মানুষ নিদ্রিত এবং মৃত্যুর পরপরই সে জেগে উঠবে। প্রথম পর্বের শুরুতে আমি বলেছিলাম কেয়ামত পূর্ববর্তী পৃথিবীর অবস্থার সাথে ইলুমিনাতি’র যোগসূত্র কোথায়। হ্যাঁ, যোগসূত্র আছে। কোথায়, তা পাঠক নিজেই নিচের লেখা থেকে বুঝে নেবেন আশা করি।
ইতিহাসের শুরু থেকেই ক্ষমতাবান মানুষেরা মানুষ ও সমাজকে নিজেদের খেয়াল খুশীমতো চালাতে চেয়েছে।
যড়যন্ত্রের পর ষড়যন্ত্রের করে এসেছে। সেই ধারা এখনও চলছে। অল্প কিছু সংখ্যক লোক লোকচক্ষু এবং পর্দার অন্তরাল থেকে সূতো টানছে। নিয়ন্ত্রণ করছে বা করার চেষ্টা করছে বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষের ভাগ্য। ব্যাপারটা এমন যে আমরা অনেক সময় তা’ দেখেও যেন দেখছি না।
নিখুঁত পরিকল্পনা মাধ্যমে ঘটিয়ে ফেলছে বড় বড় ঘটনা। যুদ্ধ বিগ্রহ। সামাজিক বিপ্লব। এমনকি বড় বড় সন্ত্রাসী ঘটনা পর্যন্ত। এবং যা’ ঘটে চলেছে এবং যা’ আমরা দেখি বা দেখেছি, আপাতদৃষ্টিতে তা’ সরল মনে হলেও আদতে তা’ এতটা সরল নয়।
ঐসব ঘটনার পশ্চাতে রয়েছে নিখুঁত সব পরিকল্পনা। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও গন্তব্য। পেছনে রয়েছে এমন সব মানুষ যা’ সিক্রেট সোসাইটি নামে আলোচিত। সিক্রেট সোসাইটি একাধিক হলেও তাদের মধ্যে ভয়ংকরতম হলো “ইলুমিনাতি”। ইংরেজীতে ILLUMINATI OF BAVARIA বা ILLUMINATI ORDER নামেও পরিচিত।
ইলুমিনাতি বিশ্বময় One World Order প্রতিষ্ঠা করতে চায় । এই উদ্দেশ্যে তারা ধর্মসমূহের বিনাশ চায়, সরকারগুলির উৎখাত চায়। ইলুমিনাতির শক্তির মূলে রয়েছে অকাল্ট (গূহ্য জ্ঞান) এবং ইকোনমি (অর্থনীতি)। এই গুপ্ত গোষ্ঠটি দীর্ঘদিন ধরে আর্ন্তজাতিক ব্যাঙ্ক, তেলব্যবসা, শিল্পকারখানা, এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাবানিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। আর্ন্তজাতিক রাজনীতি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সরকার কে প্রভাবিত করে আসছে।
এ প্রসঙ্গে ইলুমিনাতি-বিরোধী লেখক Wes Penre লিখেছেন: They decide who will be the next president, and they see to that their man wins, even if they have to cheat like they did in Florida when President George W Bush "won" over Al Gore. Most president campaigns are financed with drug money, which is understandable if you know that the Illuminati run the drug trade industry as well. Elections are really not necessary, but they let us vote so we can have a game, and by letting us, they pretend to follow the Constitution.
