তামাক জাতীও উপাদানের অবশেষ থেকে ঘরবাড়ীর মতো বন্ধ স্থানে এক ধরনের বিষাক্ত উপাদান তৈরি হয় । এ ধরনের উপাদান ক্যান্সারের জন্য দায়ি। সম্প্রতি একদল গবেষক এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন।
এ গবেষণায় তারা আরো জানতে পেরেছেন, ধূমপান শেষ হয়ে যাওয়ার অনেকক্ষণ পরও এর অবশেষ আশপাশের বস্তুর গায়ে লেগে থাকে। বন্ধ ঘরের বাতাস দূষিত হয়।
দূষিত এ উপাদানে ক্ষতিকারক নাইট্রাস এসিড থাকে, যা শরীরে ক্যান্সারের অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। লরেন্স বারক্লে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির এক গবেষণায় নতুন এ স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে জানা গেছে।
লরেন্স বারক্লে গবেষণাগারের রসায়নবিদ হুগো ডেসটাইলাস বলেন, জ্বলন্ত তামাক থেকে বাস্প আকারে নিকোটিন নির্গত হয়। এ ধরনের নিকোটিন বন্ধ ঘরের মেঝে, দেয়াল, কার্পেট, আসবাবপত্রের মতো আশপাশে থাকা কম-বেশি সবকিছু দিয়ে শোষিত হয়। আর এসব জিনিসের ভেতর দূষিত এ উপাদানটি পরবর্তী কয়েক দিন, সপ্তাহ, এমনকি মাসখানেক ধরেও অবস্থান করতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে , ধূমপানের অবশেষ এ নিকোটিন পরিবেশের নাইট্রাস এসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে বিশেষ ধরনের কারসিনো জেনিক টোব্যাকো নাইট্রোস এমিন বা TSNA গঠন করে। ধূমপানের কারনে পোড়া তামাক থেকে নির্গত উপাদানগুলোর মধ্যে TSNA সবচেয়ে ক্ষতিকর। এটি ক্যান্সার তৈরি করতে পারে।
আসুন নিজে বাঁচি, অন্যকে বাঁচাই।
(পূর্বে প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকা থেকে নেয়া) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।