আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এ-৫ বোমারু যুদ্ধবিমান। (আমার সেকেন্ড কার )

সত্যবাদী A-5lllA বিমানটি চায়নায় প্রস্তুত একটি সুপারসনিক ফাইটার বম্বার বিমান। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে ১৯৮৬ সালে এটি সংযুক্ত হয়। মাটির খুব কাছ দিয়ে উড়ে শত্রুর রাডার কে ফাঁকি দিয়ে এটি অত্যন্ত নির্ভুল ভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। বিমানটির মূল নকশা রাশিয়ান মিগ-১৯ কে অনুকরণ করে তৈরি হয়েছিলো। অসাধারণ এরোডাইনামিক গুণাবলির কারণে খুব অল্প সময়ে এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

১৯৮৬ সালে বিমানটি কেনার সময় বিমানটির কোনও প্রশিক্ষণ ভার্সন ছিল না। তাই বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে বৈমানিকদের এফ টী-৬ নামক একটি বিমানে প্রশিক্ষিত করে এই বিমান পরিচালনার জন্য যোগ্য করে তোলা হয়। একারণে একজন বৈমানিকের জন্য এ-৫ উড্ডয়ন একটি অত্যন্ত চালেঞ্জিং ব্যপার। উল্লেখ্য পাকিস্তান বিমানবাহিনীও এ-৫ বিমান ব্যবহার করে, কিন্তু এ-৫ বিমানের জন্য অত্যন্ত অভিজ্ঞ বৈমানিকদের বেঁছে নেয়া হয়। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর তরুণ বৈমানিকেরা অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে বিগত ২৬ বছর যাবত এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে আসছে।

অস্ত্র বহনকারী হিসেবে এর জুড়ী নেই। বিমানটি এর ডানা এবং পেটে দেড় টন ওজনের বোমা বহন করতে সক্ষম। শত্রুর বিমানকে মোকাবেলা করতে এতে রয়েছে মিসাইল বহন করার দুটি ষ্টেশন এবং দুই ডানার গোঁড়ায় দুটি শক্তিশালী মেশিনগান। বিমানটির জ্বালানী ভাণ্ডার এতটাই সমৃদ্ধ যে এটি শত্রু বাহিনীর অনেক ভেতরে থাকা লক্ষেও আঘাত হেনে ফিরে আসতে সক্ষম। বিমানটিতে রয়েছে 0-0 ইজেকশন সিট যা যেকোনো পরিস্থিতিতে বৈমানিক কে বিমান থেকে বের করে নিয়ে আসতে পারে।

অবশ্যই যদি বৈমানিক ইজেকশন হ্যান্ডলটি টানতে পারেন! বিমানটির দুটি শক্তিশালী ইঞ্জিন বিমানটিকে শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিতে চালাতে সক্ষম। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ২১ নং স্কোয়াড্রন এই বিমানটি পরিচালনা করে, যাদের পরিচয় হচ্ছে “The avengers” বা প্রতিশোধ গ্রহণকারী। যেকোনো যুদ্ধে বোমারু স্কোয়াড্রনের বৈমানিকরাই সর্বপ্রথম শত্রু সীমানা পার হয়ে যান নিজের জীবন কে তুচ্ছ করে। তাই একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক এবং বীরের পক্ষেই শুধুমাত্র এই দায়িত্ব সুচারু রূপে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। বৈমানিকের পেশার কিছু ঝুকি সবসময় থেকে যায়, যেটা শুধুমাত্র প্রশিক্ষন দিয়ে কমিয়ে আনা যায়।

কিন্তু একবারে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা সম্ভবপর নয়। বাংলাদেশ বিমানবাহিনী তার প্রশিক্ষণের উচ্চ মাত্রা ধরে রেখেছে এর যাত্রা লগ্ন থেকে। যার পরিশ্রুতিতে অত্যন্ত পুরনো বিমানগুলো যথাসম্ভব নিরাপদ ভাবে উড্ডয়ন করছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী ভারত, পাকিস্তান এবং মায়ানমারের তুলনায় যা ঈর্ষা করার মত। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, এই কিছুদিন আগে ভারতীয় বিমান বাহিনী তাদের ১০০০ তম ক্রাশ উদযাপন(??) করেছে! আধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত হলে এই সু-প্রশিক্ষিত বিমান বাহিনী বিশ্বের যেকোনো বিমানবাহিনীর সমকক্ষ হবার যোগ্যতা রাখে।

(এটি কোনও বিজ্ঞাপন পোস্ট নয়)  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।