প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ। বলা হয়ে থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ‘ইলেকটেড’ হয় না, ‘সিলেকটেড’ হয়। কীভাবে? রক্তের উত্তরাধিকার নীতিতে; যাকে বলা হয় ‘ ইলুমিনাতি ব্লাডলাইন’ । প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ সম্পর্কে ‘রক্ত- সর্ম্পকে’ ব্রিটিশ রাজবংশের সঙ্গে জড়িত, যে ব্রিটিশ রাজবংশ ফ্রিম্যাসন গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষক এবং সদস্য ।
Illuminati শব্দটির অর্থ:- ‘জ্ঞানের দীপমালায় উদ্ভাসন।
’ তবে ইলুমিনাতি বলতে ক্ষুদ্র এক গুপ্ত গোষ্ঠীকে বোঝায়। এ বিষয়ে মাইক্রোসফট এনকার্টা লিখেছে: ... group claiming enlightenment: অথবা a group claiming to have received special religious or spiritual enlightenment, especially an 18th-century German secret society with deist (deism= rational belief in God: a belief in God based on reason rather than revelation and involving the view that God has set the universe in motion but does not interfere with how it runs. Deism was especially influential in the 17th and 18th centuries... ) ... and republican ideas. কিন্তু, প্রশ্ন হল কোন ধরণের জ্ঞান? মধ্যযুগে খ্রিষ্টীয় চার্চ চায় নি যে সাধারণ মানুষের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়াক বা মানুষ বিজ্ঞান চর্চা করুক । কাজেই একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী জ্ঞানের জন্য ঈশ্বর-এর বিপরীত শক্তি (শয়তান)-এর আরাধনা করে। ইলুমিনাতির জ্ঞানের ভিত্তি সম্বন্ধে পশ্চিমে এরকম ধারণাই প্রচলিত।
অ্যাডম ভাইসার্ট (১৭৪৮-১৮১১)।
যিনি বলেছিলেন: I am proud to be known to the world as the founder of the Illuminati. আরও বলেছিলেন: The human race will then become one family, and the world will be the dwelling of Rational Men... establish a New World Order through the use of science, technology and business, while abolishing all monarchical governments ...
অ্যাডম ভাইসার্ট ছিলেন জার্মানির (তৎকালীন বাভারিয়ার) ইনগলস্টাড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক। তিনি ১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে ইলুমিনাতি গোষ্ঠীটি প্রতিষ্ঠিত করেন। ভাইসার্ট -এর পূর্বপুরুষ ইহুদি হলেও পরবর্তীতে তারা ক্যাথলিক ধর্ম গ্রহন করেছিল। পরিবারটির সঙ্গে জেসুইটস সম্প্রদায়ের সম্পর্ক ছিল। জেসুইটস সম্প্রদায়টি অকাল্ট এবং ভারতীয় যোগশাস্ত্র চর্চা করত বলে সম্প্রদায়টি ছিল রহস্যময় ।
অনেকের মতে জেসুইটস সম্প্রদায়ের গূহ্য প্রতীক এবং সংকেত পরবর্তী কালে ভাইসার্ট তার প্রতিষ্ঠিত গোষ্ঠীর প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। ভাইসার্ট জার্মান ফ্রিম্যাসনারি লজ-এ যোগ দিয়েছিলেন। এরপর created the Illuminati as an organization within an organization, infiltrating numerous Masonic lodges and taking control of them, as well as the universities.ভাইসার্ট ইলুমিনাতি গোষ্ঠীকে ফ্রিম্যাসনারি গোষ্ঠীর ‘চূড়ান্ত স্তর’ হিসেবে দেখতেন।
জার্মানির মানচিত্রে ইনগলস্টাড এর অবস্থান। এখানেই অষ্টাদশ শতকের শেষে ইলুমিনাতি গোষ্ঠীর উদ্ভব হয়েছিল।
অষ্টাদশ শতকে ইনগলস্টাড ছিল বাভারিয়ার অর্ন্তগত । অ্যাডম ভাইসার্ট -এর জন্মস্থান হওয়ায় ছোট্ট শহরটি আলোচনা উঠে এসেছে। যে ভাইসার্ট বলেছিলেন: G is Grace, the Flaming Star is the Torch of Reason. Those who possess this knowledge are indeed Illuminati.
