতা। জীবনে সফল হতে চাও দুর্বল সংকল্পগুলো কে দুর করো,বর্জন করো।

প্রান দেয়ার মানসিকতা গড়ে তোল তাহলে জীবন যুদ্ধে সফল মহামানব হতে পারবে। ৩১. আত্মপ্রীতি ঃÑ জীবনে একটি কাজে সফল হয়েছো,খুব খুশি,খুবই আত্মপ্রীতি মগ্ন,এটাই তোমার ধ্বংসের কারণ। জীবনে কখনো আত্মপ্রীতি অনুভব করবে না,বরং আত্মসমালোচনায় নিজেকে পরিশুদ্ধ করবে। তোমার কি বিশ্বজয় করার স্বপ্ন? সেখানে শুরুতেই আত্মপ্রীতি তোমার ধ্বংস ডেকে আনবে। বরং আত্মপর্যালোচনার মাধ্যমে নিজেকে বিশ্বজয়ী করার মতো গড়ে তোল।

তাহলেই সফল হবে। হে যুবক,হে বন্ধুরা আমরা বিশ্বজয় করতে চাই,বাংলাদেশ কে বিশ্বের বুকে মাথা উচুঁ করে দাড় করাকে চাই। সামনে কন্টাকাকীর্ণ ভঙ্গুর পথ,অনেক বিপদ। এ কঠিন পথ পাড়ি দিতে হলে উপরোক্ত বিষয়গুলোকে বর্জন করতে হবে। আমাদের চলার পথে এসব বিষয় বাঁধার সৃষ্টি করবে,আমাদের চলার গতিকে থামেিয় দিতে চাইবে,তাই উপড়ে ফেলতে হবে এসব বাঁধার পাহাড়কে।

তাহলেই আমরা পৃথিবী জয় করতে পারবো। তরুণ সমাজের নেতৃত্বে একটি শান্তি সুখের দেশ ও পৃথিবী গড়ে উঠবে এটাই হোক এ শতাব্দীর যুব সমাজের অঙ্গীকার। তাদের কন্ঠে ধ্বনিত হোক ‘আমরা ফুটাব আশার পুষ্প সুবাস ছড়াবো বিশ্বময় হেরার জ্যেতি বক্ষে বেঁধে নিখিল ভূবন করবো জয়’। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।