বেশি কিছু চাই না, চাই শুধু মনের কথা বলতে ছোট্ট একটি শব্দ, আধুনিক মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে এই শব্দের অগাধ ব্যবহার হয়ে থাকে, আর সেই নামের একটি বাংলা ছবি মুক্তি পাওয়ার আগেই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ঘরে এবং বাইরে.বাইরে এই ছবি উষ্ণ অভর্থনা পেলেও ঘরে এই ছবি মুক্তি পাবে কি না তা নিয়ে যথেষ্টই সন্দেহ আছে.ছবিটির নাম ‘গান্ডু’, সাধারণভাবে এটি একটি ইতর শব্দ.শুধু ইতর নাম নয়,এই ছবিতে খোলাখুলি দেখানো হয়েছে নগ্নতা, আর অশালীন শব্দে পরিপূর্ণ বাংলা ছবির জগতে এটি একটি মাইলফলক হতে চলেছে.মুক্তির আগেই ইন্টারনেটে আপলোড করা প্রমোর সুবাদে এই ছবি এখনই পৌঁচ্ছে গেছে আকর্ষণে কেন্দ্র বিন্দুতে, হয়ে গেছে কমবয়সী ছেলে মেয়েদের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটের দেয়ালে দেয়ালে আলোচনার অন্যতম বিষয়. ছবির পরিচালক কিউ অর্থাত্ কৌশিক মুখোপাধ্যায়ে এই ধরণের সাহসী ছবির করার জন্য পেয়েছেন সাধুবাদও.’নিউ ইয়র্ক টাইমস’ এই ছবির সম্পর্কে কিউকে একবাক্যে বলেছেন তিনি সফল, ফরাসি পত্রিকা ‘লে ইনরকস’ বলেছে এই ছবিটি “অ্যান্টি বলিউড পার এক্সেলেন্স”.পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায়ের কথায় আকাশচুম্বী আগ্রহ তৈরী করা এই অন্য ছকের ছবি করে কৌশিক সেন্সর বোর্ডকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে খুলে দিয়েছে নতুন এক রাস্তা. মূলত সাদা কালো ৮৭ মিনিটের এই বাংলা ছবি এখন আন্তর্জাতিক মহলে ভারত থেকে সত্যিকারের নতুন যুগের ছবি হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে.এই ছবি দেখানে হয়েছে বার্লিন বা সানডান্সের মতো কলীন উত্সবেও,তবে ভরতীয় বাজারে এই ছবি এখনও ব্রাত্য.এই ছবির বৈশিষ্টই হলও এই ছবিতে নেই কোনও তারকার ভিড়, আর সঙ্গীত পরিচালনায় আছে ফাইভ লিটল ইন্ডিয়ান্স নামে একটি দল. যদি ছবিটি না দেখা হয়ে থাকে তাহলে আজই দেখুন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।