ভাইসার্ট ইলুমিনাতি গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠান দিন হিসেবে ১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দের মে মাসের ১ তারিখ বেছে নিয়েছিলেন । কেননা ওই দিনটি আদিম প্যাগানদের পবিত্র দিন। অনেকে কমিউনিষ্ট আন্দোলনকে ফ্রিম্যাসনারি এবং ইলুমিনাতি গোষ্ঠীর পরিকল্পিত ‘প্রজেক্ট’ বা ‘এজেন্ডা’ হিসেবে দেখেন।
মে মাসের ১ তারিখ কমিউনিষ্টদের এক বিশেষ দিন। তা ছাড়া ওই ১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দই American Declaration of Independence ঘোষিত হয়েছিল এবং মার্কিন ওই ঐতিহাসিক ঘটনার নায়কদের অনেকেই ছিলেন ফ্রিমেইসন যারা ইউরোপ থেকে অষ্টাদশ শতকে ‘নতুন বিশ্বে’ গিয়েছিল। (পরবর্তী পর্বগুলোয় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ...)...যাক। ইলুমিনাতি গোষ্ঠীর ভিতরে ভাইসার্ট ছদ্মনাম ধারণ করেছিলেন। ভাইসার্ট এর ছদ্মনাম ছিল ‘স্পার্তাকাস’; যিনি বলেছিলেন: ইলুমিনাতি বিশ্বময় One World Order প্রতিষ্ঠা করতে চায় ।
১৪ জুলাই, ১৭৮৯। ফ্রান্সের বাস্তিল দূর্গ জ্বলছে। ফরাসি বিপ্লবের পিছনেও ইলুমিনাতি গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ ইন্ধন ছিল বলে ঐতিহাসিকগণ ধারণা করেন।
ভাইসার্ট এর উদ্দেশ্য ছিল ... revolution against all existing social and political order and the destruction of religion, Judeo-Christian morality, and the nuclear family and the institution of marriage. ভাইসার্ট advocated a global socialist state. He advised his followers to recruit women by telling them that they were oppressed by men.
Wes Penre লিখেছেন: ভাইসার্ট- এর ‘স্পন্সর’ ছিল ইউরোপের সম্পদশালী রথচাইল্ড পরিবার। পরিবারটি তখনও এবং এখনও ফ্রিম্যাসনারি গোষ্ঠীর হর্তাকর্তা।
ফ্রিম্যাসনারি গোষ্ঠীতে 33 degrees বা স্তর রয়েছে। এই ৩৩ ডিগ্রির ওপরে ইলুমিনাতি গোষ্ঠীর নিজস্ব গ্রেড বা স্তর রয়েছে। এমন কী যারা ফ্রিম্যাসনারি গোষ্ঠী উচুঁ স্তরে বা লেভেলে অবস্থান করে তারাও এ বিষয়ে সচেতন নয়। বিষয়টি এমনই গোপন। ভাইসার্ট ১৮৩০ সালে মারা যান।
তিনি সম্ভবত কোনও ফ্রিম্যাসনের হাতে খুন হয়েছিলেন। সে যাই হোক। আসলে ভাইসার্ট ছিলেন রথচাইল্ড পরিবারের মতো ইউরোপীয় অভিজাতদের ক্রীড়নক। কারণ ইউরোপীয় অভিজাতরাই ছিল ইলুমিনাতি প্রতিষ্ঠার মূলে। যারা ‘নিউ ওয়ার্ল্ড অডার’ প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
... যে ইউরোপীয় অভিজাতদের সঙ্গে প্রাচীন ব্যাবিলনের সরীসৃপ-কাল্টের একটি স্পস্ট যোগসূত্র রয়েছে।
আসলে ভাইসার্ট এর মতোই ফ্রিম্যাসনারি এবং ইলুমিনাতি অভিজাত ইউরোপীয় রথচাইল্ড পরিবারের ক্রীড়নক; এবং গত ৩/৪ শ বছর ধরে ইউরোপ এবং আমেরিকার সব গুপ্ত গোষ্ঠীই ফ্রিম্যাসনারী এবং ইলুমিনাতির নিয়ন্ত্রণে। এ প্রসঙ্গে Wes Penre মন্তব্য করেছেন: All Secret Societies with secret grades of initiation are owned and controlled by the Illuminati, and Freemasonry is maybe the best known. The persons who control the societies and the Illuminati are occultists and black magicians. Their God is Lucifer. "The Light Bearer"( যে ঈশ্বরবিরোধী শক্তি আদমের বংশধরকে ‘জ্ঞানের দীপমালায় উদ্ভাসন’ করে?), and by occult practices they manipulate and influence the masses. It doesn’t matter if you and I believe in this or not, as long as they do. And they take it very seriously...
