বলার নেই কিছু। অতন্দ্রিত রাতের পর কিছু নিয়তি অমোঘ মন্ত্রের মত আধবোজা ভাবনার সমীরণে শিহরণ তুলে অর্বাচীন চেতনায় শুকে নেয় আদিমতার ঘ্রাণ। এখনো আদিম প্রবৃত্তির শিস নাগের ফণায় অসংযমী চেতনা স্ফুলিঙ্গ আস্ফালন তুলে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় মানবতা ভোগের নির্যাসিত লগ্ন! আমার একাগ্র আকাঙ্ক্ষায় বড় সাধ হয় অন্তত একবার আমি, 'তুমি' হবো! আমিও তখন ঐরাবতের মত ক্ষুদ্রকে তাচ্ছিল্য করে হবো কর্ষিত সভ্যতার ধারক! তবে কি অর্ধেন্দু পূর্ণ হবে আজ পৃথিবীর ভালোবাসায়? সেই জ্যোৎস্না উপচানো রাতের মায়ায় আমার বড় শুদ্ধ হবার সাধ! আজ থেমে যাক সব গৃহযুদ্ধ, মুছে যাক রক্তপাতের রেখায় মৃত্যুর হাহাকার! আজ জীবন হোক পূর্ণ চন্তিকার ক্ষয়ে ক্ষয়ে নিঃস্ব হবার দুর্লঙ্ঘ উপাখ্যান লংঘন করে, নব উন্মেষের কপোলেতে জ্যোতিময় লালটিপ! পরক্ষণেই দেখি চেতনার হাহাকার! কি করে অগ্রাহ্য হবে এই মানবতার ডাক! এত ঘৃণায় ডুবে গিয়েও ধ্রুপদী ভাবনার নোনা জলে মিষ্টি লহরীর বইয়ে দেয় এক চিমটি ভালোবাসা! কি অপরিমেয় তার ক্ষমতা! তবুও ঘৃণা আছে সেই আদিম থেকে! মানবতার প্রয়োজনেই তার প্রেতপুরীর নিশংস ঐতিহ্য নিয়ে বেঁচে থাকা! জানি আমি বেশ, এখন আর কেউ সুহাসিনী ভোরের নিমন্ত্রণে নিদ্রালু আঁখি মেলে দেয় না, এখন সবাই হতে চায় অন্ধকার পিয়াসী অনিন্দ্রিত রজনীর নিগুঢ় সাক্ষী! কি করে পূর্ণ হবে এই অর্ধেন্দু? এখন কি কেউ খুঁজে দেখে নীলাম্ভরের পূর্ণ চাঁদ! সবাই এখন ব্যস্ত ভীষণ চাঁদনীর অপেক্ষায় প্রতীক্ষার প্রহর গুণে গুণে নিযুত অস্তিত্বের পরতে পরতে! তাই কাঁদে ডাগর চোখ, অপার্থিব পুরবীর খোঁজে, কাঁদে নীলাম্ভর, কাঁদে প্রতারিত নারীর নোলক, শুধু কাঁদে না নিশাচর কামুক পাপাত্মা! তাই ভাবি নির্বোধ হবো! বুঝেও বুঝবো না ছলনার কত গভীরে থাকে পিশাচের পুষ্টির প্রীতিভোজ! জেনেও জানবো না কি করে প্রতিবাদী লাঞ্ছিত ঘর্মাক্ত দুপুরে কুকুরের ঘেউ ঘেউয়ে চাপা পড়ে যায় ক্লান্ত রাতের শেষে আহতের সূর্য হবার স্বপ্ন!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।