বর্তমানে ইলুমিনাতি নিয়ন্ত্রণ করছে ইউরোপ এবং আমেরিকার ১৩টি সম্পদশালী পরিবার; যাদের শক্তির মূলে রয়েছে অকাল্ট এবং ইকোনমি । ( যারা এই ধারাবাহিক পোস্টগুলো পড়ছেন তারা এরই মধ্যে জেনে গিয়েছেন যে মধ্যযুগের ইউরোপের নাইট টেম্পলারদের শক্তির মূলেও ছিল ওই অকাল্ট এবং ইকোনমি ) এই পরিবারগুলি ব্ল্যাক ম্যাজিক এবং অকাল্টচর্চা (মূলত শয়তানের উপাসনা) করে বলেই এদের বলা হয় ‘কৃষ্ণ অভিজাত’ বা ‘ব্ল্যাক নোবেলিটি’। বর্তমান বিশ্ব এই ‘শয়তান উপাসক’ সিক্রেট কাল্টই শাসন করছে।
এদের পূর্বপুরুষও প্রাচীনকালে বিশ্ব শাসন করত। এরা আজও আজও আর্ন্তবিবাহের মাধ্যমে প্রাচীন রক্তের ধারা বা ‘ব্লাডলাইন’ অক্ষুন্ন রেখেছে।
ইলুমিনাতি ক্রমশ ‘এক সরকার’ এবং ‘নতুন বিশ্বব্যবস্থা’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। উদ্দেশ্য সমগ্র বিশ্বকে দাসত্বে আবদ্ধ করে রাখা। এ জন্য তারা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছে।
আধুনিককালে শিল্পায়ন এবং ‘ইনফর্মেশন টেকনোলজি’ তাদের উদ্দেশ্য পূরণে সাহায্য করছে। ইলুমিনাতির অন্যতম উদ্দেশ্য হল ইউরোপ এবং আমেরিকার মতো উন্নত দেশগুলির জীবনযাত্রার মান নিচুস্তরে রাখা, যাতে রাষ্ট্র সহজেই জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল বিশ্বেও সামাজিক উন্নয়ন ঘটিয়ে জীবনযাত্রার মান উন্নত করে ইউরোপ এবং আমেরিকার মতো উন্নত দেশগুলির জীবনযাত্রার মানের সমকক্ষ করে তোলা। কারণ, To be able to accomplish a NewWorld Order, the living standard must be similar all over the world.
পূর্বে একবার উল্লেখ করেছি যে ইলুমিনাতির প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডম ভাইসার্ট-এর স্পন্সর ছিল রথচাইল্ড পরিবার। ইউরোপের সম্পদশালী রথচাইল্ড পরিবার ইলুমিনাতির প্রধান হয়ে উঠেছিল।
কাজেই অ্যাডম ভাইসার্ট-এর মৃত্যুর পর তার গোপন পরিকল্পনা অঙ্কুরে বিনষ্ট হয়ে যায়নি। রথচাইল্ড পরিবারটি আজও তেরোটি ইলুমিনাটি পরিবারের অন্যতম। সিসিল রোহডস নামে একজন প্রভাবশালী ফ্রিম্যাসন নেতা পরিবারটিকে মদদ যুগিয়েছিল।
সিসিল রোহডস উনিশ শতকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে ‘অভিন্ন বিশ্বব্যবস্থা’ নির্মাণের চেষ্টা করেছিলেন। রথচাইল্ড পরিবার সেই ‘এজেন্ডায়’ ‘স্পন্সর’ করেছিল।
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সেই পরিকল্পনারই ফল বলেই অনেকে মনে করেন। বিশেষ করে ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর মানুষ হতাশ হয়ে পড়ে। ফলে তারা জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠায় স্বস্তি পায়। শান্তিরক্ষাই জাতিসংঘের প্রধান কর্তব্য। কাজেই বিশ্বযুদ্ধ আর সংগঠিত হবে না।
But indeed the UN was another important front organization for the Illuminati, to unite the countries of the world into one (Wes Penre)
জাতিসংঘ সৃষ্টি করে ইলুমিনাতি সমস্যার সমাধান করে -যা one further step toward a One World Government.
ইলুমিনাতি অগ্রসর হয় সমস্যা -প্রতিক্রিয়া-সমাধান পদ্ধতিতে । বিশ্বযুদ্ধ সংগঠিত করে তারা সমস্যা তৈরি করে; এতে বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া হয়; মানুষ সমস্যার সমাধান চায়। কাজেই জাতিসংঘ সৃষ্টি করে ইলুমিনাতি সমস্যার সমাধান করে -যা one further step toward a One World Government.
ফ্রান্সে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বিরোধী বিক্ষোভকারীদের দমন করছে পুলিশ ...
জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পর ইলুমিনাতির পরবর্তী সাফল্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন । যা, অনেক বিশ্লেষকের মতে, একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিনত হতে যাচ্ছে। বলা হচ্ছে অচিরেই ই ইউ-র সদস্য রাষ্ট্রগুলির ক্ষমতা এবং সার্বভৌমত্ম হ্রাস পাবে।
একটি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে মুষ্টিমেয় অভিজাত শাসকদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে ইউরোপ। এরাই গ্রিস এর অর্থনীতি ধ্বংস করে ফেলেছে। কাজেই প্রশ্ন ওঠে- who are running EU?? উত্তর The Freemasons and the Illuminati.
ঐ ভয়ংকর ইলুমিনাতির ভয়ংকর সব পরিকল্পনা বা এজেন্ডা এক এক করে নিচে দেখুন:
ইলুমিনাতি সম্পর্কে উপরোক্ত তথ্য " Tip of the Iceberg" - এর মতো। কম পক্ষে ২০ পর্বে লিখতে পারলে মোটামুটি একটা পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যেতো।
সামুতে প্রথম সম্ভবত সিক্রেট সোসাইটি সম্পর্কে ব্লগ পাঠকদের জন্য পোষ্ট দেয় "হাফিজুর রহমান"।
সামুর প্রথম দিক্কার ব্লগার। তাকে স্যলুট জানাই। স্মার্ট লোক। সবার আগে পোষ্ট দিয়েছেন তিনি এ ব্যাপারে। তার ব্লগ ঠিকানাঃ Click This Link
তারপর পোষ্ট দেন মামুন বিদ্রোহী।
তার ঠিকানাঃ Click This Link
তারপর পোষ্ট দেনঃ জনপ্রিয়, সুশীল, বিনয়ী ও ক্যাচাল- এড়িয়ে-চলা ব্লগার ইমন জুবায়ের। তার ব্লগ ঠিকানাঃ http://www.somewhereinblog.net/blog/benqt60
সবার পোষ্টেই তথ্য বৈচিত্র্য ও উপস্থাপনার ভিন্নতা লক্ষ্যণীয়। এদের মধ্যে ইমন জুবায়ের এর সিরিজ আকার লেখা পোষ্টটি অনন্য ও সুসংগঠিত। তবে সবার উপরে আমি স্থান দেবো "হাফিজুর রহমান"-কে। কারণ তিনিই প্রথম এ ব্যাপারে লেখেন।
সবার নজরে আনেন।
সিক্রেট সোসাইটি সমূহের এক দলের এক একেক কাজ। প্রাচীন knights Templar, Freemasonry, Skull & Bones, Bilderberg Group, CFR. এদের মধ্যে CFR হচ্ছে অর্থনীতির নিয়ন্ত্রক। যাদের অধীনে World Bank এবং আই.এম.এফ রয়েছে। আমরা World Bank এবং I.M.F (আই.এম.এফ) -কে জানি, কিন্তু CFR-কে জানি না।
সময় পেলে একদিন CFR নিয়ে পোষ্ট দেবো। এ সিরিজের এখানেই সমাপ্তি।
(এ পর্বের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশের জন্য আমি বিশিষ্ট ব্লগার ইমন জুবায়ের -এর ঋণ স্বীকার করছি। )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।